মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিজেপি জিতলে ভারত-পাকিস্তান শান্তি আলোচনার পথ প্রশস্ত হবে। লোকসভা ভোট শুরু হওয়ার মুখেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের এই সার্টিফিকেটে বিব্রত নরেন্দ্র মোদির সরকার। তাই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুর আরো চড়ালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিরোধীরা যতই প্রশ্ন তুলুক, গতকাল দ্বিতীয় দফায় ৯৭টি আসনে ভোটের আগে গত বুধবার পাক সন্ত্রাসের প্রসঙ্গে ফের বদলার হুঙ্কার শোনা যায় প্রধানমন্ত্রীর মুখে। মহাবীর জয়ন্তীতে শান্তির প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেও তিনি বেশি জোর দেন সেনা-পরাক্রম ও দেশাত্মবোধে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা।
তবে মোদির এ প্রয়াসকে অস্বস্তি কাটানোর মরিয়া চেষ্টা হিসেবেই দেখছেন বিরোধীরা।
ইমরানের মন্তব্য নিয়ে মোদি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘মনে রাখতে হবে, ইমরান ছিলেন ক্রিকেটার। মনে হয়, ভারতীয় নির্বাচনের ফল উল্টে দিতে ওটা তার ‘রিভার্স সুইং’। তবে ‘রিভার্স সুইং’ এলে কীভাবে ‘হেলিকপ্টার শট’ হাঁকাতে হয়, ভারতীয়রা সেটা জানে। সেই ‘হেলিকপ্টার শট’টি এল বুধবার বিকেলে গুজরাটে সুরেন্দ্রনগরের ভোট-সভা থেকে।
মোদি বলেন, ‘আগে পাকিস্তান থেকে জঙ্গি এসে হামলা চালিয়ে ফিরে যেত। ভারতের প্রত্যাঘাতের প্রশ্ন উঠলেই ওরা বলত, আমাদের কাছে পরমাণু বোমা আছে। আমি সিদ্ধান্ত নিই, যা হয় হোক বদলা আমরা নেবই। ওদের ব্ল্যাকমেলের ফাঁদে আর পা দেব না। আমাদের কাছে পরমাণু বোমার মা আছে।’
কংগ্রেস জমানার সমালোচনা করে মোদি বলে চলেন, ‘আগে কিছু হলে আমাদের লোকেরা গোটা দুনিয়ায় কেঁদে ফিরত, পাকিস্তান এই করেছে, পাকিস্তান ওই করেছে। এখন পাকিস্তানের কাঁদার পালা। আমরা কি ওদের (পাকিস্তানি জঙ্গিদের) ঘরে ঢুকে মারিনি? আমরা কি ওদের ঘরে ঢুকে মারব না? আমরা কি আমাদের জওয়ানদের শহিদ হওয়ার বদলা নেব না?’ ভিড়ের ভেতর থেকে জবাব আসে, অবশ্যই।
ইমরান অস্বস্তি কাটাতে প্রথম দফায় মোদি বুধবার মাঠে নামিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে। কংগ্রেসের কোর্টে বল ঠেলে দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না, কেন এই মন্তব্য করা হল। মাঝেমধ্যেই এসব বলা হয়। আমি জানি, কংগ্রেসের অনেক বড় বড় নেতা পাকিস্তানে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হটানোর জন্য সে দেশের নেতাদের সমর্থন চেয়েছিলেন। এখন মনে হচ্ছে, এসবই কংগ্রেস নেতৃত্বের একটি অংশের খেলা। এটা আমার দল বা সরকারের বক্তব্য নয়। শুধুই আমার ব্যক্তিগত মতামত।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।