মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : পাকিস্তান এবং চীন এই দুটি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের উদ্দেশে গতকাল শনিবার একযোগে কড়া বার্তা দিয়েছে নয়াদিল্লি। ২৪ মে বেইজিং সফরে যাচ্ছেন ভারতের প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখোপাধ্যায়। ৬ বছর পর কোনো ভারতীয় প্রেসিডেন্টর এই চীন যাত্রা। তার ঠিক আগে চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক আবহাওয়া ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বলেই মনে করছেন কূটনীতিকরা। ওদিকে আজাদ কাশ্মীরে চীনের বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগের সম্ভাবনা উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে সাউথ ব্লকের। ওই এলাকায় পরিকাঠামো তৈরির নকশাও বেইজিং বানিয়ে ফেলেছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। আবার সেইসব প্রকল্পের সুরক্ষার অজুহাতে আজাদ কাশ্মীরে সেনাও পাঠাচ্ছে চীন। সম্প্রতি নিয়ন্ত্রণরেখায় পাকিস্তানের সেনারঘাঁটিগুলোতে চীনাদের গতিবিধি ভারতীয় সেনাবাহিনীর নজরে পড়ে বলে দাবি করা হয়েছে।
ভারতকে চাপে রাখতেই পাকিস্তান এবং চীন এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে ধারণা নয়াদিল্লির। ইরানের চাবাহার বন্দরে ভারতের উপস্থিতি দীর্ঘদিন ধরেই অস্বস্তিতে রেখেছে বেইজিং-ইসলামাবাদকে। তাই পাকিস্তানের অন্তর্ভক্ত আজাদ কাশ্মীরে সেনা পাঠিয়ে চীন চাপ দেয়ার চেষ্টা করছে বলেও মনে করেন অনেকে। সম্প্রতি চীনের এই গতিবিধি নিয়ে রিপোর্ট দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও।
আজাদ কাশ্মীর নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ বলেছেন, (তার ভাষায়) পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে চীনা কার্যকলাপের বিষয়টি নিয়ে আমরা সরব হয়েছি। তিনি বলেন, চীনা নেতৃত্বকে ভারতের আপত্তির কথা জানানো হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্রের দাবি, আজাদ কাশ্মীরও ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সেখানে চীনকে কোনো কাজ না করতে বলা হয়েছে।
আজাদ কাশ্মীর প্রশ্নে পাকিস্তানের প্রতিও একইভাবে খড়গহস্ত হয়েছে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী। গত এক মাস ধরে কাশ্মীরের কুপওয়ারা এবং হান্দোয়ারায় বিক্ষোভ চলছে। এক সেনা অফিসারের বিরুদ্ধে একটি ১৬ বছরের মেয়ের শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ নিয়ে ক্ষোভ দেখাচ্ছেন স্থানীয় মানুষ। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি বিবৃতি দিয়েছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও। তাদের দাবি, হান্দোয়ারার ঘটনা নিয়ে ভারত ঠিক পদক্ষেপ নেয়নি।
বিকাশ স্বরূপ বলেন, পাকিস্তানসহ কোনো দেশের কাছ থেকে আমাদের কাশ্মীর নিয়ে বক্তৃতা শোনার প্রয়োজন নেই। পাকিস্তান নিজে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের স্নায়ুকেন্দ্র। সেদেশে নিয়মিতভাবে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হন। এখানেই না থেমে মুখপাত্র বলেছেন, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবার কোনো অধিকার পাকিস্তানের নেই। ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।