মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
নিজের নাগরিকত্ব নিয়ে ভারতের কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর অবস্থান জানতে তাকে নোটিশ পাঠাল দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিজেপি সাংসদ সুব্রামানিয়ান স্বামীর একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতেই এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। স্বামীর দাবি, রাহুল আসলে ব্রিটিশ নাগরিক।
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এ নিয়ে নিজের অবস্থান জানাতে হবে। কংগ্রেসের অবশ্য দাবি, চাপে পড়ে রাহুলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতেই এই কাজ করা হচ্ছে মোদী-অমিত শাহের মদদে। ২০১৫ সালে রাহুলের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রথম প্রশ্ন তোলেন বিজেপি নেতা এবং সাংসদ সুব্রামানিয়ান স্বামী। তারপর বিভিন্ন সময় এই প্রসঙ্গ তুলেছেন তিনি। যদিও প্রতিবারই সেই দাবি উড়িয়েছেন রাহুল। ২০১৬ সালে স্বামীর বিরুদ্ধে দেশকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ এনেছিলেন তিনি। কোনও তথ্য প্রমাণ ছাড়াই এই দাবি করছেন স্বামী, এই অভিযোগও করেছিলেন রাহুল গান্ধী।
সেই প্রসঙ্গেই রাহুল গান্ধীকে চিঠি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নাগরিকত্ব বিভাগের কর্মকর্তা বি সি যোশী। সেই চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘সুব্রামানিয়ান স্বামীর কাছ থেকে আমাদের কাছে একটি অভিযোগ এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে, ২০০৩ সালে ইংল্যান্ডে ব্যাকঅপস লিমিটেড নামের একটি কোম্পানি নথিভুক্ত করা হয়। ৫১ সাউথগেট স্ট্রিট, উইনচেস্টার, হ্যাম্পশায়ার, ঠিকানার এই কোম্পানিটির সেক্রেটারি এবং অন্যতম ডিরেক্টর আপনিই, এমনটাই দাবি করেছেন স্বামী।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘২০০৫ এর ১০ অক্টোবর এবং ২০০৬ এর ৩১ অক্টোবর এই কোম্পানির প্রকাশিত বার্ষিক রিপোর্টেও বলা হয়েছে আপনি ব্রিটিশ নাগরিক এবং আপনার জন্মদিন ১৯৭০ সালের ১৯ জুন।’ এর পরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে রাহুলকে সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘এই নিয়ে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আপনার স্পষ্ট অবস্থান জানাতে অনুরোধ করা হচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।’
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের মুখেই রাহুলের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার বিষয়টিকে অবশ্য চক্রান্ত হিসেবেই দেখছে কংগ্রেস। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেয়া নোটিশ প্রসঙ্গে কংগ্রেস মুখপাত্র সঞ্জয় ঝা বলেছেন, ‘আতঙ্ক থেকেই এই কাজ করছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ জুটি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।