মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : পাকিস্তানের ভূখন্ডে চালান মার্কিন ড্রোন হামলায় মারা গেছেন তালিবান নেতা মোল্লা আখতার মনসুর। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে গত সোমবার ইসলামাবাদের মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছে। এর আগে ওই হামলাকে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বলে সমালোচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। গত সোমবার এ ঘটনার আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানাতে ইসলামাবাদে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ডেভিদ হালকে তলব করে পাকিস্তান সরকার। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে প্রচারিত এক বিবৃতিতে জানান হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা তারিক ফাতেমি মার্কিন ড্রোন হামলার ঘটনাকে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের চরম অবমাননা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তার মতে এ ধরনের ঘটনা জাতিসংঘের সনদের চরম লঙ্ঘন। এর আগে গত রোববার এ ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। তিনি গত শনিবারের ওই ড্রোন হামলাকে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের চরম লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। যদিও পাকিস্তানে এ ধরনের ড্রোন হামলা প্রথম নয়।
সন্ত্রাসবাদ বিরোধী লড়াইয়ের অংশীদার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র প্রায়ই পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী উপজাতীয় এলাকাগুলোতে বিমান হামলা চালিয়ে থাকে। গত শনিবার বেলুচিস্তান প্রদেশের দালবানদিন এলাকায় তালিবান নেতা মোল্লা মনসুরের গাড়ি লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালান হয়। এতে ওই তালিবান নেতা এবং তার দুই সহযোগী ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। গত শনিবার পাকিস্তান-আফগান সীমান্ত এলাকায় মার্কিন ড্রোন হামলায় তালিবান প্রধান মোল্লা আখতার মনসুর নিহত হন বলে তালিবানের এক জ্যেষ্ঠ নেতার পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়। লন্ডনে সফররত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, হামলার আগে তাকে জানানো হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, হামলার পর পাকিস্তান কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত গাড়ি চালকের পরিচয় পাওয়া গেছে এবং তার নাম মোহাম্মদ আজম। এ ছাড়া নিহত দ্বিতীয় ব্যক্তির পরিচয় যাচাই করে দেখা হচ্ছে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, মার্কিন কর্তৃপক্ষ ড্রোন হামলার পর এ বিষয়টি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এবং সেনাপ্রধানকে জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, পাকিস্তান আবারও এই ড্রোন হামলায় তার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের নিন্দা জানাচ্ছে। অতীতেও এ নিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে গঠিত চারপক্ষীয় জোট গত বুধবার শেষ দফা বৈঠকে বসেছিল। এতে কাবুল সরকার এবং তালিবানের মধ্যে আলোচনা কিভাবে শুরু করা যায় তা নিয়ে কথা হয়। এ ছাড়া ওই জোট সামগ্রিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, রাজনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সংকটের নিষ্পত্তি করাই আফগানিস্তানে স্থায়ী শান্তির একমাত্র পথ। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি এই হামলাকে যথার্থ মার্কিন প্রতিক্রিয়া বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, যদি জনগণ শান্তির পথে থাকতে চায়, আর তাদের প্রতিনিয়ত ভীতি প্রদর্শন এবং বোমা হামলা চালাতে থাকে, তাহলে আমাদের পাল্টা জবাব না দেয়া ছাড়া কিছুই করার থাকে না। আর আমরা তা সঠিকভাবেই করেছি। দ্য গার্ডিয়ান, ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।