পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গ্রীষ্মের তাপদাহের প্রভাবে তীব্র গরমে দেখা দিচ্ছে নানা ধরণের রোগ বালাই। এ দাবদাহের প্রভাব সবচেয়ে বেশী পড়ছে শিশুদের উপর। তীব্র গরমের কারণে জ্বর, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াতে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে শিশুরা।
গত সপ্তাহের গরমের কারণে স্বাভাবিকের তুলনায় বিভিন্ন হাসপাতালে শিশুদের ভর্তির সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। গতকাল শনিবার রাজধানীর জাতীয় চক্ষু হাসপাতালের শিশু বিভাগে রোগীর উপচে পড়া ভীড় ছিলো। মহাখালীর আইসিডিডিআর’বিতে পানিবাহী রোগে আক্রান্ত হওয়া রোগীদের দীর্ঘ ভীড় লক্ষ করা গেছে।
বাচ্চাকে নিয়ে চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ফারিয়া আক্তার মণি বলেন, গত কয়েকদিন থেকেই পাতলা পায়খানা, জ্বরের কারণে বাচ্চার কাহিল অবস্থা। একটু সুস্থ হওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। চিকিৎসকরা বলছেন, বছরের এ সময়টায় ডায়রিয়া এবং নিউমোনিয়ার প্রকোপ থাকে। গরমের কারণে অনেক সময় ঘাম জমে ভাইরাসজনিত জ্বর এবং নিউমনিয়া হচ্ছে।
শুধু রাজধানী ঢাকায় নয়, চট্রগ্রাম, খুলনাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও গরমের কারণে শিশুরা পানিবাহিত বিভিন্ন সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। চট্রগ্রামে ডায়রিয়া, ব্রংকিউলাইটিস ও নিউমোনিয়াসহ নানা রোগে কাবু ১ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুরা। নগরীর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালসহ একাধিক চিকিৎসাকেন্দ্রে দেখা গেছে একই অবস্থা।
অবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এবার সবচেয়ে বেশি গরম পড়ছে খুলনা বিভাগের কয়েকটা জেলায়। তীব্র তাপদাহে খুলনার বিভিন্ন অঞ্চলে পানিবাহিত বিভিন্ন ধরনের রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। নগরীর শিশু হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ডায়রিয়া, কলেরা, হেপাটাইটিস, আমাশয়, টাইফয়েডসহ নানা পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।
খুলনা শিশু হাসপাতালের তথ্যমতে, গত ২ সপ্তাহে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে খুলনা শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ২১০ জন। এর মধ্যে নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা ছিল ৮৫ শিশু। পয়লা বৈশাখ এর পর থেকেই পছন্ড গরম পড়ায় ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। গরম না কমায় এ হার কমার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
সারাদেশে উল্লেখযোগ্য হারে শিশু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে আসা খুব কম শিশুই বাড়ি ফিরতে পারছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
তবে কয়েকদিনের মধ্যেই পানিবাহিত ও শিশু রোগের সংখ্যা কমে আসবে ইঙ্গিত দিয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। রোগের প্রাদুর্ভাব কমাতে গরম থেকে শিশুদের দূরে রাখা, পর্যাপ্ত পানি খাওয়ানো, নিয়ম মেনে গোসল করানোসহ ঘরে তৈরি সবজি জাতীয় খাবার খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।