পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে আদালত বলেছেন, ‘সাত বছরের সাজার মামলায় আমরা জামিন দিই না, তা না। যেহেতু অন্য একটি মামলায় (জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায়) হাইকোর্ট সাজা বাড়িয়ে দিয়েছেন। ওই মামলায় জামিন না হলে তিনি মুক্তি পাবেন না। ফলে বিষয়টি এ মুহূর্তে জরুরি দেখছি না।’ গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ মামলার শুনানিকালে আদালত এসব মন্তব্য করেন।
এ সময় খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘মাই লর্ড, আবেদনটি একটু শোনেন, না শুনলে আমরা হতাশ হব।’ বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, ‘না, শুনতে পারব না। শুনলে আদেশ দিতে হবে। আগে নথি আসুক, তখন জামিনের আবেদনটি দেখব। এ মামলায় রেকর্ড না দেখে বেইল দিচ্ছি না। এ মামলায় আর্জেন্সি নেই। যেহেতু অপর মামলায় উনার (খালেদা জিয়ার) সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়েছে। সেটাতে তো জামিনে নেই।’ এ সময় জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘মাই লর্ড, উনি এ দেশের সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। একজন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। উনি খুবই অসুস্থ। শারীরিক সমস্যার কারণে চলাফেরা করতে পারছেন না।’ ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘বিজ্ঞ আদালত জামিন শুনানি করেন।’ তখন আদালত বলেন, ‘আমরা নথি না দেখে শুনানি করতে পারব না। আগে নথি আসুক।’ জবাবে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘আপনি একটি সময় নির্ধারণ করে দেন। তা না হলে সরকারপক্ষ এখানে ইন্টারফেয়ার করবে। দুর্নীতি দমন কমিশন একটি স্বাধীন কমিশন। এখানে সরকারপক্ষ কোনো পক্ষ নয়। কিন্তু অ্যাটর্নি জেনারেল এসে বসে আছেন।’ এ সময় আদালতে হইচই শুরু হয়ে যায়। এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘আমি রাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে সকল মামলায় হাজির হই; এতে দোষের কিছু নেই।’ এ সময় আদালত বলেন, ‘আপনারা এভাবে বলবেন না। অ্যাটর্নি জেনারেল আসতেই পারে। আমরা তিন মাস সময় দিয়ে দিচ্ছি। নথি পাঠানোর জন্য।’
জবাবে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘দুই সপ্তাহ সময় দেন। এর মধ্যে জামিনের শুনানির ব্যবস্থা করেন। অন্যথায় আমরা অন্য কোর্টে যাবো।’ আদালত বলেন, ‘আমি আবেদনটি ফেরত দিয়ে দিচ্ছি।’ তখন খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘বিজ্ঞ আদালত, আপনার প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে।’
আদালত এ মামলায় খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। এ ছাড়া এ মামলায় নিম্ন আদালতের দেয়া অর্থদÐও স্থগিত করার আদেশ দেন। একই সঙ্গে নিম্ন আদালত থেকে এ মামলার নথি তলব করা হয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে হাইকোর্টে মামলার নথি দাখিল করতে হবে।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে জামিন আবেদন করে শুনানি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। এ সময় আদালতে খালেদার পক্ষে আরো ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বদরোদ্দোজা বাদল, আমিনুল ইসলাম, কায়সার কামাল ও এ কে এম এহসানুর রহমান। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এর আগে গত ১৮ নভেম্বর এ মামলায় ৭ বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিলটি করেন খালেদা জিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।