Inqilab Logo

সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

এই শহর যেন মৃত্যুকূপ না হয়

ফায়ার ফাইটারদের সংবর্ধনায় মেয়র আতিকুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

 ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আমরা এমন অসহায় মৃত্যু আর দেখতে চাই না। যারা উঁচু ভবন করেছেন, আগুন থেকে বাঁচার জন্য তাদের সব নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখতে হবে। নতুবা কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই শহর যাতে মৃত্যুক‚প না হয়। গত বৃহস্পতিবার রাতে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক আয়োজিত অগ্নিযোদ্ধাদের সম্মাননা অনুষ্ঠানে মেয়র এ কথা বলেন। রাজধানীর কাকরাইলের ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ভবনের মিলনায়তনে সম্মাননা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সম্মাননাপ্রাপ্ত ফায়ারম্যানরা হলেন, ফায়ারম্যান সোহাগ চন্দ্র কর্মকার, বিষুপদ মিস্ত্রি (তার পক্ষে সন্মাননা গ্রহণ করেন তানহারুল ইসলাম), জাকির হোসেন, কাজী সোহাগ, শহিদুল ইসলাম, জুয়েল মাহমুদ, মফিজুল ইসলাম, আলমগীর হোসেন, নাজির হোসেন ও মোহাম্মদ মুক্তার হোসেন।
ব্র্যাকের ঊর্ধ্বতন পরিচালক আসিফ সালেহের সঞ্চালনায় এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসাইন এবং পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) মেজর এ কে এম শাকিল নেওয়াজ, পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লে. কর্নেল এস এম জুলফিকার রহমান।
ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, এই শহর যাতে মৃত্যুক‚প না হয়। আমরা এমন অসহায় মৃত্যু আর দেখতে চাই না। যারা উঁচু উঁচু ভবন করেছেন, আগুন থেকে বাঁচার জন্য তাদের সব নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখতে হবে। নতুবা কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ২০টি ভবনকে মডেল হিসেবে বিবেচনা করতে চাই। নিরাপদ শহরের জন্য যিনি ভবনের মালিক আগে তাকেই দায়িত্ব নিতে হবে। যাতে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আসা পর্যন্ত নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভবন নিরাপদ রাখা যায়।
অনুষ্ঠানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, দেশবাসীকে অনুরোধ করবো, কোথাও আগুনের ঘটনা ঘটলে অযথা ভিড় করে আমাদের কাজে বিঘœ ঘটাবেন না। সবার আগে ভ‚মিকা রাখতে হবে স্থানীয় জনগণের। আপনাদের সহযোগিতা পেলে আমরা ক্ষয়ক্ষতি কমাতে পারবো।
সভায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) মেজর এ কে এম শাকিল নেওয়াজ বলেন, আমরা পাখি থেকে শুরু করে পরিবারের যদি কেউ আত্মহত্যা করে সেখানেও কাজ করি। ট্রাফিক জ্যাম, পানির সঙ্কট আমাদের জন্য একটি বিরাট সমস্যা। আমাদের মানতে হবে, বহুতল ভবন করলে তাতে যাতে অন্তত ৩০ মিনিট নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম কাজ করে। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ভবন মালিকদের রাখতে হবে। তিনি বলেন, এফআর টাওয়ারে যদি পর্যাপ্ত সিঁড়ি থাকতো তাহলে সেখানে একটি মানুষও মারা যেতো না।
অনুষ্ঠানে এফ আর টাওয়ারে আগুনের সময় উদ্ধারকাজ চলাকালীন আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে পরবর্তীতে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধিন মারা যাওয়া ফায়ারম্যান সোহেল রানার পরিবারকে ব্র্যাকের পক্ষ থেকে ৪ লাখ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ট্রাস্টের তহবিলে ৩ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শহর

২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ