Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এনআরসি নিয়ে মুখোমুখি বিজেপি-তৃণমূল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ এপ্রিল, ২০১৯, ৩:১৩ পিএম

ভারতে এনআরসি বা নাগরিক পঞ্জি নিয়ে বিপরীত অবস্থানে দাড়িয়েছেন ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ এবং তৃণমূল নেত্রী ও পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন জনসভায় এর পক্ষে সাফাই গাইছেন অমিত শাহ আর ক্ষমতায় এলে এটি বাতিল করে দেবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন মমতা।

বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জের জনসভায় হুঙ্কার দিয়ে বলেন, ‘মমতাজি সর্বশক্তি দিয়ে বাধা দিলেও এনআরসি ঠেকাতে পারবেন না। আসামের মতো এ রাজ্যেও (পশ্চিমবঙ্গ) নাগরিক পঞ্জি হবেই। অনুপ্রবেশকারীদের বেছে বেছে সাগরে ফেলে দেওয়া হবে।’ অন্যদিকে, এদিনই দার্জিলিংয়ের জনসভা থেকে আর এক বার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন মমতা। চ্যালেঞ্জ করে বলেন, ‘বাংলায় এনআরসি হতে দেব না।’ এর আগে গত মঙ্গলবার রায়গঞ্জে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বলেন, ‘ক্ষমতা থাকলে এ রাজ্যে একজনের গায়েও হাত দিয়ে দেখান।’ নাগরিক পঞ্জি এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়েও একাধিক বার বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন মমতা।

বৃহস্পতিবার সেই রায়গঞ্জেই দলের নির্বাচনী সভায় অমিত শাহ বলেন, ‘বাংলায় এনআরসি (নাগরিক পঞ্জি) হবেই।’ বিজেপির প্রস্তাবিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ব্যাখ্যা করে দলটির সভাপতি বলেন, ‘বাঙালি শরণার্থীদের দেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন এবং খ্রিস্টান ধর্মের যেসব মানুষ অত্যাচারিত হয়ে এখানে আশ্রয় নিয়েছেন, তারা আমাদের সহোদর। তারা অনুপ্রবেশকারী নন। তাদের সবাইকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।’

নাগরিকত্ব বিল নিয়ে অবশ্য প্রথম থেকেই বিরোধিতা করছেন মমতা। আসামে বিজেপির বিরুদ্ধে বঙ্গভাষী হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগও একাধিক বার তুলেছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে সংসদেও প্রতিবাদ করেছে তৃণমূল।

উত্তরবঙ্গে ভোট চাইতে এসে শাহ বলেন, ‘ভয় পাবেন না। হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিস্টান শরণার্থীদের আমরা এ দেশের সন্তান বলেই মনে করি। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সংসদে উঠলেই তৃণমূলের সংসদ সদস্যরা চেঁচামেচি করেন।’ কটাক্ষ করে শাহ বলেন, ‘অনুপ্রবেশকারীরা কি আপনাদের চাচাতো ভাই? তৃণমূল মানেই অনুপ্রবেশে মদতদাতা।’

এদিন শাহকে পাল্টা কটাক্ষ করে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘উনি যতই হুঙ্কার দিন, বাংলায় কারও ক্ষমতা নেই নাগরিক পঞ্জি চালু করবে। বাংলার মানুষ বিভেদের রাজনীতিকে প্রশ্রয় দেন না। আমরা আগেও প্রতিবাদ করেছি, এখনও করছি এবং পরেও করব। মানুষ ওই দাঙ্গাবাজকে উচিত শাস্তি দেবে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিজেপি-তৃণমূল
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ