Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বৈশাখের ডামাডোলে চড়া ইলিশের দাম

খুলনায় জোড়া ইলিশ ৮ হাজার!

খুলনা ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১৪ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৭ এএম

আজ পহেলা বৈশাখ। পুরাতনকে ঘিরে নতুনত্বের জয়গানে হাজারো ছন্দ-কবিতা ও প্রাণের উচ্ছ¡াসে বছর ঘুরে আসছে বাংলা নতুন বছর। বৈশাখকে ঘিরে প্রতি বছর ঘরে ঘরে নানান আয়োজন হয়। মাছে-ভাতে বাঙ্গালীর এসব আয়োজনের একটি বিশেষ আয়োজন হলো পান্তা-ইলিশ। বর্তমানে বৈশাখ মানেই মাটির সানকিতে পান্তা-ইলিশ খাওয়া। 

তাইতো বৈশাখের এ সময়টায় ইলিশের উন্মাদনাকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় ইলিশের আকাশচুম্বি দাম হাঁকেন। বাজার ভরা ইলিশ থাকলেও খুলনায়ও এই ঘটনার ব্যতিক্রম ঘটেনি। ২ কেজি ওজনের ১ জোড়া ইলিশের দাম চাওয়া হচ্ছে ৮ হাজার টাকা।
এদিকে কেজি সাইজের নদীর একটি ইলিশের দাম দুই হাজার টাকা। যা সাধারণ মানুষের নাগালের একেবারেই বাইরে। বেশি দামেও কিনছেন কেউ কেউ। অনেকে আবার দাম শুনেই বেজার হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
সরেজমিনে নগরীর কেসিসি সান্ধ্য বাজার ঘুরে দেখা যায়, পহেলা বৈশাখকে ঘিরে ইলিশের চাহিদা বেড়েছে এখানে। একইসাথে বাজারে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে ইলিশের দাম। তবে, মৌসুম না হওয়ায় বাজারে পাওয়া যাচ্ছে হিমায়িত ইলিশ।
মাছ কিনতে আসার তুষার নামে এক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বরফ রেখে ইলিশ মাছ তাজা বলে বিক্রি করা হচ্ছে, দামেও নেই কোনো ছাড়। ২ কেজি ওজনের ১ জোড়া ইলিশের দাম চাওয়া হচ্ছে ৮ হাজার টাকা। উৎসবকে রাঙিয়ে তুলতে নিতান্ত নিরুপায় হয়ে ক্রেতাদের বেশি দাম দিয়েই কিনতে হচ্ছে রূপালি ইলিশ।
অন্য ক্রেতারা বলছেন, পহেলা বৈশাখের সকালে পান্তাভাত ও মাছ বিশেষ করে ইলিশ খাওয়ার প্রচলন আগে থেকেই চালু রয়েছে। তবে ইলিশ মাছ খাওয়ার রীতিতে কিছুটা হলেও ভাটা পড়েছে। এর কারণে গত দু’বছরে ইলিশ নিয়ে ক্রেতাদের মাতামাতি কিছুটা হলেও কম ছিলো। কিন্তু এবার আবারও আগের মতোই ইলিশ নিয়ে কিছুটা হৈ চৈ পড়েছে বাজারগুলোতে। এবার দাম বেশি থাকায় এবার অনেকেই ইলিশের বদলে পান্তা আয়োজনে রুই মাছ রাখছেন।
তবে দাম নিয়ে দ্বিমত পোষণ করে ইলিশের ব্যবসায়ী বারেক সরদার বলেন, ‹২ কেজি ওজনের ইলিশ মাছ জোড়ার দাম সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা, ২ কেজির একটু কম ওজনের জোড়া প্রতি ৩ হাজার, দেড় কেজির জোড়া প্রতি ২হাজার ৫শ, ১ কেজির জোড়া প্রতি ২ হাজার, ১ কেজির নিচের ইলিশ বিভিন্ন দামে বিক্রি করছি। তিনি বলেন, এবার বাজারে মাছ আছে কিন্তু ক্রেতা নেই। গত বছর আমরা কয়েকমাস আগে থেকে ইলিশ মাছ সংরক্ষণ করেছিলাম, কিন্তু শেষ মূহুর্তে বাজারে বিক্রি কম হওয়ায় আমাদের অনেক ক্ষতি হয়। তাই এবার আগে থেকে বেশী মাছ রাখিনি। এ বছর যে মাছ ২ হাজার টাকা বিক্রি করছি, সেই মাছই আগেরবার সাড়ে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি করেছিলাম›।
কেসিসি সান্ধ্য বাজারের সভাপতি মোজাফফর হোসেন বলেন, ‹বৈশাখের এ সময়টা ইলিশের একটু দাম বাড়ে। কিন্তু তা সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যেই থাকে। ইলিশের মৌসুম না থাকায় এখন ইলিশ সংরক্ষণ করতে আমাদের বেশ বেগ পেতে হয়। যে কারণে মাছের একটু দাম না বাড়ালে আমাদের ব্যবসায়ীদের লাভ থাকবেনা›।
একইভাবে নগরীর রূপসা পাইকারী মৎস্য আড়ত, রূপসা সান্ধ্য বাজার, নিউ মার্কেট কাঁচা বাজার, ৫ নম্বর ঘাট এলাকার মোকাম, টুটপাড়া জোড়াকল বাজারসহ সব বাজারেই ইলিশের দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইলিশ

২০ নভেম্বর, ২০২২
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ