পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশীয় সক্ষমতা না থাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে বিদেশী পরামর্শকদের পেছনে যে অর্থ ব্যয় হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। পরামর্শক নিয়োগের বিষয়ে প্রশ্ন করে কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, লাখ লাখ কোটি টাকা আমাদের কনসালট্যান্সির ওপর বিনিয়োগ করতে হয়। সেই সক্ষমতা ধীরে ধীরে আপনাদের তৈরি করতে হবে। কেন আমরা এই অর্থ বিদেশীদের পেছনে খরচ করব ?
গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশে (আইডিইবি) অনুষ্ঠিত ‘জনপ্রত্যাশার আলোকে আধুনিক ও উন্নত রেলসেবা’ শীর্ষক সেমিনারে এমন প্রশ্ন করেন রেলমন্ত্রী। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইডিইবির রিসার্চ ফেলো মো. ইয়াকুব হোসেন সিকদার।
বাংলাদেশ এখনও অনেক কিছুর ওপর নির্ভরশীল উল্লেখ করে রেলমন্ত্রী বলেন, এই যে প্রকল্পগুলো হচ্ছে, যেসব বিদেশী কোম্পানি সেগুলো বাস্তবায়ন করছে, তাদের সঙ্গে আমাদের লোককে সেখানে দিতে হবে। যাতে আমাদের লোকজন সেই সক্ষমতা তৈরি করতে পারে। মেগা প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা বিদেশী কোম্পানিগুলোর বিষয়ে নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলসহ দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বিদেশী কোম্পানিগুলো নিজেদের মতো সম্পন্ন করে যাচ্ছে। দেশের প্রকৌশলীদের সেই সক্ষমতা না থাকায় তা জানা বা বোঝার কোনো সুযোগ থাকছে না। রেলমন্ত্রী বলেন, এই যে চায়নার কোম্পানিগুলো নিজেদের মতো কাজ করল, আমরা জানলামও না, বুঝলামও না। আমাদের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার বলেন, সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বলেন, আপনাদের সক্ষমতা মানে দেশের সক্ষমতা। এ সক্ষমতা যেন আমরা প্রত্যেকে তৈরি করতে পারি।
রেল যোগাযোগের উন্নয়নে বর্তমান সরকারের কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে রেলমন্ত্রী বলেন, সরকার ঐতিহ্যবাহী রেলওয়েকে গর্বের জায়গায় নিয়ে আসার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। বর্তমানে রেলওয়ে খাতে পণ্য পরিবহন ২৫ থেকে ১১ ভাগে নেমে এসেছে। পণ্য পরিবহনে রেলকে আগের অবস্থানে ফিরে নেয়া হবে। সেমিনারে উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধ বিষয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, মূল প্রবন্ধে রেলওয়ের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে কথা বলা হয়েছে। আমি শুধু এইটুকু আপনাদের বলব, প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে এগুলোর লাভ-লোকসান, ভালো-মন্দ, ঠিক-বেঠিক এবং এর খরচ কীভাবে কমিয়ে এনে এটিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে পারি, সেই পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। সেই পরিকল্পনা গ্রহণ করলেই হবে না, সেটা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে মানুষের ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।
রেলসেবার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, আজকে ট্রাক বলেন, বাস বলেন, এই যে একটা জঞ্জাল তৈরি হয়েছে। সময় নষ্ট হচ্ছে। রেলওয়ের আমরা যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি, এটা যদি বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলে সেই সঙ্কট থাকবে না।
রেলপথের উন্নয়নে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে বলে মনে করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, এই অঞ্চলে ব্রিটিশ ভারতের সময় যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রধানতম মাধ্যম ছিল রেল ও নদীপথ। সব দেশেই সমান গুরুত্ব দিয়ে উন্নয়নের ধারার সঙ্গে সবাই এগিয়ে নিয়ে গেছে। তারা রেলকে উন্নয়নের ধারার সঙ্গে সমানভাবে এগিয়ে নিয়ে গেছে। একমাত্র ব্যতিক্রম আমাদের দেশ।
বাংলাদেশ রেলওয়ে ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির সভাপতি দীপক কুমার ভৌমিক বলেন, রেলওয়ের উন্নয়নে সরকার যেসব প্রকল্প গ্রহণ করেছে, তা বাস্তবায়নে আমাদের সমিতির সদস্য প্রকৌশলীরা সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
রেলওয়ের মহাপরিচালক কাজী মো. রফিকুল আলম বলেন, রেলওয়ে একটি কারিগরি সংস্থা। কাজেই কারিগরি জনবলকে গুরুত্ব দিয়ে রেলওয়ের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। বক্তব্য রাখেন ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইডিইবি) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি এ কে এম এ হামিদ। সূচনা বক্তব্য দেন আইডিইবির সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।