মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চিন আপত্তি তুলে নেওয়ায় পাকিস্তানভিত্তিক সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মাদকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ এবং এর নেতা মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়েছে জাতিসংঘ। এর পর পাকিস্তান বলেছে, তারা দ্রুত নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার ব্যবস্থা গহণ করবে। মঙ্গলবার জইশ-ই-মোহাম্মাদের প্রধানকে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী’ হিসেবে ঘোষণা করে জাতিসংঘ।
এ বিষয়ে পাক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মাদ ফয়সাল সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা অবিলম্বে মাসুদ আজহারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার কাজ শুরু করব।’ তবে তিনি এও বলেন, ‘পাকিস্তান সব সময়ই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে এসেছে। সেই কারণেই আমরা কাশ্মীরে ভারত নিয়ন্ত্রিত সন্ত্রাসের বিরোধিতা করে থাকি।’
জাতিসংঘ মাসুদ আজহারকে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী’ ঘোষণা করায় ভারতের মোদি সরকার যে কূটনৈতিক সফলতার দাবি করছে তারও সমালোচনা করেন পাক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখ্যপাত্র। তিনি বলেন, ‘মাসুদ আজহারকে নিয়ে এই অগ্রগতিকে ভারতের কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে দেখলে বড় ভুল হয়ে যাবে। কারণ, আন্তর্জাতিক স্তরে বিভিন্ন দেশ এক জোট হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
ফয়সাল বলেন, চিনের সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনার পরই বিষয়টির মীমাংসা হয়েছে। সুতরাং এই ইস্যুতে পাকিস্তান ও তার ঘনিষ্ঠ মিত্র চিনের ওপর ভারতের বিজয় হয়েছে এমনটা ভাবা ঠিক না।
মাসুদ আজহাজার ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে নরেন্দ্র মোদির সরকার চলমান লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে সর্বোচ্চ রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করবে বলেও উল্লেখ করেন পাক কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী হিসেবে ঘোষণা করতে ২০০৯ সাল থেকে কূটনৈতিক চেষ্টা চালিয়ে আসছে ভারত সরকার। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলার পর সেই প্রচেষ্টাই আরও জোরদার করে নয়াদিল্লি। আমেরিকা, ফ্রান্স এবং ব্রিটেন ভারতের সেই প্রচেষ্টার পাশে দাঁড়ায়। অন্যদিকে, চিন বরাবরই এই ইস্যুতে পাকিস্তানের পক্ষে ছিল।
কিন্তু চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গেং শুয়াং বুধবার বলেন, ‘সমস্ত নথি খুঁটিয়ে দেখার পর এবং সংশ্লিষ্ট সমস্ত পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করার পর মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী হিসেবে ঘোষণা করার পেছনে আমাদের আর কোনো আপত্তি থাকল না।’ তবে গেং শুয়াং পাকিস্তানের প্রশংসা করে বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তানের ইতিবাচক ভূমিকার কথা। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের এই লড়াইয়ে আমরা সব সময় পাশে থাকব।’
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করলে মাসুদ আজহারের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে পাকিস্তানকে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে তার গতিবিধিও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। অর্থাৎ কার্যত গৃহবন্দির মতো থাকতে হবে মাসুদ আজহারকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।