গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় মনিরুল ইসলাম (২৫) নামে এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে আজ বুধবার বিকেলে গাইবান্ধা আধুনিক হাসপাতালে মর্গে আনা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের উত্তর ঝাপড় গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মনিরুলের স্ত্রী তন্নী ও শাশুড়ি জাহানারাকে আটক করা হয়েছে। মনিরুল ইসলাম ওই ইউনিয়নের কাশিয়াবাড়ী গ্রামের আসাদুল ইসলামের ছেলে। পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিপজুর আলম মুন্সি বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ৪/৫ মাস আগে তন্নির সঙ্গে মনিরুলের বিয়ে হয়। ঘটনার রাতে মনিরুল উত্তরঝাপর গ্রামে তার শ্বশুর বাড়ীতে অবস্থান করছিল। রাতে শ্বশুর তারা মিয়ার বাড়ীর সামনে মনিরুলের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও জানান, মনিরুলের শ্বশুর বাড়ীর লোকজনের দাবী পারিবারিক কলোহের জের ধরে মনিরুল নিজেই নিজের গলাকেটে আত্মহত্যা করেছে। তবে প্রাথমিক ভাবে বিষয়টি হত্যাকান্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, ঘটনার পর থেকে শ্বশুর তারা মিয়া পলাতক রয়েছেন।জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মনিরুলের স্ত্রী ও শ্বাশুরীকে আটক করা হয়েছে। প্রকৃতঘটনা উদঘাটনে সার্বিক বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।