পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নতুন বাংলা বছরের বৈশাখ মাস চলছে। এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে কাঁচা আম। আর কদিন পরই আসবে মিষ্টি মধুর স্বাদের পাকা আম। প্রতি বছর আমের সময় বাজার থেকে কিনে প্রচুর আম খাওয়া হয়। আম খাওয়ার পর স্বাভাবিক ভাবেই ফেলে দেয়া হয় আঁটি। কিন্তু অবাক হওয়ার মত বিষয় যে, আমের আঁটি অনেক রোগ সারায়।
আমের অনেক পুষ্টিগুণ আছে যা মানবদেহের জন্য বিশেষ উপকারী। আম প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল যা স্তন, প্রোস্টেট এবং কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে ভ‚মিকা রাখে। এছাড়াও আমের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিউকেমিয়া রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
আমে আছে উচ্চমাত্রার ভিটামিন ‘এ’। ভিটামিন ‘এ’ দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে। সে সঙ্গে প্রতিরোধ করে রাতকানা রোগও। আমের মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার ও ভিটামিন ‘সি’ যা লিপোপ্রোটিনের ঘনত্ব কম রাখতে সহায়তা করে। ফলে শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কম থাকে।
শুধু আম নয়, আমের আঁটিও খুব উপকারী। আমের আঁটি অনেক রোগ সারাবে। এমন তথ্য জানা গেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে। আম খেলে আমাদের শরীরের রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। তবে আমের আঁটি খেলে তার প্রতিক্রিয়া আলাদা। আমের আঁটি খেলে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এখানেই শেষ নয়, বেশ কয়েকটি রোগের সারাবে আমের আঁটি। কাঁচা আমের আঁটি যেসব রোগ সারাবে সেগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো।
চুলের খুশকি : চুলের খুশকি সারাতে আমের আঁটি বিশেষভাবে কাজ করে। এ জন্য আমের আঁটি শুকিয়ে গুঁড়ো করতে হবে। এরপর তা মাথার ত্বকে লাগাতে হবে। এছাড়া পানির সঙ্গে মিশিয়ে মাথায় ঘষতে পারেন। এতে খুশকি কমে যাবে।
চুল পড়া বন্ধ : আমের আঁটির গুঁড়ো মাথার ত্বককে শুষ্ক রাখতে সাহায্য করে। ফলে চুল ওঠার সমস্যাও অনেকটা নিয়ন্ত্রিত হয়।
অতিরিক্ত ওজন : ওবেসিটি বা অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা থাকলে কাঁচা আমের আঁটি খেতে পারেন। তা ওজন হ্রাস করবে। ফ্যাট বার্ন করতে আমের আঁটি অত্যন্ত কার্যকরী।
ডায়রিয়া : ডায়রিয়া হলে আমের আঁটি শুকিয়ে গুঁড়ো করুন। এরপর তা পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। ক্রনিক ডায়রিয়া সারাতে খুবই কার্যকরী আমের আঁটি।
এছাড়া কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও কাঁচা আমের আঁটি খুবই কার্যকরী। নরম এই আঁটি কামড়েই খাওয়া যায়। একটু কষ ও কিছুটা তেতো স্বাদ। তবে এতে কোনো ক্ষতি হওয়ার ভয় নেই। এছাড়া কাঁচা আমের আঁটি শুকিয়ে গুঁড়ো করে দুধের সঙ্গে ব্যবহার করতে পারেন। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।