নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আন্দ্রে রাসেল কি রক্ত মাংসে গড়া মানুষ, নাকি ভীনগ্রহের কোনো এলিয়েন! শুক্রবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু বনাম কলকাতা নাইট রাইডার্স ম্যাচটি যদি দেখে থাকেন কিংবা আইপিএলের য়িমিত দর্শক হয়ে থাকেন তবে এর সাদামাটা উত্তর ঠিকই পেয়ে যাবেন আপনি। এই ম্যাচে যখন ক্রিজে আসেন, ২৬ বলে তখন ৬৭ রান দরকার কলকাতার। ম্যাচটা আদতে তখন হাত থেকে ছুটে গেছে। এর মধ্যে দাঁড়িয়ে প্রথম ৪ বলে ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার করতে পারলেন মাত্র ১ রান।
সবাই ভাবছিলেন, এবার বোধ হয় আর অসম্ভব সম্ভব হবে না। রাসেল যে ব্যাটে বলই লাগাতে পারছিলেন না। ১৬তম ওভারে নিতিন সাইনির প্রথম বলটা ওয়াইড হলো। পরের বল অর্থাৎ নিজের ইনিংসের প্রথম বলে কোনও রান পেলেন না রাসেল। অফস্টাম্পের বাইরের বল মারতে গিয়ে মিস করলেন।
ওভারের তৃতীয় বলটি কভারে ঠেলে ১ রান নিলেন রাসেল। মোহাম্মদ সিরাজের পরের ওভারের প্রথম বলটি মারতে গিয়েও মিস করলেন। রান হল না। রাসেলের রান তখন ৩ বলে ১। সিরাজের দ্বিতীয় বলে আবারও মিস। অফস্টাম্পের বাইরের বল মারতে গিয়ে ব্যাটে লাগাতে পারলেন না ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার। ৪ বলে তখন মাত্র ১ রানে তিনি। কলকাতাও যেন ম্যাচ জয়ের আশা ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু রাসেল তো হাল ছাড়ার পাত্র নন, অসম্ভবকে সম্ভব করার জন্যই যেন মাঠে নামেন তিনি। সিরাজের তৃতীয় বলটা ওয়াইড হওয়ায় নো বলে ফ্রি-হিট পেয়ে যান রাসেল। সুযোগ পেয়েই ছক্কা। সেই যে ছন্দে ফিরলেন, এরপর আর পেছনে তাকাননি। পরের সময়টায় রাসেলের রানগুলো দেখলে হয়তো অনেকে চোখ কচলে তাকাবেন দ্বিতীয়বার-৬, ৬, ১, ৬, ৬, ৬, ৪, ৬। অর্থাৎ প্রথম ৪ বলে ১ রান নেয়া এই ব্যাটসম্যান পরের ৯ বলে নিয়েছেন ৪৭ রান। বিশ্বাস হয়!
তবু ম্যাচ শেষে রাসেলের কৃতিত্বকে খাটো করতে অজুহাত হিসেবে আনা হয় ব্যাঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের ছোট বাউন্ডারির অজুহাত। কিন্তু সেটি উড়িয়ে দিয়েছেন ছক্কার স্টাইলেই। জানিয়ে দিয়েছেন তার কাছে বিশ্বের কোনো মাঠই বড় নয়। সেটি হোক ভারত কিংবা অস্ট্রেলিয়ায়, ‘আমার মনে হয়, আমার কাছে বিশ্বের কোনো মাঠই যথেষ্ট বড় নয়। আমি আমার ক্ষমতায় বিশ্বাস করি। হাত এবং চোখের যোগসাজশ এখানে বড় ফ্যাক্টর। বিশেষ করে লো ফুলটস ডেলিভারিগুলোতে। কারণ লো ফুলটসে বড় শট খেলা কঠিন। আমি চেষ্টা করি হাত খুলে খেলার। আমি হয়তো বোঝাতে পারবো না, তবে মাঠে প্রত্যক্ষভাবে দেখিয়েই দিতে পারি (হাসি)।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।