পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
লিবিয়ার বিদ্রোহী বাহিনী পূর্বাঞ্চল থেকে রাজধানী ত্রিপোলি অভিমুখে রওনা দেওয়ায় দেশটিতে নতুন করে সংঘাত শুরু হয়েছে। লিবিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এলএনএ) নেতা খলিফা হাফতার তার বাহিনীকে রাজধানী অভিমুখে রওনা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণের একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে তাদের লড়াই চলছে। নতুন করে শুরু হওয়া এই সংঘাতের নিন্দা জানিয়েছে ধনী দেশগুলোর গ্রুপ জি-৭ এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। ২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর ত্রিপোলিতে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সরকারের কর্মকান্ড চলছে। এই সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। বিদ্রোহী বাহিনী রওনা দেওয়ায় রাজধানী ত্রিপোলিতে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে জাতিসংঘ বাহিনী। বৃহস্পতিবার লিবিয়ার সংকট নিয়ে আলোচনা জন্য ত্রিপোলিতে ছিলেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সেদিনই নিজের বাহিনীকে রাজধানী অভিমুখে রওনার নির্দেশ দেন এলএনএ নেতা খলিফা হাফতার। শুক্রবার বেনগাজিতে গুতেরেসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে হাফতার তাকে জানিয়ে দেন ‘সন্ত্রাসীদের’ পরাজিত না করা পর্যন্ত তার বাহিনীর অভিযান থামবে না। বৃহস্পতিবার রওনা দিয়েই ত্রিপোলির একশো কিলোমিটার দক্ষিণের শহর গারিয়ানের নিয়ন্ত্রণ নেয় হাফতারের এলএনএ-এর সদস্যরা। এছাড়া ২০১৪ সাল থেকে বন্ধ থাকা রাজধানীর একটি বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার খবরও জানা যাচ্ছে। তবে এই খবর নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। ত্রিপোলির পূর্বাঞ্চলীয় শহর মিসতারার বাসিন্দারা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, রাজধানী রক্ষায় তাদের শহর থেকে যোদ্ধা পাঠানো হয়েছে। ত্রিপোলির সরকার সমর্থক সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো শুক্রবার বার্তা সংস্থাটিকে জানিয়েছেন তারা বহু এলএনএ সদস্যকে বন্দি করেছে। এবছরের শুরুতে লিবিয়ার দক্ষিণাঞ্চল এবং ওই এলাকাগুলোর তেলক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রণ নেয় এলএনএ-যোদ্ধারা। এক টুইট বার্তায় জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, গভীর দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে লিবিয়া ছেড়ে যাচ্ছেন তিনি। পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ থাকলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন রাজধানীতে নতুন যুদ্ধ এড়ানোর উপায় রয়েছে। পরে সামরিক অভিযান বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দেয় শিল্পোন্নত দেশগুলোর গ্রুপ জি-৭। বিবৃতিতে লেখা হয়, ‘আমরা লিবিয়ায় যেকোনও ধরণের সামরিক ব্যবস্থার কঠোর বিরোধী’। দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ নেতৃত্বাধীন পদক্ষেপের ওপর তাদের সমর্থনের কথা পুর্নব্যক্ত করা হয় ওই বিবৃতিতে। শুক্রবার রাতে রুদ্ধ-দ্বার বৈঠক করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। বৈঠকের পর জাতিসংঘে নিযুক্ত জার্মান দূত ক্রিস্টোফ হেউজেন বলেন এলএনএ বাহিনীকে সামরিক গতিবিধি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে সদস্য দেশগুলো। তিনি বলেন, এই সংঘাতের কোনও সামরিক সমাধান নেই। এর আগে রাশিয়ার এক মুখপাত্র বলেন, খলিফা হাফতারের অভিযানে সমর্থন নেই ক্রেমলিনের। ক্রেমলিন শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক উপায়ে সংঘাতের সমাধান চায় বলেও জানান তিনি। বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।