Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পটুয়াখালীতে থেমে থেমে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টিশুরু

পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ মে, ২০১৯, ১:৪৬ পিএম

ঘূর্নিঝড় ফনির প্রভাবে কুয়াকাটা সাগর সহ উপকূলীয় এলাকায় জোয়োরের চেয়ে ২-৩ ফুট পানি বৃদ্ধি।সাগর উত্তাল।
চাড়িপাড়ায় ১৬ টি গ্রাম প্লাবিত।চরবাংলায় ৪ হাজার লোক পানিবন্দী।
লোকজনকে সাইক্লোন সেল্টারে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা:ঘূর্নিঝড় ফনির প্রভাবে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সহ সাগর সহ উপকূলীয় এলাকায় জোয়োরের চেয়ে ২-৩ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানির চাপ ও বৃদ্ধির কারনে ইতোমধ্য্যে জেলার কলাপাড়া উপজেলার চাড়িপাড়ার চেয়ারম্যান তপন বিশ্বাস জানান,চাড়িপাড়ার মুন্সীপাড়া থেকে –পশুর বুনিয়া পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার এলাাকায় ভেড়ীবাধ না থাকায় ১৬ টি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। ৫ হাজার জনসংখ্যা অধ্যুষুতি ঐ এলাকায় ৭ টি সাইক্লোন সেল্টার রয়েছে যেখানে ২ থেকে আড়াই হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
এ ছাড়া ও নিজামপুর এলাকার মেম্বার শামসুল হক জানান,নিজামপুরের
প্রাইমারী স্কুল সংলগ্ন সাইক্লোন সেল্টারের দক্ষিন পাশে নির্মানাধীন দেড় কিলোমিটারর বেড়ীবাধ আজকের জোয়ারে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্থ এবং উত্তর পার্শে পূর্বের ২০০ মিটার বিধ্বস্থ বেড়ীবাধ দিয়ে ইতোমধ্যে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে ঐ এলাকার ৪ টি গ্রাম এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্লাবিত হয়ে গেছে,বাকী ৫ টি গ্রাম যে কোন মুহূর্তে প্লাবিত হতে পাড়ে। ঐ এলাকার ৩০ হাজার মানুষের জন্য ৫ টি সাইক্লোন সেল্টার রয়েছে। ইতোমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে লোকজনকে সাইক্লোন সেল্টারে নিয়ে আসা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: তানভীর রহমান।
এ দিকে জেলার গলাচিপা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, ১২ টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬ টি ঝুকিপূর্ন ,যদি প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।প্রায় বেড়ীবাধ বিহীন চরকাজল ওচরবিশ্বাসে প্রায় ৪০ হাজার লোক রয়েছে,সাইক্লোন সেল্টার রয়েছে ১১ টি।
চর বাংলায় ৪ হাজার লোক রয়েছে সেখানে ১ টি সাইক্লোন সেল্টার রয়েছে,প্রায় ৭ কিলোমিটার এলাকায় কোন বেড়ীবাধ না থাকায় এলাকায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট পানি প্রবেশ করে মানুষের বসত বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় ইতোমধ্যে চলে এসেছে,কিছু লোক সকালে সাইক্লোন সেল্টারে চলে গেলেও এ্যখন জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষ ঘর থেকে বেড় হতে পাছেন বলে জানিয়েছেন এলাকার সিপিপির সহকারী টিম লিডার ফিরোজ আহমেদ। এ ছাড়া ও জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার সবচেয়ে ঝুকিপূর্ন বেড়ীবাধহহীন চর কাশেম ,ওকলাগাছিয়ার চরে বসবসকারী প্রায় ১০০০ লোককে ঐ এলাকায় কোন সাইক্লোন সেল্টার না থাকায় পাশ্ববর্তী গহীনখালী ওগঙ্গীপাড়া বিদ্যালয় সাইক্লোন সেল্টারে নিয়ে আসা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তপন ঘোষ।এ ছাড়া ওচর নজিরের প্রায় ৩ শ জনকেও নেতা ছালেহিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় সেল্টারে নিয়ে আসার পক্রিয়া শুরু হয়েচে বলে তিনি জানান।
এ দিকে কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ সূত্রে জানা গেছে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় পর্যটকদের সীবীচে নামা থেকে বিরত সহ সাগরে কোন
প্রকার চলাচল বন্ধ করতে তারা মাইকিং করে যাচ্ছেন।



 

Show all comments
  • MD EYASIN ARAFAT ৩ মে, ২০১৯, ২:৪৪ পিএম says : 0
    আমি সাংবাদিক হিসেবে কাজ করতে চাই।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ