পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ক্রমাগত দরপতনের প্রেক্ষাপটে দেশের পুঁজিবাজারকে রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সামনে এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে বিনিয়োগকারীরা এই আহ্বান জানান।
টানা দরপতনের প্রতিবাদে দুই সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ করছেন জানিয়ে এক বিনিয়োগকারী বলেন, আমাদের এই আন্দোলন কেউ গুরুত্ব দিচ্ছেনা। ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজারের জন্য যে দাবিগুলো আমরা তুলে ধরেছি তার একটাও বাস্তবায়নের মুখ দেখছেনা। বাজারকে শক্তিশালী করতে এখন সবচেয়ে বেশি যেটা প্রয়োজন তা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ।
বিনিয়োগকারীরা জানান, শবে বরাতের ছুটি শেষে আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে তাদের দাবিগুলো মানা না হলে ব্যাপক আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে। কর্মসূচি থেকে যেসব দাবি জানানো হয় সেগুলো হল- জেড ক্যাটাগরি এবং ওটিসি মার্কেট বন্ধ, ইস্যু মূল্যের নিচে অবস্থানরত কোম্পানিগুলোকে ইস্যু মূল্যে বাইব্যাক, আইপিও ও প্লেসমেন্ট শেয়ারের অবৈধ বাণিজ্য বন্ধ, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে নূন্যতম ১০ শতাংশ লভ্যাংশ বাধ্যতামূলক, খন্দকার ইব্রাহীম খালেদের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা এবং বিএসইসি চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেনের পদত্যাগ।
এদিকে শেষ দিনে ডিএসইতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। সপ্তাহের চতুর্থ দিনের লেনদেনে সূচক সামান্য বেড়েছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)। তবে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক আরও কমেছে।
গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১০ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ২৫৯ দশমিক ৪১ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৪ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ২১৭ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ ৩ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৮৮০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএসপিআই ১৭ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৬ হাজার ৮৩ দশমিক ২৯ পয়েন্টে। বুধবার ডিএসইতে ৩১৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা মঙ্গলবারের চেয়ে ৪৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা বেশি। মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন ছিল ২৬৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা।
ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৩৪৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৬০টির, কমেছে ১২৭টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৮টি কোম্পানির শেয়ার দর।
অন্যদিকে সিএসইতে ১২ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এই লেনদেন আগের দিনের তুলনায় এক কোটি ১০ লাখ টাকা বেশি। এ বাজারে লেনদেন হয়েছে ২৩২টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৯২টির, কমেছে ১০৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টির দর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।