বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পঞ্চগড়ে বিচারকের আদেশ অমান্য করায় দিনাজপুর গণপূর্ত বিভাগের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক সেলিম লিটনকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে পঞ্চগড় সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের (দেবীগঞ্জ উপজেলা) বিচারক ভগবতী রাণী এই দন্ডাদেশ দেন।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার পামুলী ইউনিয়নের হেদায়েতপুর গ্রামের কবির হোসেন প্রধানের মেয়ে সিফাত-ই-তানজিলা সিজতির সঙ্গে দিনাজপুর জেলা উপশহর এলাকার সেরাজ উদ্দিনের ছেলে দিনাজপুর গণপূর্ত বিভাগের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক সেলিম লিটনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তিন বছর পর ওই দম্পত্তির একটি ছেলে সন্তান জন্ম হয়। কিন্তু দাম্পত্য কলহের কারণে ২০১৬ সালের জুনে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর সন্তান নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলতে থাকে। এক পর্যায়ে শালিসের কথা বলে সেলিম লিটন তাদের সাত বছর বয়সী ছেলে সাফওয়ান আহমদকে নিয়ে পালিয়ে যায়। সন্তানকে ফিরে পাওয়ার জন্য সিফাত-ই- তানজিলা সিজতি ২০১৭ সালে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল আদালতের বিচারক মিনহাজুর রহমান ১৫ দিনের মধ্যে সন্তানকে তার মায়ের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন। পরে সেলিম লিটন জেলা জজ ও পারিবারিক আপিল আদালতে আপিল করেন। কিন্তু আদালতের বিচারক পূর্বের রায় বহাল রাখেন এবং ১৮ এপ্রিল সন্তানসহ সেলিম লিটনকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু সেলিম তার সন্তানকে আদালতে হাজির না করায় আদালত তাকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী একেএম আনোয়ারুল ইসলাম খায়ের বলেন, আসামী সেলিম লিটন আদালতে আদেশ অমান্য করায় তাকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। তবে লিটন তার সন্তানকে আদালতে হাজির না করলে তিন মাস পর আদালত আবারও তার বিরুদ্ধে সাজার নির্দেশ দিতে পারেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।