নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
লাল-সবুজ ফুটবলের হারানো যৌবন ফিরিয়ে আনতে এবার উদ্যোগী হয়েছে বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (বিডিডিএফএ)। তারা যুব খেলোয়াড়দের নিয়ে আয়োজন করছে শেখ কামাল অনূর্ধ্ব-২০ জাতীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট। দেশজুড়ে ফুটবলার বাছাইয়ের পর এ টুর্নামেন্ট মাঠে গড়াচ্ছে আগামী বুধবার থেকে। ফাইনালের মধ্যদিয়ে যুবাদের এ আসর শেষ হবে আগামী ২৮ এপ্রিল।
শেখ কামাল অনূর্ধ্ব-২০ জাতীয় ফুটবল টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে এর লোগো উন্মোচন হলো গতকাল বিকেলে। রাজধানীর পূর্বানী হোটেলে এই লোগো উন্মোচন করেন বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য সচিব শেখ হাফিজুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিডিডিএফএ’র মহাসচিব তরফদার মো: রুহুল আমিন সহ অন্যান্যরা। বাংলাদেশে তারুণ্যের প্রতীক শেখ কামালের অবয়ব নিয়ে তৈরি হয়েছে টুর্নামেন্টের লোগো। জাঁকজমক অনুষ্ঠানে লোগোটি উন্মোচন শেষে প্রধান অতিথি শেখ হাফিজুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে তারুণ্যের প্রতীক হিসেবে শেখ কামাল চিরদিনই স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তার চিন্তা চেতনায় সর্বদাই ছিল সৃষ্টিশীল উদ্ভাবনী বৈশিষ্ট্য। আসন্ন শেখ কামাল অনুর্ধ্ব-২০ ফুটবল টুর্নামেন্ট বাংলাদেশে তরুণদের মাঝে নতুন জাগরণ সৃষ্টি করবে। যা শেখ কামালের চিন্তা চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। আমি এই টুর্নামেন্টের সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করি। ’
বিডিডিএফএ’র মহাসচিব তরফদার রুহুল আমিন বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবার খেলাধূলার সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত। কিন্তু খুবই পরিতাপের বিষয় দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্রীড়াপ্রেমী হওয়া সত্বেও না এগিয়ে দিন দিন পিছিয়ে পড়ছে। আমরা দেশের ফুটবলের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে চাই। ফুটবলের বর্তমান অবস্থার পরিবর্তন চাই। দেশের ফুটবলে নতুন জাগরণ সৃষ্টি করার লক্ষ্যেই আমরা শেখ কামাল অনুর্ধ্ব-২০ ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করছি।’
এই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে দেশের ৮টি বিভাগের ৬৪ জেলার প্রায় ৭০০ জন ফুটবলার থেকে ৮টি বিভাগের জন্য ২৪০ জন ফুটবলার প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়। গত বছরের সেপ্টেম্বরে বাছাই পর্ব শুরু হয়েছিল। পরবর্তীতে ১৮ সদস্যের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়। যারা নিজ নিজ বিভাগকে প্রতিনিধিত্ব করবে। ৪৫ দিন আবাসিক ক্যাম্প করার পর খেলোয়াড়রা এখন প্রস্তুত মাঠে চূড়ান্ত লড়াইয়ের জন্য। টুর্নামেন্টের ‘ক’ গ্রুপে নড়াইল ভেন্যুতে খেলছে খুলনা, ঢাকা, রংপুর ও বরিশাল। ‘খ’ গ্রুপে নাটোর ভেন্যুতে খেলবে রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ। গ্রুপ পর্বের খেলা অনুষ্ঠিত হবে ১৭ থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত। ২৫ ও ২৬ এপ্রিল কক্সবাজারে হবে দু’টো সেমিফাইনাল এবং ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল। ফাইনালের আগের দিন ২৭ এপ্রিল কক্সবাজারে হবে ফুটবলের মহাসম্মেলন। এই সম্মেলনে অংশ নেবেন জেলা, বিভাগ, ক্লাব, শিক্ষা বোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল সংগঠকরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।