Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

২০ লাখ ৪৯ হাজার ৯৪৭টি সিম নিষ্ক্রিয়

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৭ এএম

জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে একজন গ্রাহকের নিবন্ধনকৃত ১৫টির অতিরিক্ত সিম নিষ্ক্রিয় করছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বিটিআরসি)। এজন্য গতকাল (বৃহস্পতিবার) মধ্যরাত (জিরো আওয়ার) থেকে ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৯৪৭টি মোবাইল সিম বন্ধ করে দেয়ার কথা। নির্ধারিত সংখ্যকের বেশি যেসব মোবাইল সিম ব্যক্তির নামে নিবন্ধন হয়েছে সেগুলো বন্ধ করে দিতে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি দেশের সব মোবাইল অপারেটরকে নির্দেশনা দিয়েছে।
সংস্থার সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেন খাঁন বলেন, ২৬ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার রাত) মধ্যরাত ১২টা থেকে ভোর ৬টার মধ্যে এক এনআইডির বিপরীতে অতিরিক্ত সিম নিস্ক্রিয় হয়ে যাবে। তিনি জানান, অতিরিক্ত সিমের মধ্যে গ্রামীণফোনের চার লাখ ৬১ হাজার ২৬১, বাংলালিংকের চার লাখ ৫৫ হাজার ৮৩১, রবির চার লাখ ১৯ হাজার ২০২, এয়ারটেলের ২ লাখ ২৫ হাজার ৭৪১ এবং টেলিটকের চার লাখ ৮৭ হাজার ৮৯২টি সিম বন্ধ করা হবে।
এ বিষয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, নিরাপদে মোবাইল সিম ব্যবহারে এ প্রচেষ্টা আরও গ্রাহক বান্ধব হবে এবং এ খাত অধিকতর সুশৃঙ্খল হবে। আশা করছি, এর ফলে জনসাধারণ নির্বিঘেœ উন্নত টেলিযোগাযোগ সেবা গ্রহণ করতে পারবে।
যদিও গ্রাহকদের অসুবিধার কথা তুলে ধরে বিটিআরসির কাছে সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করে বাংলাদেশের মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন ‘অ্যামটব’। সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, গ্রাহকদের অসুবিধার কথা তুলে ধরে বিটিআরসির কাছে সময় বাড়ানোর জন্য আমরা আবেদন করেছি। কারণ অনেক সিম অনলাইন বা আর্থিক কাজে ব্যবহৃত হয়। আমরা আশা করি, নিয়ন্ত্রক সংস্থা গ্রাহকদের কথা বিবেচনা করে আমাদের আবেদনে সাড়া দেবে। অ্যামটব মহাসচিব ব্রি. জে. (অব.) এস এম ফরহাদ স্বাক্ষরিত ওই আবেদনে সিম বন্ধ হলে গ্রাহকদের চারটি সমস্যা হবে উল্লেখ করা হয়েছে। এগুলো হলো, সিম বন্ধ হলে সংশ্লিষ্ট নম্বরের বিপরীতে খোলা মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব (মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস) বন্ধ হয়ে যাবে, অনলাইন লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যাংক হিসাব বা ক্রেডিট কার্ড ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের (বিশেষত ফেসবুক) আইডি নিষ্ক্রিয় হবে এবং ওটিপি-ওভার দ্য টপ (বিভিন্ন অ্যাপসভিত্তিক যোগাযোগ ব্যবস্থা) বাধাগ্রস্ত হবে।
২০১৬ সালের ২০ জুন গ্রাহক প্রতি সর্বোচ্চ ২০টি সিম রাখার সীমা বেঁধে দিয়েছিল বিটিআরসি। তা আরও কমিয়ে ২০১৭ সালের অগাস্টে সর্বোচ্চ পাঁচটি সিম রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর ওই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর গ্রাহক প্রতি সর্বোচ্চ ১৫টি সিম বা রিম রাখার সুযোগ দেয় বিটিআরসি।
বিটিআরসি বলেছে, কর্পোরেট গ্রাহকের ক্ষেত্রে সিম সংখ্যা নির্ধারণ করে দেওয়া বাস্তব সম্মত নয়। তাই কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সিম বা রিম কেনার জন্য অনুমোদিত ব্যক্তি এ সীমার আওতামুক্ত থাকবেন।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিম

২০ অক্টোবর, ২০২২
২৫ আগস্ট, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ