পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বসিলা মেট্রো হাউজিং এলাকার জঙ্গি আস্তানায় ১৪ ঘণ্টা চলার পর অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেছে র্যাব। আস্তানা থেকে ২জনের লাশ, ২টি বিদেশী পিস্তল ও ৪টি অবিস্ফোরিত আইইডি উদ্ধার করা হয়েছে। জঙ্গি আস্তানায় বিস্ফোরণে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের দেহ ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ও র্যাব ওই বাড়িটি ঘীরে রেখেছে। নিহত দুই জঙ্গির এক জনের নাম সুমন অন্যজনের নামে সুজন। তবে তাদের সম্পর্কে আর কিছু সুনির্দিষ্ট করে বলেননি র্যাব কর্মকর্তারা। তারা বলেন, তাদের প্রকৃৃত পরিচয় জানতে ডিএনএ টেস্ট ও আঙ্গুলের ছাপসহ অন্যান্য পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জঙ্গি আস্তানা পরিদর্শন শেষে র্যাবের ডিজি বেনজীর আহমেদ জানিয়েছেন, জঙ্গিরা এক মাস আগেই টিনশেট বাড়িটি ভাড়া নিয়েছিল। অন্যদিকে পুলিশ জানিয়েছে, তাদের কাছে ভাড়াটিয়ার কোনো তথ্য ছিল না।
র্যাব-২ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, রোববার রাত আড়াইটা থেকে শুরু হওয়া এ অভিযান প্রায় ১৪ ঘণ্টা পর বিকেল ৫টার দিকে সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। জঙ্গি আস্তানা থেকে ২টি লাশ বের করা হয়েছে। আস্তানা থেকে ২টি বিদেশি পিস্তল, বেশকিছু তাজা গোলাবারুদ এবং ম্যাগজিনও উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আস্তানা থেকে অবিস্ফোরিত অবস্থায় ৪টি আইইডি উদ্ধার করা হয়েছে। যেগুলো পরে আমাদের বোমা বিশেষজ্ঞ দল নিস্ত্রিয় করে।
আস্তানায় ২ জন ছাড়া আর কেউ ছিলো কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আশা করছি না এখানে আরো কেউ ছিলো। কারণ, অভিযানের শুরুতেই আমরা পুরো এলাকা কর্ডন করে ফেলি।
গতকাল সকাল সোয়া ৯টার দিকে র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও স্পেশাল ফোর্সের সদস্যরা বাড়িটির ভেতরে ঢোকার খানিকক্ষণ পর র্যাবের মিডিয়া প্রধান মুফতি মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, আস্তানার ভেতরে কেউ জীবিত নেই। অবিস্ফোরিত অবস্থায় ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে।
র্যাব ও স্থানীয় সুত্র জানায়, মেট্রোহাউজিং এলাকায় সম্প্রতি বিআইডব্লিউটিএর অভিযান চালানো হয়। আর ওই অভিযানের পর উচ্ছেদের আশঙ্কায় সরকারী জায়গা দখলদার ওয়াহাব মিয়া ও এলাকার অপর এক মসজিদের সভাপতি কুদ্দুস মিয়া সাড়ে ৩ কাঠা জমির বাড়িটি মসজিদ করার ঘোষণা দেন। এরপর সেখানে অজ্ঞাতনামা জঙ্গি সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের সেখানে থাকার সুযোগ দেয়া হয়। আর সেখানে অপরিচিত ৮ থেকে ৯ জন লোক মসজিদের নামাজের নামে জঙ্গি কার্যক্রম শুরু করেছিল। গত দেড় মাস আগে নিহতরা বাসা ভাড়া নিলেও চলতি মাসের ১ তারিখে তারা বাসায় উঠে। বাসায় তারা নিয়মিত থাকতো না, মাঝে মধ্যে সেখানে আসতো।
র্যাব-২ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মোহাম্মপুরের বসিলার মেট্রোহাউজিংয়ের ৮ নম্বর রোডে ওয়াহাব মিয়ার টিনসেড বাড়িটি ঘিরে ফেলে র্যাব-২ এর সদস্যরা। পরে বাড়ির দরজা খোলার জন্য র্যাব সদস্যরা ডাকাডাকি করতে থাকে। এসময় বাড়ির কেয়ারটেকার সোহাগের স্ত্রী মৌসুমী গেট খুলে দেয়। পরে র্যাব সদস্যরা ভেতরে প্রবেশের পর পাশের একটি রুমে জিকির করার শব্দ শুনতে পান। এসময় র্যাব সদস্যরা তাদের পরিচয় জানতে চান। আর তখনই সেই রুম থেকেই গুলি ও বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এসময় র্যাব সদস্যরা জঙ্গি আস্তানার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে সেখান থেকে পিছিয়ে আসে। অভিযানে র্যাব সদস্যরা দেড়শতাধিক গুলি ছোড়ে। আর জঙ্গি আস্তানার ভেতর থেকেও গুলি ও বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পরে ভোর পৌনে ৫টার দিকে বড় একটি বিস্ফোরণে ওই বাসার টিনের চাল উড়ে যায়।
র্যাব জানায়, গতকাল সোমবার সকাল ৯টার পর বোমা নিষ্কিয়কারী দলের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে র্যাবের স্পেশাল ফোর্সের সদস্যরা ওই বাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময়ও আস্তানার ভেতর থেকে কয়েক দফা গুলির শব্দ পাওয়া যায়। পরে র্যাব ড্রোন উড়িয়ে ওই বাড়ির ভেতরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে। এরপর ওই বাড়ির মালিক ওয়াহাব ও কেয়াটেকার সোহাগ, তার স্ত্রী মৌসুমী এবং পাশের মসজিদের ইমাম ইউসুফকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন র্যাব কর্মকর্তারা। ওয়াহাব মিয়ার বাড়ির চার কক্ষের চিনশেড বাসার পাশে দেড় কাঠা জমি মসজিদের জন্য দান করেন। আর পাশের এক মসজিদের সভাপতি কুদ্দুস মিয়া কিছুদিন আগে দুই কাঠা জমি দান করেন। এই দুইজনের সাড়ে তিন কাঠা জমির উপর একটি মসজিদ গড়ে তোলা হয়। ওই মসজিদের ইমামের নাম ইউসুফ। তাকে র্যাব সদস্যরা আটক করেন।
র্যাব-২ কর্মকর্তা পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন ফারুকী বলেন, বিস্ফোরন ও গুলির ঘটনার পর ওই বাসা থেকে প্রথমে চারজনকে বের করে আনা হয়। তারা হলেন বাড়ির কেয়ারটেকার সোহাগ, তার স্ত্রী মৌসুমী ও তাদের দুই সন্তান।
তিনি জানান, বাড়িটিতে দু’টি কক্ষ ছিল। একটিতে কেয়ারটেকার থাকেন। আরেকটি কক্ষ কিছুদিন ধরে বাড়ির মালিক ওহাব মসজিদ বলে দান করে দিয়েছেন। আসলে সরকারি খাস জমিতে ওহাব ঘর তুলেছেন। কিছুদিন আগে বিআইডব্লিউটিএ অভিযান চালানোর পর সে ভাড়াটিয়া তুলে দিয়ে মসজিদ করে দিয়েছে। ইউসুফ নামে একজন ইমাম সেখানে নামাজ পড়াতেন। আর ওই মসজিদের সাথে লাগানো একটি রুমেই বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে।
জঙ্গি আস্তানার পাশের বাড়ির দোতলার ভাড়াটিয়া হাওলাদার মিঠু বলেন, গত ৬/৭ মাস ধরে তিনি পরিবার নিয়ে সেখানে ভাড়ায় উঠেন। গত রোববার রাতে বিদ্যুৎ না থাকায় তিনি বাড়ি ছাড়ে উঠেন। তখন অন্যান্য বাড়ির বাসিন্দারাও ছাদে ওঠেন। এসময় হঠাৎ গুলির শব্দ পান। এর কিছুক্ষণ পর র্যাব গিয়ে তাদেরকে সেখান থেকে নামিয়ে দেয়। পরে তিনি বাসায় গিয়ে দরজা-জানালা বন্ধ করে দেন। এর কিছুক্ষণ পর বিকট শব্দে পুনরায় বিস্ফোরণের শব্দ পান। আর তখনই র্যাব সদস্যরা নিরাপত্তার স্বার্থে বাসা থেকেও বের করে দেয়। মিন্টুর স্ত্রী রহিমা বেগম জানান ওই বাড়িটিতে নতুন মসজিদ করা হয়েছে। একজন কালো লোককে মসজিদের চারপাশে কয়েকদিন বালু দিতে দেখা গেছে। তবে ওই ব্যক্তিকে এলাকায় নতুন মনে হয়েছে।
কেয়াটেকার সোহাগের স্ত্রী মৌসুমীর বরাত দিয়ে রহিমা বলেন, বাসায় কোনও ভাড়াটিয়া ছিল না। গত দুই-তিন মাস আগে ভাড়াটিয়া ছিল। তবে কিছু দিন আগে কেয়ারটেকারের স্ত্রী মৌসুমী বলেছিলেন বাসায় মেস ভাড়া দিয়েছে। একটা ছেলে থাকতো সেই মেসে। আর রুমটি সব সময় তালা দেওয়া থাকতো। তিনি আরও বলেন, ‘াতে আমি শব্দ পেয়েছিলাম। পুরুষ কণ্ঠে বলতে শোনা গেছে, আরও মারবেন, মারেন। এরপর তিনি বাসা থেকে বের হয়ে আসেন।
স্থানীয় এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না শর্তে বলেন, আমি একদিন বাসা থেকে বের হয়ে হাউজিংয়ের ১ নম্বর সড়কের একটা মসজিদে জোহরের নামাজ পড়তে যাচ্ছিলাম। তখন এক লোক বললো, এখানে মসজিদ আছে, নামাজ পড়তে পারেন। এরপর ভেতরে গিয়ে দেখি মসজিদ। তারপর নামাজ পড়ি এবং সেখান থেকে চলে আসি। এরপর আরও দু’দিন মাগরিবের নামাজ পড়েছি। তখন মসজিদে ৫ থেকে ৬ জন ব্যক্তিকে নামাজ পড়তে দেখেছি। তবে কাউকে চিনতাম না।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার তারেকুজ্জামান রাজীব সাংবাদিকদের বলেন, মেট্রো হাউজিং এলাকাটি আমার নির্বাচনি এলাকার বর্ধিত অংশ। গত ৪/৫ বছর আগে এটি হয়েছে। এখনও উন্নয়ন কাজ চলছে। যে বাড়িতে জঙ্গি আস্তানা সেটি খাস জমিতে বলে শুনতে পেরেছি। ওহাব নামে একজন সেখানে ঘর তুলেছেন। তবে তাকে আমি চিনি না।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা হারুনুর রশিদ দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, তখন রাত সাড়ে তিনটা হবে, হঠাৎ গোলাগুলির শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায়। এর ঠিক কিছু সময় পর প্রায় তিনটা বিকট শব্দে ঘরসহ কেঁপে উঠলাম। পাশের বাড়ির দিকটায় গোলাগুলির শব্দ চলছেই। এভাবে প্রায় ২০ মিনিট। আতঙ্কে খাটের ওপর বসে রইলাম। কি করবো বুঝতেছিলাম না। হঠাৎ বাহির থেকে দরজায় ধাক্কাধাক্কি হচ্ছে শুনে গলা শুকিয়ে যাচ্ছিল। ভয়ে ভয়ে দরজা খুলে দেখি র্যাবের লোকজন। উনারা বললো আপনাদেরকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে এসেছি আমরা। পাশের বাড়িতে জঙ্গিদের সঙ্গে র্যাবের গোলাগুলি হচ্ছে। এখুনি বেরিয়ে আসুন।
হারুনুর আরও বলেন, সাড়ে তিনটার দিকে ২০ মিনিটের গোলাগুলি আর তিনটা বিকট শব্দে বোমা বিস্ফোরণের পর আর কোনো শব্দ পাইনি। এরপর ভোর পাঁচটার দিকে আবারও বিরাট শব্দে একটা বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাই। সেটিই ছিল শেষ শব্দ।
জঙ্গিদের সম্পর্কে কিছু জানেন কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ওই বাড়িটি টিনশেডের একতলা বাড়ি। ওখানে তিনটা পরিবার ভাড়া থাকতো। মাস-খানেক হলো দুইটা পরিবার চলে গেছে। পরে শুধু কেয়ার-টেকার আর তার পরিবার থাকে। গত সপ্তাহখানেক আগে ওই বাড়ির একটা অংশ মসজিদ বানানো হয়েছে। মসজিদের জন্য নতুন একজন ইমাম নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাকে আমরা চিনি না। বাড়ির মালিককে আমরা মুখ-চেনা চিনি। তেমন চিনি না। বাড়ির মালিকের নাম আব্দুল ওহাব। তিনি কোথায় থাকেন তা জানি না। তবে কেয়ারটেকার সোহাগ এখানে ডিসের লাইনেও কাজ করে।
এদিকে গতকাল সকাল ১১ টার দিকে মেট্রো হাউজিংয়ে র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে বলেন, জঙ্গি আস্তাানায় কয়জন নিহত হয়েছে এই মুহূর্তে তা বলতে পারছি না। বাড়িটি লন্ডভন্ড অবস্থায় আছে। এখনও পুরো বাড়ি পরিষ্কার করা হয়নি। বাড়িটি পরিষ্কার করতে সময় লাগবে। এরপর নির্দিষ্ট করে নিহতের সংখ্যা বলা যাবে। তবে ঘরের মধ্যে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় তিনটি পা দেখা গেছে। ধারণা করছি সেখানে অন্তত দু’জন নিহত হয়েছে। র্যাবের মহাপরিচালক সকালে বসিলার মেট্রো হাউজিংয়ে সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানা পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের সদস্যরা কেয়ারটেকারকে বাড়ি থেকে বের করে এনে কথা বলেন। তখন আমাদের সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। আমরাও পাল্টা গুলি চালাই। র্যাব প্রায় ১৫০ রাউন্ড গুলি করেছে। তারাও গুলি করেছে। তারা কিছু ইমপ্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) নিক্ষেপ করেছে আমাদের দিকে। শেষের দিকে তারা বাড়িটি উড়িয়ে দিয়েছে।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, রাতে আমরা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়েছি। হলি আর্টিজানের পর থেকেই আমরা নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছি। প্রতি সপ্তাহেই আমরা জঙ্গি গ্রেপ্তার করছি। আমরা যত কাজই করি না কেন জঙ্গিদের থেকে দৃষ্টি ফেরাইনি। একদিন আগেও বরিশাল থেকে জঙ্গি গ্রেপ্তার করেছি।
বাড়িতে অবস্থান নেওয়া জঙ্গিরা কোন সংগঠনের ছিল-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা প্রাথমিক অবস্থায় আছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে। এত বিস্ফোরক সেখানে আনার সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা ধরতে পারলে এ পর্যন্ত আমাদের আসতে হতো না। আমরা আগেই তাদের ধরে ফেলতাম। আমাদের যথেষ্ট চেষ্টা রয়েছে, যাতে কেউ বিস্ফোরক সংগ্রহ, মজুত বা এগুলো ব্যবহার করে প্রশিক্ষণ নিতে না পারে। এসব বিষয়ে আমরা নজরদারি করি। প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা এ ধরনের অনেক ঘটনা থামিয়ে দিয়েছি। সেগুলো আপনারা জানেন না।
উল্লেখ্য, র্যাব-২ একটি দল রোববার রাত তিনটার দিকে মেট্রো হাউজিংয়ে টিনশেড বাড়িতে জঙ্গিদের অবস্থানের খবর পায়। এরপর তারা বাড়িটি ঘিরে রাখেন। আর র্যাবের অভিযান শুরুর পরপরই ওই বাসার ভেতরে বিস্ফোরণ ঘটানো এবং র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। পরে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। সকাল ৯টার পর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে সঙ্গে নিয়ে র্যাবের স্পেশাল ফোর্সের সদস্যরা ওই বাড়িতে ঢোকে। ওই সময়ও সেখান থেকে কয়েক দফা গুলির শব্দ পাওয়া যায়। এরপর সকাল ১১টায় বাঁশ ও টিন দিয়ে তৈরি বাড়িটিতে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। পরে ফায়ার সার্ভি এন্ড সিভিল ডিফেন্সের একটি ইউনিট এসে আগুন নির্বাপন করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।