Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্রিটেনের ইইউতে থাকার পক্ষে জি-সেভেনের শক্ত অবস্থান

প্রকাশের সময় : ২৪ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) থাকার পক্ষে স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছে শিল্পোন্নত দেশগুলোর ফোরাম গ্রুপ অব সেভেন (জি-৭)। জাপানের সেনদাইয়ে অনুষ্ঠিত জি-৭ অর্থমন্ত্রী ও গভর্নর সম্মেলনে জোটের পক্ষে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য রাখা হয়। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ নেতারা এ ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান প্রকাশ করেন। ২৮ জাতি অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক জোট ইইউতে ব্রিটেন থাকবে কিনা, সে প্রশ্নে আগামী ২৩ জুন গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। ইইউর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ব্রিটেন। শিল্পোন্নত দেশগুলোর ফোরাম গ্রুপ অব সেভেনেরও অন্যতম সদস্য ব্রিটেন।
গত শুক্রবার বিকালে ইউরোপীয় কমিশনের সদস্য জঁ ক্লদ ইয়ুঙ্কার ব্রিটেনের ইইউ ত্যাগের বিপক্ষে কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। লুক্সেমবার্গের এ রাজনীতিক ব্রিটেনকে জানিয়েছেন, ইইউ ছাড়লে আগের মতো সমাদরের আশা ছাড়তে হবে। তিনি বলেন, যারা একবার ছেড়ে যাবে, ইউরোপ নিশ্চয় তাদের দুহাত বাড়িয়ে স্বাগত জানাবে না। জি৭ অর্থমন্ত্রীরাও ব্রিটেনের ইউরোপ ছাড়ার ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। তারা বলেছেন, ব্রিটেন ইইউ ছাড়লে বৈশ্বিক অর্থনীতি হোঁচট খাবে।
জি৭ অর্থমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নরদের দুদিনের বৈঠক গত শনিবার শেষ হয়েছে। শিল্পোন্নত দেশগুলোর অর্থ ও মুদ্রা নীতিনির্ধারকরা এ বৈঠকে ব্রিটেনের ইউরোপ ছাড়ার বিপক্ষে এক সুরে বক্তব্য রেখেছেন। এদের মধ্যে সবচেয়ে সরব ছিলেন জার্মান অর্থমন্ত্রী ভুলফগ্যাং শোয়েবল।
জার্মান অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সবাই একমত যে, ইইউ ছাড়ার সিদ্ধান্তটি ব্রিটেনের জন্য ভুল হবে। এ ব্যাপারে ব্রিটিশ ভোটাররাই সিদ্ধান্ত নেবে। তবে আমরা উদ্বিগ্ন যে, এ সিদ্ধান্তটি ইউরোপীয় ও বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য নেতিবাচক ফল আনবে। জি৭ অর্থমন্ত্রীরা একটি বিবৃতি দিয়েছেন। এতে বলা হয়, অস্থিতিশীল পৃথিবীতে ব্রিটেনের ইইউ ত্যাগের সিদ্ধান্ত কেবল পরিস্থিতির অবনতিই ঘটাবে। বিবৃতিতে বলা হয়, বৈশ্বিক অর্থনীতি নিয়ে অনিশ্চয়তা বেড়েছে। ভূরাজনৈতিক সংঘাত, সন্ত্রাস, শরণার্থীর ঢল ও যুক্তরাজ্যের সম্ভাব্য ইইউ ত্যাগের শঙ্কা বিশ্বের অর্থনৈতিক চিত্রকে আরো জটিল করছে।
ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী জর্জ অসবর্ন সেনদাই বৈঠকে বলেন, জি৭ সহকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাতে ইইউতে থাকা-না থাকার সিদ্ধান্তের গভীরতা বুঝতে পেরেছি। জর্জ অসবর্ন বিবিসিকে বলেছেন, ভোটাররা যদি ইইউ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে ইইউ দেশগুলোর সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনে ব্রিটেনকে ভীষণ বেগ পেতে হবে। জর্জ অসবর্ন বলেন, ‘ব্রিটেন যদি ইইউ ছাড়ে এবং অভিন্ন ইউরোপীয় বাজারে প্রবেশাধিকার চায়, তাহলে আমাদের ইইউ বাজেটে অর্থায়ন করতে হবে; মানুষের অবাধ চলাচল নিশ্চিত করতে হবে; কিন্তু ওইসব নীতিনির্ধারণে নিজেদের কিছু বলার থাকবে না।
ইইউ ছাড়ার প্রক্রিয়া শেষ করতে জোটের অন্য ২৭টি দেশের সঙ্গে ব্রিটেনকে দুই বছর আলোচনা করতে হবে বলে জর্জ অসবর্ন জানান। তিনি বলেন, দুই বছর আলোচনা চালিয়ে বের হওয়ার পর আমাদের নতুন কী ব্যবস্থায় তাদের সঙ্গে বাণিজ্য হবে, সে আলোচনা শুরু করতে হবে। একই সময়ে ব্রিটেনকে অন্তত ৫০টি বাণিজ্য চুক্তি করতে হবে এমন সব দেশের সঙ্গে, যারা ইইউর সদস্য নয়। ইইউ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলে ব্রিটেনে বিনিয়োগ কমবে বলে জর্জ অসবর্ন সতর্কতা বার্তা উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন, এমন চরম অনিশ্চিত সময়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আস্থা পাবে না। এ কারণে তারা নতুন কর্মী নিয়োগ অথবা বিনিয়োগ করবে না। এএফপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্রিটেনের ইইউতে থাকার পক্ষে জি-সেভেনের শক্ত অবস্থান
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ