নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রজন্মের সেরা ব্যাটসম্যান তো আর তাঁকে এমনিতেই বলা হয় না। কয়েক বছর ধরেই স্বপ্নের মতো সময় কাটাচ্ছেন বিরাট কোহলি। ব্যাটে-রানের ফল্গুধারা ছুটছেই। উইজডেন কোহলির শ্রেষ্ঠত্বকে এবার আরেকটু শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়ে দিল। ‘ক্রিকেটের বাইবেল’ খ্যাত এই বর্ষপঞ্জির এবারের সংখ্যায় ‘লিডিং ক্রিকেটার’ অর্থাৎ শীর্ষ ক্রিকেটার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন কোহলি। এ নিয়ে টানা তৃতীয় (২০১৬, ২০১৭, ২০১৮) বছর উইজডেন অ্যালমানাকে ‘লিডিং ক্রিকেটার’-এর খেতাব জিতলেন ভারতীয় অধিনায়ক।
মূলত ইংলিশ গ্রীষ্মে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো পারফর্ম করাদের বিবেচনা করা হয় উইজডেনের স্বীকৃতিতে। গত বছর ভারতের ইংল্যান্ড সফরে অসাধারণ ছিল কোহলির পারফরম্যান্স। ৫ টেস্টের সিরিজ ইংলিশরা জিতেছি ৪-১ ব্যবধানে। তবে কোহলি করেছিলেন ৫৯৩ রান, সিরিজে সাড়ে তিনশ রানও করতে পারেননি আর কোনো ব্যাটসম্যান।
তিন সংস্করণ মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গতবছর ৬৮.৩৭ গড়ে ২ হাজার ৭৩৫ রান করেছেন কোহলি। ২ হাজার রানও করতে পারেননি আর কেউ। ‘লিডিং’ ক্রিকেটারের বিবেচনায় তাই সেই অর্থে কোহলির প্রতিদ্ব›দ্বীই ছিল না তেমন কেউ। দুইয়ে থাকা ইংল্যান্ডের জো রুটের থেকেও ৭০০ রান বেশি। ৩৭ ইনিংসে কোহলির নামের পাশে জমা হয় ১১টি সেঞ্চুরি।
প্রথম ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জিতে আসেন কোহলি। পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে সবকিছু। দলকেও টেস্টের শীর্ষস্থান এনে দিয়েছেন কোহলি। এবারের উইজডেনের প্রচ্ছদে জায়গা পেয়েছেন ইংলিশদের সর্বোচ্চ টেস্ট রান করা অ্যালিস্টার কুক এবং সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি জেমস অ্যান্ডারসন।
উইজডেনের তালিকায় শীর্ষ পাঁচে কোহলির সঙ্গে জায়গা পেয়েছেন ইংল্যান্ডের জস বাটলার, স্যাম কুরান, সারের চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জেতা অধিনায়ক ররি বার্নস এবং ইংল্যান্ড নারী দলের টামি বিউমন্ট। লিডিং ক্রিকেটারের তালিকায় স্থান পেয়েছেন ভারতের নারী দলের তারকা স্মৃতি মন্ধানা। যিনি গত বছর ১৩টি ফিফটি সহ ১২৯১ রান করেছেন। টি-টোয়েন্টির লিডিং ক্রিকেটার হয়েছেন আফগানিস্তানের রশিদ খান। টানা দ্বিতীয়বার এই খেতাব পেলেন আফগান লেগস্পিনার।
টানা তো নয়ই, এর আগে সব মিলিয়েও তিনবার ‘লিডিং ক্রিকেটার’ হতে পারেননি আর কোনো ক্রিকেটার। টানা দুইবার হয়েছিলেন বিরেন্দর শেবাগ, ২০০৮ ও ২০০৯ সালে। ২০১১ ও ২০১৪ সালে সেরা হয়েছিলেন কুমার সাঙ্গাকারা। শেবাগ ও কোহলি ছাড়া ভারতের হয়ে এই স্বীকৃতি পেয়েছেন আর কেবল শচিন টেন্ডুলকার, ২০১০ সালে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।