Inqilab Logo

বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

টেল এন্ডারে উদ্ধার মোহামেডান ইমতিয়াজের ব্যাটে শীর্ষে দোলেশ্বর

প্রকাশের সময় : ২৫ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : অল্পের জন্য তৃতীয় শতক করতে পারলেন না ইমতিয়াজ হোসেন। একটুর জন্য এই ম্যাচেই ছুঁতে পারলেন না এবারের লিগে পাঁচশ’ রান। তবে তার ব্যাটের ভেলাতেই আরেকটি জয়ে আপাতত শীর্ষে প্রাইম দোলেশ্বর ক্রিকেট ক্লাব। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের অষ্টম রাউন্ডে প্রাইম দোলেশ্বর সহজেই হারিয়েছে কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমিকে। দোলেশ্বরের ২৮৭ রানের জবাবে একাডেমি ২১ ওভারে ৪ উইকেটে ৯৮ তোলার পর বৃষ্টিতে বন্ধ হয় ম্যাচ। ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে দোলেশ্বরের জয় ৪৯ রানে।
ফতুল্লায় উদ্বোধনী জুটিতেই বড় স্কোরের ভিত্তি পেয়ে যায় দোলেশ্বর। রবিউল ইসলাম রবির সঙ্গে ১১২ রানের জুটি গড়েন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ইমতিয়াজ। ক্যারিয়ারের তৃতীয় অর্ধশতক করে পরের বলেই স্টাম্পড হন রবি। দোলেশ্বর তাতে থমকায়নি। দ্বিতীয় উইকেটে ইমতিয়াজ ও রকিবুল হাসানের জুটি ৬২ রানের। ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে থাকা ইমতিয়াজ এদিনও খেলেছেন দারুণ। লিগে তৃতীয় শত-কোটিকে মনে হচ্ছিল ¯্রফে সময়ের ব্যাপার। কিন্তু আউট হয়ে যান লেগ স্পিনার নূর হোসেনের বলে। ৯৪ বলে ৬টি চার ও ২ ছক্কায় করেছেন ৮৬। হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে (৪১৯) ছাড়িয়ে আবারও লিগের রান তালিকায় শীর্ষে উঠে গেছেন অভিজ্ঞ এই ডানহাতি ওপেনার (৪৯০)। তিনে নেমে রকিবুল করেছেন ৬৬। নাসির হোসেন ও ভারতীয় ব্যাটসম্যান অশোক মেনারিয়া বড় কিছু করতে পারেননি। কিন্তু শেষ দিকে ৪ ছক্কায় ১৫ বলে ৩৪ করেছেন অধিনায়ক ফরহাদ রেজা। ৯ বলে ১৫ রনি তালুকদার। শেষ ৫ ওভারে দোলেশ্বর তোলে ৬৩ রান। কলাবাগান একাডেমির ব্যাটিং শক্তির বিবেচনায় ২৮৮ রানের লক্ষ্যটা ছিল ভীষণ দুরূহ। ৪৭ রানের উদ্বোধনী জুটিতে তবু লড়াইয়ের ইঙ্গিত ছিল। এরপরই টানা উইকেট হারিয়ে তারা হারায় পথ।
একই দিনে আরেক ম্যাচে মহাবিপর্যয় থেকে মোহামেডানকে উদ্ধার করেছেন নাজমুল হোসেন মিলন ও হাবিবুর রহমান। সাত ও আটে নামা এই দুই ব্যাটসম্যানের অর্ধশতকে মোহামেডান তুলেছে লড়াই করার মতো রান। প্রাইম ব্যাংকের রান তাড়া শুরু হয়েছিল ঝড়ের গতিতে। তবে সেই ব্যাটিং ঝড় থামিয়েছে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি। ম্যাচ গড়িয়েছে আজকের রিজার্ভ ডেতে।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা মোহামেডান দিশাহারা হয়ে যায় প্রাইম ব্যাংকের দুই পেসারের সামনে। কয়েকটা দিন বিশ্রাম পেয়ে উইকেট ছিল একটু তরতাজা। কয়েক দিনের বৃষ্টি-বাদলায় কাভারে ঢাকা থাকায় হয়ত সকালে বল কিছুটা সিম-সুইংও করেছে। মোহাম্মদ আজিমের লাইন-লেংথ ও রুবেল হোসেনের গতিতে ৪১ রানেই মোহামেডান হারায় ৫ উইকেট। বিপর্যয়ে এমনিতে যার ব্যাট চওড়া হয়ে যায়, সেই নাঈম ফেরেন থিতু হয়েও। অধিনায়ক মুশফিক ১১ বল খেলেও রান না করে ক্যাচ দিয়েছেন ¯িøপে। আগের ৭ ম্যাচে দলকে দারুণ সার্ভিস দেওয়া উপুল থারাঙ্গা ফিরে গেছেন দেশে। বদলী হিসেবে আসা ভারতীয় ব্যাটসম্যান মিথুন মানহাস চেষ্টা করেছেন লড়াইয়ের। সঙ্গী পেয়ে যান মিলনকে। ষষ্ঠ উইকেটে ৭০ রানের জুটি গড়েন দুজন।
শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার শিহান জয়াসুরিয়াকে পথম বলেই ¯øগ করতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দেন মানহাস (৩৫)। এরপরই মোহামেডান পায় সেরা জুটি। সপ্তম উইকেটে বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ৮৪ রানের জুটি গড়েন মিলন ও হাবিবুর। বিপর্যয়ে নেমেও শুরু থেকেই দারুণ ইতিবাচক ছিলেন মিলন। নিজের মতোই ব্যাট করে গেছেন। শুরু থেকে শট খেলেছেন হাবিবুরও। শেষ পর্যন্ত ৬৪ করে বাঁহাতি স্পিনার মনির হোসেনকে বেরিয়ে এসে মারতে গিয়ে বোল্ড মিলন। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় অর্ধশতক করেই ফিরেছেন হাবিবুর। ৪টি চার ও ২ ছক্কায় ৬৪ বলে ৫০। শেষ দিকের ব্যাটসম্যানরাও টুকটাক রান করলে মোহামেডান পেয়ে যায় ২২৪ রান।
রান তাড়ায় শুভাশিসের প্রথম ওভারেই দুর্দান্ত এক ফ্লিকে ছক্কা মেরে শুরু করেন মেহেদি মারুফ। স্কয়ার ড্রাইভে চারে শুরু করেন শানাজ আহমেদ। অফ স্পিনার হাবিবুরকেও প্রথম ওভারে লং অফের ওপর দিয়ে ওড়ান মেহেদি। নাঈম জুনিয়রের প্রথম ওভারে লাইন মিস করে এলবিডবিøউ হন শানাজ। ততক্ষণে কালো মেঘে ঠেকে গেছে আকাশ। আলোকস্বল্পতায় বন্ধ হয় খেলা। খানিক পরই প্রচÐ বৃষ্টিতে শেষ দিনের খেলা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: টেল এন্ডারে উদ্ধার মোহামেডান ইমতিয়াজের ব্যাটে শীর্ষে দোলেশ্বর
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ