বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
প্রচন্ড তাপদাহে প্রায় সমগ্র বাংলাদেশ পুড়ছে। ব্যাতিক্রম উত্তরাঞ্চলের রংপুর বিভাগের ৮ জেলা। শীতকালে প্রচন্ড শীত আর গ্রীষ্মকালে প্রচন্ড গরম এই আবহাওয়ার অঞ্চল বৃহত্তর রংপুর ও দিনাজপুর অঞ্চলে আবহাওয়ার ভিন্নতা লক্ষ করা যাচ্ছে। মধ্য বৈশাকের পর জৈষ্ঠ। আম ও লিচুসহ মৌসুমী ফলে পাক ধরার সময় এখন। অথচ এই এখনও শেষ রাতে অনুভুত হচ্ছে হালকা শীত। পড়ছে কুয়াশা। বেলা বাড়ার সাথে সাথে প্রচন্ড রৌদ্রতাপ অনুভুত হলেও এই অঞ্চলের মানুষের কাছে তা এখনও অসহনীয় পর্যায়ে পৌছায়নি। সহনীয় আবহাওয়ার কারনে আম-লিচু ফল ও উঠতি বোরো ধান নিয়ে কৃষকেরা স্বস্থিতে আছে। আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে দিনাজপুর অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এখনও ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে সীমাবদ্ধ রয়েছে। অপরদিকে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ২৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রয়েছে। রংপুর অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এখনও ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রয়েছে। সর্বোচ্চ এই তাপমাত্রা ও ভ্যাপসা গরমের অন্যতম কারন হচ্ছে বঙ্গপোসাগরে সৃষ্ট নি¤œচাপ ফনি’র কারনে। নি¤œ চাপ কেটে গেলেই তাপমাত্রা ও ভ্যাপসা গরমের ভাব স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
গত কয়েকদিন ধরে ঢাকা রাজশাহী চুয়াডাঙ্গাসহ অধিকাংশ এলাকায় প্রচন্ড তাপদাহ বিরাজ করছে। প্রচন্ড গরমে মানুষের অষ্ঠাগত অবস্থা। গত ২৯ এপ্রিল রাজশাহীতে চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসবিহীন গাছপালা’র পাতা যেন অনড় হয়ে আছে। রাজশাহী ও ঢাকাসহ দেশের বেশীর ভাগ অঞ্চলের আকাশ থেকে মেঘ যেন হারিয়ে গেছে। প্রচন্ড গরমে স্বাস নেয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। পানি পিপাসায় কাতর মানুষ খুজছে এক গ্লাস সরবত। বৃদ্ধ ও শিশুদের অবস্থা আরো করুন। তাপদাহ পীড়িত এসব অঞ্চলের হাসপাতালগুলি তাপদাহে সৃষ্ট রোগীদের ভীড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে।
তাপদাহ পীড়িত দেশের অধিকাংশ এলাকার তুলনায় বৃহত্তর রংপুর ও দিনাজপুর অঞ্চলে বিরাজ করছে গরম ঠান্ডা আবহাওয়া। অথচ প্রকৃতির মানদন্ডে এই অঞ্চলে তাপদাহ এখন অসহনীয় অবস্থার কবলে পড়ার। তাপদাহ কবলিত এলাকার লোকজন এ কারনে দিনাজপুর ও রংপুর অঞ্চলে আসতে ভয় পাচ্ছে। এই অঞ্চলে থাকা নিকক আত্মীয়দের খোজ খবর নিচ্ছে দেশের অন্যান্য এলাকায় বসবাসকারীরা।
মৌসুমী ফল লিচু এখন গাছে দানা বেধেছে। স্বাভাবিকভাবে মৌসুমী ফল পাকার সময় হিসাবে বৈশাক ও জৈষ্ঠকে মধুমাস হিসাবেও আখ্যা দেয়া হয়। কিন্ত আবহাওয়ার লীলাখেলায় মৌসুমী ফল ব্যবসায়ী ও কৃষকেরা স্বস্থি অনুভূত করছে। কালবৈশাখী ঝড় ও প্রচন্ড তাপদাহ না থাকায় ফলের কোন ক্ষতি হচ্ছে না। ফলে একটু দেরীতে হলেও গাছে লিচু থাকবে। পবিত্র ঈদ পার করতে পারলে দামও ভাল পাওয়া যাবে। স্থানীয় আবহাওয়া জানিয়েছে গত ২৯ এপ্রিল দিনাজপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৩০ এপিলের সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা জানা যাবে সন্ধা ৬টার পর।
রংপুর থেকে ষ্টাফ রিপোর্টার হালিম আনসারী জানান, ২৯ এপ্রিল রংপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রংপুরে দুপুরের দিকে পূর্ণ গতিতে ফ্যান চালানোর প্রয়োজন হলেও সন্ধার পর ফ্যানের গতিও কমিয়ে দিতে হচ্ছে। ভোর রাতে ফ্যান চালানোর প্রয়োজনও হয় না। এককথায় রংপুর অঞ্চলে এখনও অসহনীয় তাপদাহ অনুভুত হচ্ছে না।
পঞ্চগড় থেকে এস এম লায়েক আলী জানান, উত্তরের সর্বশেষ জেলা পঞ্চগড়েও ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গরম অনুভুত হচ্ছে কিন্তু এই অঞ্চলের স্বাভাবিক তাপমাত্রার সাথে সহনীয় রয়েছে। লক্ষনীয় বিষয় হচ্ছে দিনের ভাগে গরম অনুভুত হলেও বাতাস থাকায় সাধারন মানুষের মধ্যে স্বস্থি রয়েছে। ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, লালমনিরহাট জেলাগুলিতেও একই অবস্থা বিরাজ করছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
আবহাওয়াবিদদের মতে এই অঞ্চলে সাধারনত বাংলা জৈষ্ঠ ও ইংরেজী মে মাসে প্রচন্ড তাপদাহ সৃষ্টি হয়। আর তখনই গরমের কারনে লিচু ও আমে দ্রুত পাক ধরে থাকে।
মাহফুজুল হক আনার
তাপদাহে রংপুর-দিনাজপুরের চিত্র ভিন্ন, দিনে গরম শেষ রাতে এখনও কুয়াশা পড়ছে
প্রচন্ড তাপদাহে প্রায় সমগ্র বাংলাদেশ পুড়ছে। ব্যাতিক্রম উত্তরাঞ্চলের রংপুর বিভাগের ৮ জেলা। শীতকালে প্রচন্ড শীত আর গ্রীষ্মকালে প্রচন্ড গরম এই আবহাওয়ার অঞ্চল বৃহত্তর রংপুর ও দিনাজপুর অঞ্চলে আবহাওয়ার ভিন্নতা লক্ষ করা যাচ্ছে। মধ্য বৈশাকের পর জৈষ্ঠ। আম ও লিচুসহ মৌসুমী ফলে পাক ধরার সময় এখন। অথচ এই এখনও শেষ রাতে অনুভুত হচ্ছে হালকা শীত। পড়ছে কুয়াশা। বেলা বাড়ার সাথে সাথে প্রচন্ড রৌদ্রতাপ অনুভুত হলেও এই অঞ্চলের মানুষের কাছে তা এখনও অসহনীয় পর্যায়ে পৌছায়নি। সহনীয় আবহাওয়ার কারনে আম-লিচু ফল ও উঠতি বোরো ধান নিয়ে কৃষকেরা স্বস্থিতে আছে। আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে দিনাজপুর অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এখনও ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে সীমাবদ্ধ রয়েছে। অপরদিকে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ২৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রয়েছে। রংপুর অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এখনও ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রয়েছে। সর্বোচ্চ এই তাপমাত্রা ও ভ্যাপসা গরমের অন্যতম কারন হচ্ছে বঙ্গপোসাগরে সৃষ্ট নি¤œচাপ ফনি’র কারনে। নি¤œ চাপ কেটে গেলেই তাপমাত্রা ও ভ্যাপসা গরমের ভাব স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
গত কয়েকদিন ধরে ঢাকা রাজশাহী চুয়াডাঙ্গাসহ অধিকাংশ এলাকায় প্রচন্ড তাপদাহ বিরাজ করছে। প্রচন্ড গরমে মানুষের অষ্ঠাগত অবস্থা। গত ২৯ এপ্রিল রাজশাহীতে চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসবিহীন গাছপালা’র পাতা যেন অনড় হয়ে আছে। রাজশাহী ও ঢাকাসহ দেশের বেশীর ভাগ অঞ্চলের আকাশ থেকে মেঘ যেন হারিয়ে গেছে। প্রচন্ড গরমে স্বাস নেয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। পানি পিপাসায় কাতর মানুষ খুজছে এক গ্লাস সরবত। বৃদ্ধ ও শিশুদের অবস্থা আরো করুন। তাপদাহ পীড়িত এসব অঞ্চলের হাসপাতালগুলি তাপদাহে সৃষ্ট রোগীদের ভীড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে।
তাপদাহ পীড়িত দেশের অধিকাংশ এলাকার তুলনায় বৃহত্তর রংপুর ও দিনাজপুর অঞ্চলে বিরাজ করছে গরম ঠান্ডা আবহাওয়া। অথচ প্রকৃতির মানদন্ডে এই অঞ্চলে তাপদাহ এখন অসহনীয় অবস্থার কবলে পড়ার। তাপদাহ কবলিত এলাকার লোকজন এ কারনে দিনাজপুর ও রংপুর অঞ্চলে আসতে ভয় পাচ্ছে। এই অঞ্চলে থাকা নিকক আত্মীয়দের খোজ খবর নিচ্ছে দেশের অন্যান্য এলাকায় বসবাসকারীরা।
মৌসুমী ফল লিচু এখন গাছে দানা বেধেছে। স্বাভাবিকভাবে মৌসুমী ফল পাকার সময় হিসাবে বৈশাক ও জৈষ্ঠকে মধুমাস হিসাবেও আখ্যা দেয়া হয়। কিন্ত আবহাওয়ার লীলাখেলায় মৌসুমী ফল ব্যবসায়ী ও কৃষকেরা স্বস্থি অনুভূত করছে। কালবৈশাখী ঝড় ও প্রচন্ড তাপদাহ না থাকায় ফলের কোন ক্ষতি হচ্ছে না। ফলে একটু দেরীতে হলেও গাছে লিচু থাকবে। পবিত্র ঈদ পার করতে পারলে দামও ভাল পাওয়া যাবে। স্থানীয় আবহাওয়া জানিয়েছে গত ২৯ এপ্রিল দিনাজপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৩০ এপিলের সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা জানা যাবে সন্ধা ৬টার পর।
রংপুর থেকে ষ্টাফ রিপোর্টার হালিম আনসারী জানান, ২৯ এপ্রিল রংপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রংপুরে দুপুরের দিকে পূর্ণ গতিতে ফ্যান চালানোর প্রয়োজন হলেও সন্ধার পর ফ্যানের গতিও কমিয়ে দিতে হচ্ছে। ভোর রাতে ফ্যান চালানোর প্রয়োজনও হয় না। এককথায় রংপুর অঞ্চলে এখনও অসহনীয় তাপদাহ অনুভুত হচ্ছে না।
পঞ্চগড় থেকে এস এম লায়েক আলী জানান, উত্তরের সর্বশেষ জেলা পঞ্চগড়েও ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গরম অনুভুত হচ্ছে কিন্তু এই অঞ্চলের স্বাভাবিক তাপমাত্রার সাথে সহনীয় রয়েছে। লক্ষনীয় বিষয় হচ্ছে দিনের ভাগে গরম অনুভুত হলেও বাতাস থাকায় সাধারন মানুষের মধ্যে স্বস্থি রয়েছে। ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, লালমনিরহাট জেলাগুলিতেও একই অবস্থা বিরাজ করছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
আবহাওয়াবিদদের মতে এই অঞ্চলে সাধারনত বাংলা জৈষ্ঠ ও ইংরেজী মে মাসে প্রচন্ড তাপদাহ সৃষ্টি হয়। আর তখনই গরমের কারনে লিচু ও আমে দ্রুত পাক ধরে থাকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।