পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বহুল প্রত্যাশিত ঢাকা-রাজশাহী-ঢাকা রুটে চলাচলের জন্য বিরতিহীন ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ ট্রেন আজ বৃহস্পতিবার উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধনের জন্য ট্রেনটি সাজিয়ে গুজিয়ে রাজশাহী স্টেশনে রাখা হয়েছে। গতকালই ঈশ্বরদী থেকে ট্রেনটি রাজশাহী স্টেশনে আসে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে ট্রেনটি উদ্বোধন করবেন। রাজশাহীতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনসহ রেলওয়ে কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যাক্তিরা। সকাল দশটায় রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত থেকে রেলমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর সাথে যুক্ত হবেন। ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানীকৃত নতুন কোচের এই ট্রেনের রয়েছে বিলাসবহুল ভ্রমণের সুযোগ। এই প্রথম এই ট্রেনে বায়ো-টয়লেট সংযোজন করা হয়েছে। ট্রেনটিতে প্রতিবন্ধী যাত্রীদের হুইল চেয়ারসহ চলাচলের সুবিধার্থে থাকছে প্রশস্থ দরজা (মেইন ও টয়লেট দরজা) এবং নির্ধারিত আসনের সুবিধা। প্রতিটি কোচ স্টেইনলেস স্টীলের তৈরী। থাকছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচে আধুনিক ও উন্নতমানের রুফ মাউন্টেড এয়ার কন্ডিশনার ইউনিট এবং এয়ার কার্টেইন এর ব্যবস্থা।
জার্মানীর ডিজাইনে তৈরী উচ্চগতি সম্পন্ন কোচগুলো আধুনিক অটোমেটিক এয়ার ব্রেক সিস্টেমের। থাকছে বিদদ্যুৎ সাশ্রয়ী এলইডি লাইট। অযুখানাসহ নামাজ ঘর। সুইং ডোর এর পরিবর্তে নিরাপদ স্লাইডিং ডোর। যাত্রী সাধারণের জন্য আধুনিক ও মানসম্মত চেয়ার, বার্থ, স্টেয়ার, পার্সেল রেক, টিভি মনিটর হ্যাঙ্গার, ওয়াই-ফাই রাউটার হ্যাঙ্গার, মোবাইল চার্জার এর ব্যবস্থা। রুফ রাইডারের মাধ্যমে পথিমধ্যে অনাকাঙ্খিত ট্রেন থামানো রোধে বিশেষভাবে ডিজাইনকৃত অ্যালার্ম চেইন পুলিং সিস্টেম। খাবার গাড়ির অত্যাধুনিক ডাইনিং সুবিধাদি রয়েছে ট্রেনটিতে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ১২ টি কোচ দ্বারা ট্রেনটি চলবে। মোট আসন সংখ্যা ৯২৮। এর মধ্যে এসি চেয়ার ১৬০টি, শোভন চেয়ার ৬৪৪টি, খাবার গাড়ীতে আসন ১০৮ টি এবং পাওয়ার কারে ১৬টি। ট্রেনটি শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন চলবে। ট্রেনটি রাজশাহী থেকে সকাল ৭টায় ছেড়ে ঢাকা পৌঁছাবে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে। এরপর ঢাকা থেকে ছাড়বে বেলা ১টা ১৫মিনিটে। রাজশাহী পৌঁছাবে সন্ধ্যা ৬টায়।
বিরতিহীন এই ট্রেনের ভাড়া একই রেলপথে চলমান ট্রেনের ভাড়ার তুলনায় নন-স্টপ সার্ভিস চার্জ ১০% বেশী। এছাড়া এই ট্রেনটিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রথম নিজস্ব ক্যাটারিং এন্ড ট্যুরিজম সার্ভিসেস (বিআরসিটিএস) দ্বারা খাবার সরবরাহ করা হবে। খাবার মুল্য ১৫০ টাকাসহ শোভন চেয়ারের ভাড়া ৪২৫ টাকা এবং এসি চেয়ারের ভাড়া ৮৭৫ টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।