Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

মতলবে অভয়াশ্রম এলাকায় মাছের আড়ৎগুলো রমরমা

পহেলা বৈশাখে ইলিশ নিয়ে নেই কোন ভাবনা !

মতলব উত্তর(চাঁদপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৩ এপ্রিল, ২০১৯, ৭:৩৮ পিএম

মার্চ-এপ্রিল দু’মাস চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে আমিরাবাদ পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার মেঘনা নদীতে অভয়াশ্রমের কারণে সকল প্রকার মাছ ধরার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও পহেলা বৈশাখে ইলিশ মাছ নিয়ে এখানে নেই কোন ভাবনা। এ উপজেলার সর্ববৃহৎ মাছের আড়ৎ বাবু বাজারে প্রকাশ্যে ইলিশের আড়ৎ এর দৃশ্য দেখে আগন্তুক কয়েকজন খুচরা ক্রেতাতো বলেই বসলেন ওয়াও, পহেলা বৈশাখের ইলিশ নিয়ে আর নেই কোন ভাবনা।

মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে আমিরাবাদ পর্যন্ত ২৫কিলোমিটার অভয়াশ্রম এলাকা। এরমধ্যে সর্ববৃহৎ মাছের আড়ৎ ষাটনল ইউনিয়নের বাবু বাজারে। সেখানকার আড়ৎ এ গিয়ে দেখা যায়, বড় বড় ইলিশে আড়ৎ ভরপুর। বেচা-কেনা হচ্ছে ধুম ধামে। আড়তে অসংখ্য পাইকার ক্রেতা-বিক্রেতার কোলাহল। মাছ বেচা-কেনার দাম-দরের কাজে ব্যস্ত সবাই। বেচা-কেনার পাইকারদের মধ্যে নেই কোন ভয়। খুচরা ক্রেতারা কিনতে চাইলে দাড়িয়ে থেকে যে পাইকাররা কিনছে তাদের কাছ থেকে কিনে নিচ্ছে চওড়া দামে। অভয়াশ্রমের কারণে নিষিদ্ধ এ অঞ্চলে ইলিশতো দুরের কথা মেঘনা নদীর কোন মাছই বেচা-কেনার কথা না। অথচ এ যেনো উৎসব মুখোর ও রমরমা এক পরিস্থিতি। শুধু তাই নয়, এখানকার মাছে স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে প্রতিদিন কয়েকটি পিকআপ ভ্যান, ছোট ট্রাক আর নৌপথে ট্রলারে করে মাছ যাচ্ছে রাজধানী ঢাকা শহরে। মাছ সংরক্ষনের জন্য এ উপজেলার আড়ৎগুলোর চাহিদা মিটাতে প্রতিদির একাধিক পিকআপ বা ছোট ট্রাক আসছে বরফ নিয়ে। উপজেলার বিভিন্ন বাজারে মাছ সরবরাহ করার জন্য ব্যবহার হচ্ছে রিক্সা, ভ্যান ও ব্যাটারি চালিত অটো গাড়ি।

মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে মেঘনার অভয়াশ্রমে মৎস্য শিকারের ব্যপারে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে কাজ করতে উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ, নৌ পুলিশ, জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি মেঘনা সীমানায় কোষ্টগার্ডের ক্যাম্প বসানো হয়েছে। মৎস্য সংরক্ষনে এ উপজেলায় কাগজে-কলমে রয়েছে শক্তিশালী একটি ট্যাক্সফোর্স(সমন্মিত কমিটি)। কিন্তু মেঘনা নদীর নিষিদ্ধ অঞ্চলে অবাধে মৎস্য শিকার, পরিবহন ও বাজারজাতে ফ্রি স্টাইল দেখে স্থানীয় সচেতন মহল হতবাক। অনেকে বলাবলি করছে মৎস্য সংরক্ষনে এখানে উপজেলা ট্যাক্সফোর্স আছে তো ?

ষাটনল বাবু বাজার এলাকার মৎস্য আড়তের নেতা ভুদাই মিঝির সাথে কথা হলো তিনি সুস্পষ্টভাবে কথা বলতে না চাইলেও এক পর্যায়ে জানান, এই দুই মাস আড়ৎ চালাইতে গেলে যেখানে যা লাগে তা দিয়াই আড়ৎ চালাইতাছি।
উপজেলার একজন জেলে নেতা ওমর আলী প্রধান জানান, জাটকা অঞ্চলের জেলেদের পর্যাপ্ত সুবিধা ও বিকল্প কর্মসংস্থানের উপকরন সময়মতো জেলেদেরকে দিতে পাড়লে সরকারের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন সহজতর হতো।
মতলব উত্তর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাখাওয়াত হোসেন বলেন, অভয়াশ্রম এলাকায় আমরা সরকারের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করছি।
অভয়াশ্রমের জন্য নিষিদ্ধ ষাটনলের বাবু বাজারের মাছের আড়তে প্রকাশে প্রতিদিন কয়েক লক্ষাধিক টাকার ইলিশ মাছসহ নদীর মাছ বিক্রি হচ্ছে এ প্রসংঙ্গে মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই তবে খোজ খবর নিয়ে দেখছি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ