Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রকিবুল-গাজী বীরত্বে টিকে রইল মোহামেডান

ফেরাটা সুখকর হলো না মুস্তাফিজের

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় ডুবতে বসেছিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। দারুণ সেঞ্চুরি করে বিপর্যস্ত দলকে টেনে তুলেন রকিবুল হাসান, তাকে যোগ সঙ্গত করেন রজত ভাটিয়া। পরে স্লগ ওভারে ঝড় তুলেন সোহাগ গাজী। সেই গাজী বল হাতেও ছড়ালেন দ্যুতি। তাতে সুপার লিগে যাওয়ার আশা ফের জাগল মোহামেডানের।

গতকাল বিকেএসপির চার নম্বরে মাঠে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ বৃষ্টি আইনে মোহামেডান জিতেছে ১৩৩ রানে। আগে ব্যাট করে রকিবুলের ১০২, ভাটিয়ার ৬৬ আর গাজীর ১৪ বলে ৩৩ রানে ২৯৭ করেছিল মোহামেডান। গাজীর অফ স্পিনে ধসে ১৫০ রানে ৯ উইকেট হারায় প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। পরে আলো কমে যাওয়ায় খেলা চালানো না গেলে ডি/এল মেথডে ১৩৩ রানে জিতেছে মোহামেডান। এই জয়ে ১০ ম্যাচের পাঁচটা জিতে ১০ পয়েন্ট নিয়ে সুপার লিগের দৌঁড়ে টিকে রইল ঐতিহ্যবাহী দলটি।

সকালে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ইরফান শুক্কুরকে হারালেও লিটন দাস ছিলেন তেতে। আগ্রাসী মেজাজে খেলে রান বাড়াচ্ছিলেন তিনি। ৫ চার আর ১ ছক্কায় ৩৫ বলে ৩৬ করে লিটন ফেরার পর ধস নামে ইনিংসে। ৮৮ রানেই ৫ উইকেট পড়ে যায়। ৬ষ্ঠ উইকেটে ভাটিয়া আর রকিবুল মিলে গড়েন ১৪৬ রানের জুটি। ৬০ বলে ৬৬ করে ফেরেন ভাটিয়া। রকিবুল আউট হন ১০৪ বলে ১০২ রান করে। শেষ দিকে নেমে সোহাগ গাজী ২ চার আর ৩ ছক্কায় ১৪ বলে ৩৩ করলেও বড় সংগ্রহ পায় মোহামেডান।

বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় নাজমুল হোসেন মিলনকে নিয়ে ভালো শুরু পেয়েছিলেন এনামুল হক বিজয়। কিন্তু ৪৮ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙার পরই তাল হারায় প্রাইম ব্যাংক। একের পর এক উইকেট পতনে আর ম্যাচে থাকেনি তারা। ৭ ওভার বল করে অফ স্পিনে ২১ রানে ৪ উইকেট নেন গাজী।

এদিকে বৃষ্টি আশীর্বাদ হয়েই এলো গাজী গ্রæপ আর খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতির জন্য। বৃষ্টিবিঘিœত ম্যাচে পরে ব্যাট করে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে জিতেছে দুই দলই। গাজী গ্রæপ ২১ রানে হারিয়েছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে, ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে খেলাঘরের জয়টি ১২ রানের।

ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ফজলে মাহমুদের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ২৬৭ রান তুলেছিল ব্রাদার্স ইউনিয়ন। ফজলে মাহমুদ খেলেন ১০৩ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস। জবাব দিতে নেমে বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে খেলাঘরের স্কোর ছিল ১ উইকেটে ৮৪। পার স্কোরের (৭২) চেয়ে ১২ রান এগিয়ে থাকায় ডাকওয়ার্থ লুইসে জয়ী হয় খেলাঘর।

আর মিরপুরে শেরে বাংলায় সঞ্জিত হাসার ঘূর্ণিতে (৪/২৫) ৯ উইকেটে ১৭৭ রানের বেশি এগোতে পারেনি শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ রান করে করেন সাদমান ইসলাম আর দেলোয়ার হোসেন। জবাবে ২১.৫ ওভারে গাজী গ্রæপ ৪ উইকেটে ১০৬ রান তুললে বৃষ্টিতে বন্ধ হয়ে যায় ম্যাচ। পার স্কোরে লক্ষ্য ছিল ৮৬ রানের। গাজীর ব্যাটসম্যান শামসুর রহমান শুভ অপরাজিত থাকেন ৫৩ রানে। প্রায় সাড়ে চার বছর পর প্রিমিয়ার লিগে ফেরা শাইনপুকুরের তারকা পেসার মুস্তাফিজুর রহমান মাত্র ২৩ রান খরচায় নেন ৩ উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
মোহামেডান-প্রাইম ব্যাংক, সাভার
মোহামেডান : ৫০ ওভারে ২৯৬/৯ (লিটন ৩৬, অভিষেক ২০, রকিবুল ১০২, আশরাফুল ৪, নাদিফ ১১, ভাটিয়া ৬৬, সোহাগ ৩৩; আল আমিন ২/৫৪, মনির ২/৩৭, নাঈম ২/৫৩, রাজ্জাক ২/৬৫)।
প্রাইম ব্যাংক : (লক্ষ্য ৩৯.১ ওভারে ২৮৪) ৩৯.১ ওভারে ১৫০/৯ (এনামুল ২৬, ঈশ্বরণ ২২, কাপালী ১৫, নাহিদুল ২৮, নাঈম ১৮*; সাকলাইন ১/২২, সোহাগ ৪/২১, আশরাফুল ৩/৩৭)। ফল : মোহামেডান ১৩৩ রানে জয়ী (ডি/এল)। ম্যাচসেরা : রকিবুল হাসান।

শাইনপুকুর-গাজী গ্রæপ, মিরপুর
শাইনপুকুর : ৪৮ ওভারে ১৭৭/৯ (চাঁদ ১৩, সাব্বির ২৪, সাদমান ৪০, শুভ ৩০, দেলোয়ার ৪০*; আবু হায়দার ১/৫৪, রাব্বি ১/৩৬, নাসুম ২/৩৩, সঞ্জিত ৪/২৫)। গাজী গ্রæপ : (লক্ষ্য ২১.৫ ওভারে ৮৬) ২১.৫ ওভারে ১০৬/৪ (মেহেদি ১৩, ইমরুল ৫, শামসুর ৫৩*, রনি ১৬, কামরান ১৩*; মুস্তাফিজ ৩/২৩, সাব্বির ০/৬)। ফল : গাজী গ্রæপ ২১ রানে জয়ী (ডি/এল)।
ম্যাচসেরা : সঞ্জিত সাহা।
ব্রাদার্স-খেলাঘর, ফতুল্লা
ব্রাদার্স ইউনিয়ন : ৫০ ওভারে ২৬৭/৬ (মিজানুর ৪৯, মাহমুদ ১০৩, দেবব্রত ৪৫, ইয়াসির ৪৭*, শাহজাদা ১৩; রবিউল ১/৪৯, রবি ১/২৮, তানভীর ১/৪০, মাসুম ১/৫৪)। খেলাঘর সমিতি : (লক্ষ্য ২০ ওভারে ৭২) ২০ ওভারে ৮৪/১ (রবি ৩৯*, কমল ২১, মাহিদুল ২১*; নাঈম জুনি. ০/১৯, সাজেদুল ০/২০, শাহজাদা ০/১৩, মাহমুদ ০/৯)। ফল : খেলাঘর সমিতি ১২ রানে জয়ী (ডি/এল)।
ম্যাচসেরা : ফজলে মাহমুদ।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মুস্তাফিজ


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ