Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এশিয়ায় আগুন লাগাবেন না, ওবামাকে চীন

প্রকাশের সময় : ২৬ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে চীন বলেছে, এশিয়ায় আগুন উসকে দেবেন না। ভিয়েতনামের ওপর আরোপিত অস্ত্র বিক্রির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বেইজিং। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র চায় না ডেইলি’র সম্পাদকীয়তে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়। এতে বলা হয়েছে, ভিয়েতনাম ও যুক্তরাষ্ট্র যেন আঞ্চলিক আগুন উসকে না দেয়। চীনের উত্থান ঠেকানোর জন্য ওবামা পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয় সম্পাদকীয়তে। এতে আরো বলা হয়েছে, ভিয়েতনামের ওপর থেকে সত্যিই যদি অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয় তবে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার ওপর তা অশুভ প্রভাব ফেলবে।
এদিকে, ৫০ বছরের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের একদিন পরই দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে আঞ্চলিক দেশগুলোর সঙ্গে বেইজিংয়ের বিরোধের ক্ষেত্রে ভিয়েতনামের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেন ওবামা। তিনি বলেন, দক্ষিণ চীন সাগরে ভিয়েতনাম নিজের বলে যে অংশকে দাবি করছে তার প্রতি সমর্থন ঘোষণা করছে যুক্তরাষ্ট্র। গত রোববার দেশটিতে পৌঁছান তিনি। ভিয়েতনাম যুদ্ধের পর এ নিয়ে তৃতীয় ক্ষমতাসীন কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট দেশটি সফর করছেন।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, দৃশ্যত এক কমিউনিস্ট দেশকে অস্ত্র বেচার সিদ্ধান্ত নিয়ে আর এক কমিউনিস্ট দেশের ক্রোধের মুখে পড়লেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ভিয়েতনামকে মারণাস্ত্র বেচার ওপর গত ৫০ বছর ধরে নিষেধাজ্ঞা ছিল আমেরিকার। গত সোমবার সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ঘোষণা করেছেন ওবামা। এবং যথারীতি এই সিদ্ধান্তকে ভালো ভাবে নেয়নি চীন। আর এরই প্রেক্ষিতে তোপ দেগেছে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র চায়না ডেইলি। সম্পাদকীয়তে আরো লেখা হয়েছে, এটা স্পষ্টতই চীনের উত্থানকে আটকানোর চেষ্টা।
কড়া সমালোচনার সুর উঠেছে চীনের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়ও। যদিও ওবামা দাবি করেছেন, চীনের দিকে তাকিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। কিন্তু ওবামার এই দাবিকে অতি দুর্বল মিথ্যাভাষণ বলে অভিহিত করেছে চীনের গ্লোবাল টাইমস ট্যাবলয়েড। এশিয়ায় আগুনের ফুলকি ছেটানোর চেষ্টা যেন না করে আমেরিকা, এমনই সতর্কতা দেয়া হয়েছে বেইজিংয়ের তরফ থেকেও। এমনিতে দুই প্রতিবেশি সমাজতান্ত্রিক দেশ চীন আর ভিয়েতনামের মধ্যে সম্পর্কটা বেশ জটিল। সমাজতান্ত্রিক আদর্শে এবং পশ্চিমি সমাজতন্ত্রের বিরোধিতায় দুটি দেশই এক জায়গায়। কিন্তু সীমান্ত বিরোধে একদা রক্তক্ষয়ী সংঘাতে জড়িয়েছে এই দু’দেশ। দক্ষিণ চীন সাগরের ছোট ছোট দ্বীপের দখল নিয়েও দু’দেশের মধ্যে বিরোধ চলছে। এ অবস্থায় ওবামার ভিয়েতনাম সফর এবং ভিয়েতনামের ওপর থেকে মারণাস্ত্র বিক্রির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চীনকে চাপে ফেলেছে বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। সিনহুয়া, বিবিসি ও পার্সটুডে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এশিয়ায় আগুন লাগাবেন না
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ