Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

এবার কাউন্সিলর নিয়ে জালিয়াতি!

প্রকাশের সময় : ২৬ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : প্রায় মাসখানেক আগে রমরমা পরিবেশে শেষ হলো বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচন। এবার ঘনিয়ে এসেছে দাবা ও কাবাডিসহ বেশ ক’টি ফেডারেশনের নির্বাচনও। দাবায় দু’টি গ্রুপ হয়ে যাওয়ায় জমে উঠেছে এর নির্বাচন কার্যক্রম। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে দাবার নির্বাচন। এরপরেই আগস্টে কাবাডি ফেডারেশনের নির্বাচন। এ দু’টি ফেডারেশনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখন উত্তপ্ত দেশের ক্রীড়াঙ্গন। বর্তমান কমিটির কর্মকা-সহ নির্বাচনের আগে কাউন্সিলরশীপ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ নয়, এমন অভিযোগ তুলে ইতোমধ্যে দাবার একটি গ্রুপ কোর্টের আশ্রয় নিয়েছে। এবার কাউন্সিলর জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ৩ থেকে ২০ মে ছিল কাউন্সিলরদের নাম পাঠানোর সময়সীমা। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে নতুন অ্যাডহক কমিটি হওয়ার পরও মুন্সিগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থায় নিজ পছন্দের লোককেই কাবাডির কাউন্সিলর বানিয়েছেন সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম। এ ঘটনায় মুন্সিগঞ্জে বেশ তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, নির্বাচনের আগে কাউন্সিলর চেয়ে কাবাডি ফেডারেশন থেকে ইস্যু করা চিঠিই পায়নি মুন্সিগঞ্জ জেলা কমিশনারের অফিস। ফলে সভায় সিদ্ধান্ত হলেও নিজেদের প্রতিনিধির নাম পাঠাতে পারেনি মুন্সিগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থায় নতুন অ্যাডহক কমিটি। আর এ সুযোগটিই নিয়েছেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল।
গত ২৪ এপ্রিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে (স্মারক নং- এনএসসি/১১৯/৪/জোন/১০৭২) জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (অতিরিক্ত) সদস্য সচিব করে সাত সদস্য বিশিষ্ট মুন্সিগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়। যা মেনে নিতে পারেননি বিদায়ী সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম। যিনি কাবাডি ফেডারেশনের বর্তমান সাধারণ সম্পাদকও। তাই আগেভাগেই জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদকের অনুকূলে চিঠি ইস্যু করিয়ে নেন তিনি। পরে ৪ মে আয়নাল হক স্বপন নামে সাবেক কমিটির এক সদস্যকে কাবাডির আসন্ন নির্বাচনে কাউন্সিলর বানান। জেলা প্রশাসকের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, ১৮ মে জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির সভায় নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বলকে কাবাডির নির্বাচনে কাউন্সিল করে নাম পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু এর আগে কিংবা পরে অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক জেলা প্রশাসকের অফিসে কাবাডি ফেডারেশন থেকে কাউন্সিলর চেয়ে কোন চিঠি যায়নি। যার ফলে মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের অফিস থেকে কাউন্সিলরের নামও পাঠানো যায়নি। আর এই সুযোগেই পেছনের তারিখ ব্যবহার করে নিজের পছন্দমতো লোককে কাউন্সিলর বানিয়ে আনেন নজরুল ইসলাম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এবার কাউন্সিলর নিয়ে জালিয়াতি!
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ