Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

বরিশাল মহানগরীর নবগ্রাম রোড-চৌমহনীর লেকটি পরিবেশের জন্য ক্রমশ হুমকি হয়ে উঠছে

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৬ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:৪৫ পিএম | আপডেট : ১২:৪৬ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০১৯

বরিশাল মহানগরীর নবগ্রাম রোড-চৌমহনীতে হাতেম আলী কলেজ লেকটি ক্রমশ নগরীর পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে উঠছে । প্রায় সোয়া দুই কোটি টাকা ব্যায়ে লেকটির কথিত সৌন্দর্য বর্ধনের কাজও অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে আছে গত কয়েক বছর। লেকটি ও এর কিনারায় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়টিও সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগ ভুলতে বসেছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। ফলে এ লেকটির পাড়ের নির্মল বায়ু ইতোমধ্যে দুষিত হতে শুরু করেছে। অথচ এ লেকটিে পাড়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ভ্রমনে আসেন। অজু-গোসল করেন আরো কয়েক হাজার মানুষ। এমনকি বরিশাল জেলার তাবলীগ জামাতের মারকাজ মসজিদের বিপুল সংখ্যক মুসুল্লীও এখানে প্রতিদিন ওজু গোসলের জন্য আসছেন। 

কিন্তু লেকটির পানি ক্রমশ ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। অভিযোগ রয়েছে, বরিশালÑফরিদপুর জাতীয় মহাসড়ক দিয়ে চলাচলরত ট্রাক সমূহ প্রতিদিনই লেকটির পূর্ব পাড়ে অবৈধভাবে পার্ক করে ধোয়া মোছার কাজ করছে। ঐসব ট্রাকের তেলÑময়লা ড্রেন দিয়ে লেকটির পানিতে মিশছে। অথচ সাবেক মেয়র ট্রাক পার্কিং বন্ধে এখানে সিটি কর্পোরেশনের নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
পাশাপাশি লেকটির চার ধারে ভ্রমনে আসা অনেক বিবেকহীন নারী-পুরুষ প্রতিদিন পলিব্যাগ ও কোমল পানীয়র বোতল সহ নানা ধরনের অপচনশীল বর্জ লেকটির পানিতে ফেলছে। সেসব বর্জ দিনের পর দিন লেকটির পানিতে ভাসছে। কয়েকদিনের ব্যবধানে পলিব্যাগ লেকটির তলায় ডুবে গিয়ে পানিতে অক্সিজেন চলাচলও ব্যহত করছে। ফলে খুব শীঘ্রই ঘন বসতিপূর্ণ এলাকাটির এ লেক থেকে দূর্গন্ধ ছড়াবারও আশংকা করছেন এলাকাবাশী । লেকটির পশ্চিম পাড়ের রাস্তায় জঙ্গল ক্রমশ বড় হচ্ছে। এসব দেখার এখন আর কেউ আছে বলেও বিশ্বাস করেন না এলাকাবাশী।
অথচ ইতোপূর্বে লেকটির চারিধার পরিচ্ছন্ন রাখা সহ এর পানি থেকে ময়লা আবর্জনা ও পলিথিন অপসারনে সিটি কর্পোরেশনের একজন দৈনিক মজুরী ভিত্তিক শ্রমিক নিয়োজিত ছিল। মাস কয়েক আগে ঐ শ্রমিককে ২২ নম্বর ওয়ার্ডে সড়িয়ে নেয়া হয়েছে। তার স্থলে পরিচ্ছন্ন কর্মী নিয়োগ দেয়া হলেও তাদের দেখা পাচ্ছেনা এলাকাবাসী। এমনকি ২২ নম্বর ওয়ার্ডে যে নতুন সুপারভাইজার নিয়োগ করা হয়েছে সে কোথায় কি করছে তাও কেউ জানে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে সিটি করপোরেশনের কনজার্ভেন্সি শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত ্রাাণী সম্পদ চিকিৎসক ডাঃ রবিউল আলমের দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি ‘বিষয়টি দেখবেন’ বলে জানান। তবে তার এ বক্তব্যের পড়েও পরিস্থিতির খুব একটা পরিবর্তন হয়নি।
উল্লেখ্য বরিশাল সিটি করপেরেশন ও জেলা পরিষদের তহবিল থেকে প্রায় সোয়া দুই কোটি টাকা ব্যায়ে নগরীর প্রান কেন্দ্রের এ লেকটির সৌন্দর্য বর্ধনের কাজটি প্রায় দশ বছর অঅগে শুরু করা হলেও তা এখনো শেষ হয়নি। লেকটির উত্তর পাড়ের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ গত পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি। পশ্চিম পাড়ের সড়কটি এ নগরীর যোগাযোগ অবকাঠামোর জীর্ণ দশার স্বাক্ষ্য বহন করছে। অথচ এ সড়কটি উন্নয়নে একটি প্রতিষ্ঠান সিটি কর্পোরেশনকে ৩০ লাখ টাকা আগাম নগর কর পরিশোধ করেছে আরো প্রায় ৫ বছর আগে। 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পরিবেশ

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ