নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : বাংলাদেশের প্রায় সব ব্যাটিং রেকর্ডই তার দখলে। বাঁ-হাতি এই ওপেনারের ব্যাটে জন্ম অনেকগুলো ‘প্রথম’ কীর্তিরও। এবার বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ৬ হাজার রান স্পর্শ করেছেন তামীম ইকবাল। গতকাল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনী লিমিটেডের হয়ে গাজী গ্রæপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ৫৫ রানের ইনিংসের পথে মাইলফলক স্পর্শ করেন তামীম। ৬ হাজার ছুঁতে এই ম্যাচে প্রয়োজন ছিল তার ৩৮ রান। ইনিংসের ১৮তম ওভারে সাঈদ আনোয়ার জুনিয়রকে চার মেরে পৌঁছে যান নতুন ঠিকানায়। ১৮৭ ইনিংসে ৬ হাজার ছুঁলেন তামীম। শতক করেছেন ৮টি, অর্ধ শতক ৪১টি। আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতেই ৪ হাজার ৭১৩ রান করেছেন তামীম। বিভিন্ন সময় প্রস্তুতি-গা গরমের ম্যাচ মিলিয়ে জাতীয় দলের হয়েই লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে তার রান ৪ হাজার ৮৯৯ রান। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তার আবাহনীর হয়েই। এবারের লিগে ৮ ইনিংসে এখনও পর্যন্ত করেছেন ৩২৬ রান।
একই দিনে ৬ হাজার স্পর্শ করার সুযোগ ছিল মুশফিকুর রহিমেরও। তার প্রয়োজন ছিল ৯৭ রান। কিন্তু মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে মোহামেডান অধিনায়ক আউট হয়ে যান রানের খাতা খোলার আগেই। এই দৌড়ে আরেক প্রতিযোগী সাকিব আল হাসানের রান ৫ হাজার ২৭৬। তামীমের মাইলফলকের দিনে চমক দেখিয়েছে আবাহনীর আরেক বিদেশি রিক্রুট রজত ভাটিয়া। প্রথম ম্যাচেই দারুণ এক ইনিংস খেলে আবাহনীকে মোটামুটি একটা বড় স্কোর এনে দিয়েছেন ভাটিয়া। পাঁচে নেমে ভাটিয়া করেছেন ৮৮ বলে অপরাজিত ৯০। বিকেএসপিতে ৫০ ওভারে আবাহনী তুলেছে ৬ উইকেটে ২৭৬। বৃষ্টির কারণে পরে ব্যাটিংয়েই নামতে পারেনি গাজী গ্রæপ ক্রিকেটার্স। রান তাড়ায় নামবে তারা আজকের রিজার্ভ ডেতে।
আট ম্যাচে এই নিয়ে চতুর্থ বিদেশি ক্রিকেটার নিয়ে নেমেছে আবাহনী। লিগের শুরুতে আবাহনীর বিদেশি ক্রিকেটার ছিলেন উদয় কাউল। চার ম্যাচ খেলে ভারতীয় ব্যাটসম্যান ফিরে যান ইংল্যান্ডে ক্লাব ক্রিকেট খেলতে। এরপর ২ ম্যাচ খেলেছেন ভারতেরই মানবিন্দর বিসলা, এক ম্যাচ মনোজ তিওয়ারি। এরপর আবাহনী এনেছে অলরাউন্ডার ভাটিয়াকে।
টস জিতে বোলিংয়ে নামা গাজী শুরু করে চমক দিয়ে। নতুন বল হাতে নেন অনিয়মিত বোলার শামসুর রহমান! দলকে প্রথম সাফল্যও এনে দেন তিনি। ফিরিয়ে দেন অভিষেক মিত্রকে। দ্বিতীয় উইকেটে লিটন কুমার দাসকে নিয়ে তামীম গড়েন ৯২ রানের জুটি। রান খরায় থাকা লিটন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ফর্মে ফেরার। তবে শেষ পর্যন্ত বড় করতে পারেননি ইনিংস (৪৬ বলে ৩৭)।
৩৮ রানের মাথায় তামীম বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে স্পর্শ করেছেন ৬ হাজার লিস্ট ‘এ’ রান। তবে আরও একবার আউট হয়েছেন পঞ্চাশ পেরিয়ে (৫৫)। চলতি লিগে আট ম্যাচে তার এটি চতুর্থ অর্ধ শতক।
আগের ম্যাচগুলোয় বারবার তামীমের বিদায়ে খেই হারিয়েছে আবাহনী। এবার সেই সময়টা দারুণ দক্ষতায় সামাল দিয়েছেন ভাটিয়া। পঞ্চম উইকেটে মোসাদ্দেক হোসেনের সঙ্গে ভারতীয় অলরাউন্ডার গড়েছেন ৯৩ বলে ১০০ রানের জুটি। ৪৬ বলে ৪৭ রান করে ফেরেন মোসাদ্দেক। ভাটিয়া অপরাজিত থেকে যান ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৯০ রান করে। ৯ জন বোলার ব্যবহার করেছেন গাজীর অধিনায়ক অলক কাপালি, তবু আরও কমে থামানো যায়নি আবাহনীকে।
আবাহনী-গাজী গ্রæপ
আবাহনী : ২৭৬/৬ (৫০ ওভার) তামীম ৫৫, অভিষেক ১০, লিটন ৩৭, শান্ত ২২, ভাটিয়া ৯০*, মোসাদ্দেক ৪৭, শামসুর ১/৩৬, কাপালী ১/৩১, সাঈদ জুনি. ১/৪৬, মেহেদী ২/৩২, ফারুক ১/১২। (অসমাপ্ত)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।