Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

চট্টগ্রামে বাজার মনিটরিং শুরু

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

মূল্য কারসাজি প্রতিরোধ করে আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে বাজার মনিটরিং। গতকাল রোববার প্রথম দিনে দেশের অন্যতম পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জ এবং রেয়াজুদ্দিন বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। মূল্য তালিকা না থাকায় জরিমানা করা হয় কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন দোকান ও আড়তে গিয়ে পণ্যমূল্য যাচাই করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরুর আগে সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে রমজান মাসজুড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলবে। প্রতিদিন ম্যাজিস্ট্রেটদের দুটি টিম নগরজুড়ে বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালাবে। এজন্য ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে আলাদা করে টিম গঠন করা হয়েছে।
এছাড়া সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনারদের নিজ নিজ উপজেলায় অভিযান চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম শুরু করেছি। রমজানের আগ পর্যন্ত বাজারে বাজারে বিশেষত পাইকারী বাজারে গিয়ে দ্রব্যমূল্য মনিটরিং করবো। অসঙ্গতি পেলে সতর্ক করা হবে। তবে রমজান শুরুর পর কোনো ধরনের অসঙ্গতি দেখলে আর ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, রমজানের যেসব প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য, চাল, ডাল থেকে শুরু করে পেঁয়াজ, রসুন আদার দাম রোজা এলে হঠাৎ করে বেড়ে যায়। অথচ আমাদের যে যোগান থাকে, দাম বাড়ার কথা না। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রমজান এলেই দাম বাড়ানোর চেষ্টা করেন, যেহেতু চাহিদা বাড়ে। মূলত এটা ঠেকানোর জন্য বাজার মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা।
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ, রিয়াজউদ্দিন বাজারসহ যেসব পাইকারী বাজার আছে, এখানে দ্রব্যমূল্য উঠানামার সঙ্গে দেশের বাকি বাজারের দ্রব্যমূল্য উঠানামা নির্ভর করে। চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে আমদানি করা হয় পণ্য। সুতরাং চট্টগ্রামে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে পুরো দেশেই নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
শুরুতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় খাতুনগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বাদশা সোলায়মান ও সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন। অভিযানে ব্যবসায়ী সমিতি ও দোকান মালিকদের যথাযথভাবে ক্রয়-বিক্রয় মূল্য প্রদর্শনপূর্বক মূল্য তালিকা প্রদর্শন, ক্রয়-বিক্রয়ের যথাযথ রশিদ সংরক্ষণ করার নির্দেশনা দেয়া হয়। খাদ্যজাতীয় পণ্য বিশেষভাবে খেজুর গুদামজাতের জন্য যথাযথ স্বাস্থ্যকর প্রক্রিয়া অনুসরণের নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
অভিযানে মূল্য তালিকা না থাকায় একটি ছোলাবুট ও ডালের পাইকারী দোকানকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অস্বাস্থ্যকর ভাবে খেজুর সংরক্ষণের দায়ে খেজুরের একটি আড়তকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে অপর অভিযানটি পরিচালনা করা হয় দেশের অন্যতম বৃহত্তম বাজার রেয়াজুদ্দিন বাজারে। এ সময় একটি মুদি দোকান ও একটি মুরগীর দোকানকে মূল্য তালিকা অনুযায়ী পণ্য বিক্রি না করার দায়ে পৃথক দুইটি মামলায় মোট ১৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া মূল্য তালিকা না থাকায় কাঁচাবাজারের একটি দোকানকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাজার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ