নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করার অভিযোগে ভারতের
নির্বাচন কমিশন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, বহুজন সমাজ পার্টির প্রধান মায়াবতী সহ চার রাজনীতিককে শাস্তি দিয়েছে। শাস্তি হিসেবে তাদের নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এমন শাস্তি ঘোষণা করা হয়েছে যাদের বিরুদ্ধে তারা হলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোহী আদিত্যনাথ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানেকা গান্ধী, বহুজন সমাজ পার্টির প্রধান মায়াবতী ও সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খান। তাদের ৪৮ থেকে ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে নির্বাচনেী প্রচারণা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। এক প্রেস বিবৃতিতে
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, যোগী আদিত্যনাথ ও আজম খান আগামী ৭২ ঘণ্টা অর্থাৎ তিনদিন কোনও জনসভা বা নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবেন না। মায়াবতী ও মানেকা গান্ধীর ক্ষেত্রে শাস্তির মেয়াদ ৪৮ ঘণ্টা বলে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। জানা গেছে, দেশের শীর্ষ আদালতের ভৎর্সনার পরেই
নির্বাচন কমিশন কঠোর শাস্তির সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে।
সম্প্রতি উস্কানিমূলক মন্তব্য করার পরেও যোগী আদিত্যনাথ ও মায়াবতীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় শীর্ষ আদালতে পিটিশন জমা পড়েছিল। পিটিশনে দাবি জানানো হয়, যে সব রাজনৈতিক দল ও নেতারা ধর্ম ও জাতপাত নিয়ে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন তাদের বিরুদ্ধে যেন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সোমবার শীর্ষ আদালত
নির্বাচন কমিশনকে ভর্ৎসনা করে বলেছে, এমন মন্তব্য করে নেতারা পার পেয়ে যান কী করে? এই ধরনের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে বলে আদালত জানিয়েছে। কংগ্রেসকে ভোট না দেওয়ার জন্য মায়াবতী মুসলিমদের কাছে আর্জি জানিয়েছেন। অপরদিকে যোগী কমিশনের কাছে শোকজ নোটিশ পান তার ‘আলি’ ও ‘বজরংবলি’ মন্তব্যের জন্য। মীরাটের সভায় যোগী বলেছিলেন, কংগ্রেস, সপা ও বসপার যদি আলির উপর ভরসা থাকে তাহলে আমাদের বজরংবলির উপর ভরসা আছে।
নির্বাচন কমিশন এমন ব্যবস্থা নিলেও যোগী আদিত্যনাথ ও মায়াবতী তাদের উস্কানিমূলক বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন নি। তারা তাদের বক্তব্যে স্থির রয়েছেন। যোগী আদিত্যনাথ, কেরালায় সংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সমর্থক মুসলিমদের উদ্দেশ্য করে তাদেরকে ‘গ্রিন ভাইরাস’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। তিনি এ ভাইরাসকে নির্মূল করার ডাক দিয়েছিলেন।