Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাটকল শ্রমিকদের ৯৬ ঘণ্টা ধর্মঘট

খুলনা-ঢাকা-না:গঞ্জ-নরসিংদীসহ সারাদেশে শ্রমিকদের বিক্ষোভ-অবরোধ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

বিশ্বের সবচেয়ে বড় জুটমিল আমদজী পাটকল বন্ধ হয়ে গেছে অনেক আগেই। এখন খুলনা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী ও ঢাকার ডেমরায় হাতেগোনা কিছু রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল টিকে রয়েছে। কিন্তু সে পাটকলগুলোর শ্রমিকদের দুঃখ-দুর্দশার সীমা পরিসীমা নেই। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের বাজারে শ্রমিকরা যে পরিমাণ টাকা ‘সপ্তাহ’ পান তা দিয়ে নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। সেটাও ঠিক মতো জোটে না। সপ্তাহের পর সপ্তাহ এবং মাসের পর মাস ‘সপ্তাহ’ না পাওয়ায় মানবিকভাবে বিপর্যয়কর অবস্থায় পড়ে গেছেন সারাদেশের পাটকলে কর্মরত হাজার হাজার শ্রমিক। বাধ্য হয়েই তারা রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছেন।
বকেয়া বেতন পরিশোধ ও মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে পাটকল শ্রমিকরা ৯৬ ঘণ্টা ধর্মঘট, বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ৬টা থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের উৎপাদন বন্ধ ও সকাল ৮টা থেকে রাজপথ-রেলপথে অবরোধ করে এ ধর্মঘট শুরু করে আন্দোলনরত পাটকল শ্রমিকরা। রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ ও পাটকল শ্রমিক লীগের উদ্যোগে এ ধর্মঘট শুরু হয়েছে। এর আগেও দু’দফা পাটকলের উৎপাদন বন্ধ এবং সড়কপথ-রেলপথে অবরোধ করে আন্দোলন করেছিলো শ্রমিকরা। কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকালে বিক্ষোভ মিছিলও করেছে মিলের শ্রমিকরা। আজ মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকদের কর্মসূটির ২৪ ঘণ্টা অতিক্রম করেছে।
সাধারণ শ্রমিকদের সংগঠিত করতে ৯ দফা দাবি কথা বলেছেন আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী শ্রমিকরা। নিয়মিত সাপ্তাহিক মজুরি ও বেতন প্রদান, সরকার ঘোষিত জাতীয় মজুরি, উৎপাদন শীলতা কমিশন-২০১৫ বাস্তবায়ন, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারীদের পিএফ-গ্র্যাচুইটি ও মৃত শ্রমিকদের বীমার বকেয়া প্রদান, সেটআপ অনুযায়ী শ্রমিক-কর্মচারীদের নিয়োগ ও স্থায়ী করা, পাট মৌসুমে পাট কেনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থবরাদ্দ করা এবং উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মিলগুলোকে পর্যায়ক্রমে বিএমআরই করা। কোনোও রকমে সরকারকে যদি টার্মিনেশন ও বরখাস্ত শ্রমিকদের কাজে পুনর্বহাল করার দাবি বাস্তবায়নে রাজি করানো যায় তাহলে অন্য দাবি পূরণ না হলেও পাটকলে শ্রমিক আন্দোলন থেমে যাবে বলে মনে করছেন সরকারের সংশ্লিষ্টরা। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে সরকারের নীতিনির্ধারকরা চলমান পাটকল শ্রমিকদের আন্দোলনে গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
মজুরী কমিশন বাস্তবায়নসহ ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে পাটকল শ্রমিকদের ডাকা ৯৬ ঘণ্টার ধর্মঘট পালন করছে নরসিংদীর ইউএমসি জুট মিলস ও ঘোড়াশালের বাংলাদেশ জুট মিলসের শ্রমিকরা। ৯৬ ঘণ্টার ধর্মঘটের প্রথম দিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত নরসিংদীর সাটিরপাড়া-কামারগাঁও আঞ্চলিক সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে রাখে। এছাড়া ইউএমসি জুট মিলের সামনে জামতলা পৌর শ্রমিক মঞ্চে অবস্থান ধর্মঘট করে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে পাটকল শ্রমিকরা। অন্যদিকে খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত নয়টি পাটকলে শ্রমিকদের ৯৬ ঘণ্টার ধর্মঘট শুরু হয়েছে। খুলনার খালিশপুরে সমাবেশ করে বিক্ষোভ করেছে শ্রমিকরা। সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে তারা। খুলনায় ১২ এপ্রিল থেকে পাটকল শ্রমিকদের ১০ দিনের আন্দোলন শুরু হয়। এর অংশ হিসেবে ১৫, ১৬, ১৭ ও ১৮ এপ্রিল বিজেএমসির ২২ পাটকলে ৯৬ ঘণ্টা ধর্মঘট ও সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাজপথ রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে আন্দোলনকারীরা। বকেয়া বেতন পরিশোধ ও মজুরী কমিশন গঠনসহ ৯ দফা দাবিতে সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও আমিন জুট মিলের শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে। সেই সাথে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পূর্ব নির্ধারিত ৯৬ ঘণ্টার কর্মবিরতিও শুরু করেছে তারা। এর অংশ হিসেবে সকাল থেকে নগরীর অক্সিজেন মোড়ে শ্রমিক কর্মচারীরা জোট বেঁধে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। সে সময় নাজিরহাট-চট্টগ্রাম রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। এর আগে একই দাবিতে গত ২ এপ্রিল ৭২ ঘণ্টার ধর্মঘট এবং রাজপথ-রেলপথ অবরোধসহ কর্মসূচি পালন করেছিল দেশের বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের শ্রমিকরা।
রাষ্ট্রায়ত্ত ক্রিসেন্ট জুটমিলের সিবিএর সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন বলেন, বকেয়া কেতন ও মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ৯ দফা দাবিতে শ্রমিকদের ৯৬ ঘণ্টার ধর্মঘট শুরু হয়েছে। দাবি মানা না পর্যন্ত আমরা এ কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।
বাংলাদেশ পাটকল শ্রমিক লীগের খুলনা-যশোর অঞ্চলের আহ্বায়ক মো. মুরাদ হোসেন বলেন, গতকাল সোমবার থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত পাটকলে ৯৬ ঘণ্টা পাটকল ধর্মঘট এবং এ সময় প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টা করে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করা হবে। এরপর বিরতি দিয়ে আগামী ২৫ এপ্রিল গেটসভা এবং ২৭, ২৮ ও ২৯ এপ্রিল ৭২ ঘণ্টার পাটকল ধর্মঘটসহ প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টা করে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে। খুলনা অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত খালিশপুর, দৌলতপুর, ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, স্টার, ইস্টার্ন, আলীম, জেজেআই ও কার্পেটিং মোট ৯টি জুট মিলের প্রায় ৩৩ হাজার শ্রমিক রয়েছে। তাদের ৬ থেকে ১০ সপ্তাহের মজুরি বকেয়া রয়েছে। আর্থিক সঙ্কটের কারণে তাদের নিয়মিত মজুরি প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না।
অর্থ মন্ত্রণালয়ে সূত্রে জানা গেছে, সরকার বিজেএমসিকে ২০১২ সালে ১০৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা, ২০১৩ সালে ১৩৮ কোটি ৩১ লাখ টাকা, ২০১৪ সালে ৬১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা, ২০১৫ সালে ৮০ কোটি ০৬ লাখ টাকা, ২০১৬ সালে ৪৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, ২০১৭ সালে ৬৯ কোটি ২১ লাখ টাকা (সাময়িক), ২০১৮ সালে ১০৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা (সংশোধিত) ভর্তুকি বাবদ দিয়েছে। গত ৬ এপ্রিল ঢাকায় বিজেএমসির নীতি-নির্ধারকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পাটকল শ্রমিকদের নেতারা। ওই বৈঠকে সরকারি পাটকলে কর্মরত শ্রমিকদের দাবি পূরণের সুব্যবস্থা না হওয়ায় তারা আবারও আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন। গত ১ এপ্রিল থেকে রেলপথ ও রাজপথ অবরোধ করে শ্রমিক আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠে খুলনাসহ পাটকল অধ্যুষিত শিল্পাঞ্চল। ৯ দফা দাবিতে ধর্মঘট পালনসহ রাজপথ-রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে খুলনা ও যশোরের রাষ্ট্রায়ত্ত ৯টি পাটকলের শ্রমিকরা। গত ২ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল থেকে এ অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত ৯টি পাটকলে টানা ৭২ ঘণ্টার শ্রমিক ধর্মঘট শুরু হয়। অবরোধের ফলে খুলনা-যশোর মহাসড়ক, নতুন রাস্তা মোড় থেকে সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড সড়ক, বিআইডিসি সড়কে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। রেল চলাচলও বন্ধ ছিল। এ সময় শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল, টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ-সমাবেশ করছে। শ্রমিকদের আন্দোলনে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ থাকায় মহাসড়কের যাত্রীরা পড়েছিলেন চরম দুর্ভোগে।
ধর্মঘট চলাকালে মিলের প্রধান ফটকের সামনে মিলের সিবিএ সভাপতি ইউসুফ মিয়ার সভাপতিত্বে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ নন-সিবিএ সম্মিলিত পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ জুটমিলের সিবিএ সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান, সিবিএ সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সাহেব আলী, যুগ্ম সম্পাদক হারুন অর রশিদ প্রমুখ।
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, ৯ দফা দাবিতে নগরীর আমিন জুট মিল শ্রমিকরা রাজপথ-রেলপথ অবরোধ করে। সকাল আটটা থেকে ১২টা পর্যন্ত অবরোধ চলাকালে নগরীর একাংশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। আটকা পড়ে শত শত যানবাহন। এ সময় শ্রমিকরা টায়ার, কাঠ জ্বালিয়ে সড়কে অবস্থান নেন। রেললাইনেও বসে পড়ে অনেক শ্রমিক। এর ফলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন আটকা পড়ে। সড়ক অবরোধের কারণে দুর্ভোগে পড়ে মুরাদপুর থেকে অক্সিজেন রুটের যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা। বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান খন্দকার জানান, ১২টা নাগাদ শ্রমিকরা সড়ক ও রেলপথ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
খুলনা ব্যুরো জানায়, নয় দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ও প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে রাজপথ-রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেছেন খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকরা। সোমবার সকাল ৮টা থেকে খুলনা অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত ৯টি পাটকলে শ্রমিক ধর্মঘট শুরু হয়েছে। শ্রমিকরা নতুন রাস্তা মোড়ে অবস্থান নিয়ে খুলনা-যশোর মহাসড়ক, নতুন রাস্তা মোড় থেকে সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড সড়ক, বিআইডিসি সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে রেখেছেন। এছাড়া তারা বিক্ষোভ মিছিল, টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও সমাবেশ করছেন।
শ্রমিক আন্দোলনে খুলনার শিল্পাঞ্চল উত্তাল হয়ে উঠেছে। সড়ক অবরোধ থাকায় মহাসড়কের যাত্রীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। বকেয়া মজুরি পরিশোধ এবং মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ৯ দফা দাবিতে বাংলাদেশ পাটকল শ্রমিক লীগের ডাকে খুলনার ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, খালিশপুর, দৌলতপুর, স্টার, ইস্টার্ন, আলিম এবং যশোরের জেজেআই ও কার্পেটিং জুট মিল শ্রমিকরা এ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছেন। আন্দোলনরত শ্রমিক নেতারা বলেন, সরকার ঘোষিত জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন-২০১৫ সুপারিশ বাস্তবায়ন, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক কর্মচারীদের পিএফ গ্র্যাচুইটি ও মৃত শ্রমিকের বীমার বকেয়া প্রদান, টার্মিনেশন, বরখাস্ত শ্রমিকদের কাজে পুনঃবহাল, শ্রমিক-কর্মচারীদের নিয়োগ ও স্থায়ী করা, পাট মৌসুমে পাটক্রয়ের অর্থ বরাদ্দ, উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মিলগুলোকে পর্যায়ক্রমে বিএমআরই করাসহ নয় দফা বাস্তবায়নে আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু দাবিগুলো এখনও বাস্তবায়ন না হওয়ায় আমরা রাজপথে আবার নামতে বাধ্য হয়েছি।
পাটকল শ্রমিক নেতা সোহরাব হোসেন জানান, শ্রমিকরা ৭ থেকে ৯ সপ্তাহের মজুরি না পাওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তারা তাদের সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ, ঘর ভাড়া দিতে পারছেন না। এ অবস্থায় বাধ্য হয়েই তারা আন্দোলনে নেমেছেন। শ্রমিক নেতারা জানান, ৬ এপ্রিল ঢাকায় বিজেএমসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে শ্রমিক লীগ নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দফা বৈঠক ফলপ্রসূ না হওয়ায় বিকেলে আবারও বিজেএমসি চেয়ারম্যানসহ অন্যদের নিয়ে ছোট পরিসরে বৈঠক করা হয়। কিন্তু সেখানেও দাবি মেনে নেয়ার কোনো সিদ্ধান্ত তারা দিতে পারেননি। সরকার টাকা দিলে শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি দেয়া হবে বলে জানান কর্মকর্তারা। কিন্তু কবে নাগাদ ওই টাকা পাওয়া যাবে তা নিশ্চিত নয়। যার কারণে তারা আবারও আন্দোলনে নেমেছেন।
বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি) সূত্র জানায়, খুলনাঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত ৯টি পাটকলের শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের ৬৪ সপ্তাহের বেতন ও মজুরি ৪৪ কোটি ২০ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে। এর মধ্যে শুধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তিন মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে ১২ কোটি ৩৮ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। শ্রমিকদের মজুরি বকেয়া রয়েছে ৩১ কোটি ১৮ লাখ ৫৮ হাজার টাকা।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাটকল

২৫ ডিসেম্বর, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ