নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশ্বকাপ মিশনে প্রতিটি দেশই নিজেদের সেরা দল গড়েছে। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ভারত, পাকিস্তান এমনকি আফগানিস্তানও। সম্মুখ সমরে দক্ষ সেনাপতিদের ধারালো ব্যাটে-বলে প্রতিপক্ষ মোকাবেলায় প্রস্তুত সবাই। বিশ্বযুদ্ধের মঞ্চে তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের পেরে ওঠা আদতেই কঠিন বলে মনে করেন টাইগার হেড কোচ স্টিভ রোডস।
তবে শিষ্যদের প্রতি আস্থা হারাচ্ছেন না এই ইংলিশ ম্যান। যত শক্তিশালী দলই হোক না কেন, তার শিষ্যরা যে কাউকেই হারিয়ে দিতে সক্ষম বলে মনে করেন তিনি, ‘যদি সত্যি কথা বলি, বেশ কয়েকটি ভালো দল এবারের বিশ্বকাপে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ভালো খেলাটা কঠিন হবে। তবে আমি বেশ কয়েকটি দেশকেই জানি যারা বাংলাদেশকে সমীহ করে। তারা জানে, যত ভালোই তারা খেলুক না কেন তাদের হারিয়ে দেওয়ার সামর্থ বাংলাদেশের আছে।’
মন্তব্যটি অবশ্য তিনি হাওয়া থেকে করেননি। নিকট অতীত থেকে দেখেছেন, ইংলিশ কন্ডিশনে নিউজিল্যান্ডকে নাস্তানাবুদ করে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমি ফাইনাল খেলেছে মাশরাফির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। কম যায়নি গেল বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও। নিজেদের মাঠেও ক্যারিবীয়ানদের নাকানি-চুবানি খাইয়ে দিয়ে সিরিজ জয়ের গৌরব নিয়ে দেশে ফিরেছে ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালিস্টরা। কাজেই আস্থা হারানোর কোনো কারণই টাইগার কোচের কাছে নেই, ‘সেটা আমরা প্রমাণ করেছি। আমি এখানে আসার আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ ভালো করেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে আমরা গোটা কয়েক জয় পেয়েছি। আমরা এমন একটি দল যারা শীর্ষ দলগুলোকে হারাতে সক্ষম।’
তবে সেই জয়গুলো এখন শুধুই অতীত। যা মনে করে হয়তো আত্মপ্রসাদ লাভ করা যায়, তৃপ্তির ঢেকুরও তোলা যায়। তাই বলে বিশ্বকাপের মতো আসরে নির্ভার তো আর থাকার উপায় নেই। তাই বিশ্বযুদ্ধের মঞ্চে শিষ্যদের সেরা লড়াইয়ের পরামর্শ দিয়ে রাখলেন এই টাইগার হেড কোচ, ‘আমাদের সেরা খেলাটিই খেলতে হবে। সেটাই হবে আমার বার্তা। আমরা যদি সত্যিই দূরে যেতে চাই, নক আউটে খেলতে চাই তাহলে আমাদের নিশ্চয়ই ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে।’
মাশরাফির সঙ্গে তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান খেলতে যাচ্ছেন তাদের চতুর্থ বিশ্বকাপ। মাহমুদউল্লাহ ও রুবেল হোসেন খেলতে যাচ্ছেন তাদের তৃতীয় বিশ্বকাপ। তাদের উপস্থিতি আশা দেখাচ্ছে রোডসকে, ‘আমাদের এমন খেলোয়াড় আছে যারা আগে বিশ্বকাপে খেলেছে। অনেক ওয়ানডেতে খেলার অভিজ্ঞতায় ওরা পূর্ণ। আমার মনে হয়, কয়েকজন খেলোয়াড়ের জন্য এখনই সময়।’
বিপিএলে চোটে পড়ে নিউজিল্যান্ড সফরে যেতে পারেননি সাকিব। চোট সেরে ফিরে সরাসরি খেলতে যান আইপিএলে। সানরাইজার্স হায়দারবাদের প্রথম ম্যাচে নামার সুযোগ পেয়েছিলেন। তেমন কিছু করতে না পারায় সেই যে বাদ পড়েন আর পরের আট ম্যাচেও জায়গা হয়নি। একাদশ জায়গা না পাওয়ার হতাশা থেকে দেশে ফিরে আসতে চেয়েছিলেন ২২ এপ্রিলেই। কিন্তু সানরাইজার্সের অন্য বিদেশীরা চলে যাওয়ায় খেলার সম্ভাবনা তৈরি হয় তার।
চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে দলের দশম ম্যাচে একাদশেও ফেরেন সাকিব। বিশ্বকাপের আগে দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়ের অনুশীলনটা ঠিকমতো হচ্ছে কিনা খোঁজ খবর নিচ্ছিলেন রোডস। সার্বিক পরিস্থিতিতে জানিয়েছেন নিজের সন্তুষ্টি, ‘সাকিবের ওখানে থাকার একটাই কারণ যদি দু’একটা ম্যাচ পায়। সেদিন একটা ম্যাচে নেমেছে। আশা করছি দুই-তিনটা খেলা পাবে। খেলতে না পারলে ঠিকমতো অনুশীলন হচ্ছে কিনা এই নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন ছিলাম, কিন্তু না সে সেখানে ভালোভাবেই অনুশীলন করতে পারছে । সেদিন টিভিতে দেখলাম সে খুবই স্বচ্ছন্দ ছিল। দেখে ফিট মনে হয়েছে। ফিল্ডিংয়ে গতিময় ছিল। আমি খুশি, আরও খুশি হবো যদি সে আরও ম্যাচ খেলতে পারে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।