Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শ্রীলঙ্কায় হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন জাহরান হাশিম কে?

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ এপ্রিল, ২০১৯, ৫:৫২ পিএম

শ্রীলঙ্কায় হামলার দায় স্বীকার করেছে তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস৷ মঙ্গলবার তারা একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে জাহরান হাশিমকে দেখা গেছে৷ শ্রীলঙ্কার সরকারও ইস্টার সানডের দিন পরিচালিত হামলার সঙ্গে হাশিম ও তার প্রতিষ্ঠিত ‘ন্যাশনাল তাওহীদ জামাত’ বা এনটিজে সদস্যরা জড়িত থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে৷ আইএস-এর ভিডিওতে হাশিমকে দেখা যাওয়ার পর সেই আশঙ্কা আরও বেড়েছে৷ রোববার কয়েকটি গির্জা ও হোটেলে চালানো হামলায় কয়েকজন বিদেশিসহ সাড়ে তিনশর বেশি ব্যক্তি নিহত হয়েছেন৷

স্থানীয় গণমাধ্যম জানাচ্ছে, জাহরান হাশিম ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার কাত্তানকুডি এলাকায় এনটিজে নামে সংগঠনটি গড়ে তোলেন৷ ঐ এলাকার একটি ইসলামি কলেজে হাশিম ভর্তি হয়েছিলেন বলে বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন ‘মুসলিম কাউন্সিল অফ শ্রীলঙ্কা’-র ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিলমি আহামেদ৷ তবে হাশিম পড়াশোনা শেষ করতে পারেনি বলেও জানান তিনি৷

উল্লেখ্য, কাত্তানকুডি এলাকাটি শ্রীলঙ্কার পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত এবং সেটি একটি মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা৷

মুসলিম কাউন্সিল অফ শ্রীলঙ্কার ভাইস-প্রেসিডেন্ট আহামেদ জানান, কাত্তানকুডির তাওহীদ মসজিদের সাধারণ মুসলমানরা হাশিমকে বিপজ্জনক মনে করতেন৷ একবার হাশিম তলোয়ার হাতে বের হয়ে মুসলমানদের হত্যা করতে উদ্যত হয়েছিলেন বলেও জানান তিনি৷

তিনি বলেন, ‘প্রায় তিন বছর আগে হাশিম সম্পর্কে তাঁরা পুলিশকে সতর্ক করেছিলেন৷ হাশিম আগে একা ছিলেন৷ পরবর্তীতে কোরান শিক্ষার নামে তরুণ প্রজন্মকে মৌলবাদের পথে পরিচালিত করেন তিনি।’

উল্লেখ্য, ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে হাশিমের অনেক অনুসারী রয়েছে৷ রোববারের হামলার সময় হাশিম নিজে আত্মঘাতী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিনা, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি৷ ফলে তিনি এখনও বেঁচে আছেন, নাকি মারা গেছেন, তা নিশ্চিত নয়৷

এদিকে, হামলা চালাতে হাশিমের এনটিজে সংগঠনকে ইসলামিক স্টেট কতখানি সহায়তা করেছে, তা তদন্ত করে দেখছে শ্রীলঙ্কার সরকার৷ তবে আহামেদ বলেন, হাশিমের আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ছিল বলে স্থানীয় মুসলমান সম্প্রদায় জানত৷ ‘তার সব ভিডিও ভারত থেকে আপলোড করা হতো৷ তিনি মানবপাচারকারীদের নৌকা ব্যবহার করে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে নিয়মিত যাতায়াত করতেন,’ বলে জানান তিনি৷ সূত্র: ডয়েচ ভেলে।



 

Show all comments
  • DR. Jahangir Miah ২৫ এপ্রিল, ২০১৯, ১০:৪৮ পিএম says : 0
    Bismillahir Raḥmānir Raḥīm As Salaam Alaykum Sisters and Brothers, I greet you with the greetings of the people of Jannah, may Allah make us amongst those who will enjoy Allah’s mercy and bounty now and in the hereafter Insha’Allah. I want to share a small reminder, a reminder for myself first and then for my fellow Muslims Ummah. Bismillah… This week the tragic incidents in Sri Lanka have shocked the world. It is unthinkable that anyone could be as full of hate as to commit such heinous acts and kill so many innocent people. Is this the Islam you believe in? Is this our Most Merciful, Most Compassionate Allah whom we worship daily? Could Allah S.T. incite us to kill other peoples? Islam would never support the killing of innocent people. Allah of the Holy Qur’an never advocated killings. This is all the work of a few misguided individuals at the fringes of society. The real Islam is sanctified from violence. We Muslims denounce all violence. Islam means peace. Islam means tolerance. Muslims around the world strongly reject violence in the name of Islam. Specifically about suicide bombing, shooting and killing people, bombing any faith worship places etc. Today, a strong anti-religious sentiment has emerged in Europe, and North America, Killing non-combat people, children, woman, Old women/man, destroy worship places that’s the fuel for the anti-Muslim fire has been the rise. That’s the reason behind perceive of Islam not as a religion but as a political cult. As we know in Europe 1930s and 1940s, of the rise of fascism, Nazism and communism. It is worth political noting that the term “Islamophobia” was coined to draw an analogy between today’s militant Islamic movements (Wrong Concept) and the European fascist movements of the early 20th century. The twin challenges of “Islamophobia “and the uneasy state of many Muslim immigrant communities have led many in France, England, Holland, Austria, and elsewhere in Europe , Australia, New Zeeland, to attribute the problem to Islam. In any breeding ground and cause for militancy has only exacerbated the problem and lent credence to the claims of the extremists that the West and Indian one political party is at war with Islam. Terrorism is a tactic, and Islam never support them and we Muslim are wise to recognize that we cannot wage war against it. Instead, we need to focus on the social and emotional reasons for extremist behaviour. Dear Brothers and Sisters let entire world must know Islam’s firm position against all these terrible crimes. The world must know that Islam is a religion of peace and mercy and goodness only, it is a religion of justice, love and guidance. Islam has forbidden violence in all forms. We Muslim strongly condemn such activities that are against all humanist and Islamic morals. We need a human-centred approach, one that starts from within. Please be a total loyalty to Islam and total disavowal of anything else. It is one of Islam's main foundations and is of paramount importance, second only to Tawhid, acknowledgement of the oneness of Allah S.T. and rejection, hate, and enmity against the other is commanded, based upon Qur'anic and Sunnah foundations. O, Muslim Ummah, my dear Sisters and Brothers please wake up for the sake Allah and His prophet, now the time do somethings our young people against extremist ideologies. With kind Regards Servant of Allah – Dr. Jahangir Miah
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শ্রীলঙ্কায় বোমা হামলা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ