বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সড়কজুড়ে খানাখন্দ, কোথাও কোথাও বিটুমিন উঠে গিয়ে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কয়েকটি গর্ত এক হয়ে বড় নালা তৈরি হয়েছে। বর্ষার সময় সড়কের মাঝে প্রায়ই গাড়ি আটকে যায়। আর শুস্ক মৌসুমে হেলতে-দুলতে নাকাল হতে হয় যাত্রীদের। একটু ভারী বৃষ্টি হলে বোঝার কোন উপায় থাকে না এটি সড়ক না ছোট একটি খাল।
এই দুরবস্থা নগরীর শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল ও সিটি বাইপাস সংযোগ বাস্তহারা বাইপাস সড়কের। প্রায় একই রকম খানাখন্দে ভরা সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল থেকে রূপসা সেতু বাইপাস সংযোগ সড়কটিরও। নগরীতে প্রবেশের গুরুত্বপূর্ণ দুই সংযোগ সড়ক দীর্ঘদিন ধরে বেহাল থাকলেও তা মেরামতের উদ্যোগ নিচ্ছে না কেউই।
সোনাডাঙ্গা, বাস্তহারা, কুয়েট বাইপাস সড়কগুলির কথা মনে উঠলে খানাখন্দ, ভাঙাচোরা, ধূলাবালি আর ব্যবসায়ীদের দখলের দৃশ্য চোখের সামনে ভাসে। বৃষ্টি হলে আর রক্ষা নেই। পরিণত হয় মরণফাঁদে।
স্থানীয়রা জানান, নগরীর গোয়ালখালীর বাস্তুহারা থেকে সিটি বাইপাস পর্যন্ত সড়কটি ২ দশমিক ৩৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে। সড়কের পাশে গড়ে উঠেছে দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র বিশেষায়িত শেখ আবু নাসের হাসপাতাল, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সেক্টর সদর দপ্তর, নৌবাহিনী পরিচালিত বিএন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, অ্যাংকরেজ স্কুল, নৌবাহিনী ভর্তি কেন্দ্র, নাবিক কলোনিসহ সরকারি-বেসরকারি নানা প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানে সহজে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এই সংযোগ সড়ক। এ ছাড়া খালিশপুর, দৌলতপুরসহ নগরীর পশ্চিম পাশের বাসিন্দারা অন্য উপজেলায় যাওয়ার জন্য এই সড়ক ব্যবহার করেন।
সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল থেকে জয়বাংলার মোড় উঠতে বিশেষ সুবিধার জন্য এই সড়ক করা হয়। কিন্তু সুবিধার জন্য করা সড়কে এখন অসুবিধার মাত্রা তীব্রতর। সোনাডাঙ্গা বাইপাস সড়ক বা এমএ বারি লিঙ্ক রোড যে নামেই বলা হোক না কেন, সমস্যা সমস্যাই রয়ে গেছে। বালি, ইটের খোয়া, খানাখন্দ, ভাঙাচোরা, ধূলাবালি আর ব্যবসায়ীদের দখলে একাকার এ সড়ক। অল্প বৃষ্টি হলেই এ সড়কে আর চলাচলের অবস্থা থাকে না। কাদা, পানি, বালি, ইটের খোয়া মিলে এ সড়কে অন্যরকম রঙের আস্তরণ তৈরি করে।
প্রতিদিন কোনো না কোনো দুর্ঘটনা ঘটে এখানে। বাস টার্মিনাল থেকে ময়ূর ব্রিজ পর্যন্ত একই অবস্থা। ব্রিজ পার হলে সড়কে চলে ইট পাথরের ছোটাছুটি। খানাখন্দ, ধূলাবালির সাথে চলতে হয় এখানে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইলিয়াস হোসেন সোহেল জানান, এ রাস্তায় পায়ে হেঁটে, রিক্সায়, বাসে কোনোভাবেই চলাচল করা যায় না। প্রায় সময় গাড়ির চেসিজ ভেঙে যায়। সড়ক দুর্ঘটনা শুধু চালকের জন্য হয় না। রাস্তার জন্যেও হয়। আমরা আশা করবো জনগণের সমস্যার কথা চিন্তা করে অনতিবিলম্বে কর্তৃপক্ষ এ রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করে সংস্কার করবে।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের স্টেট অফিসার মো. নুরুজ্জামান তালুকদার জানান, রাস্তাটি আগে কেডিএর ছিল। কেসিসি এখন এটিকে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। খুব শিগগিরই এটি সংস্কার করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।