Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

বোয়িং ৭৩৭-এর উৎপাদন হ্রাস

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ এপ্রিল, ২০১৯, ৪:৪০ পিএম

ইন্দোনেশিয়া এবং ইথিওপিয়ায় বোয়িং ৭৩৭-ম্যাক্স বিমান বিধ্বস্তে ৩৪৬ আরোহীর মৃত্যুর পর মার্কিন এই বিমান কোম্পানিটি তাদের উৎপাদন কমিয়ে আনার পদক্ষেপ নিলো। পরপর দুই দফায় বড় ধরনের দুর্ঘটনার পর ৭৩৭-মাক্স বিমান বহরের সংকট এড়াতেই উৎপাদন হ্রাস করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ডেনিস মুইলেনবার্গ। খবর বিবিসি।

শুক্রবার বোয়িং এক বিবৃতিতে জানায়, চলতি মাসে বোয়িংয়ের এই বিমান উৎপাদনের পরিমাণ ৫২ থেকে ৪২শে কমিয়ে আনা হবে। তবে বর্তমানে এতে কোম্পানিটির কোনো কর্মী ছাটাই হওয়ার আশংকা নেই। মূলত অর্থনৈতিক ক্ষতি কমিয়ে আনার জন্যই এই চেষ্টাটি করা হচ্ছে।
সম্প্রতি ইথিওপিয়ার কর্তৃপক্ষের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যেখানে বলা হয়, ফ্লাইট ইটি-৩০২ এর পাইলটরা বারবার ক্র্যাশের আগে বোয়িংয়ের দেওয়া সুপারিশগুলি অনুসরণ করেছিলেন। তার পরও বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
বোয়িংয়ের প্রধান নির্বাহী ডেনিস মুইলেনবার্গ বলেন, ‘আমরা এখন জানি যে সাম্প্রতিক লায়ন এয়ার ফ্লাইট-৬১০ এবং ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনস ফ্লাইট ৩০২ দুর্ঘটনার কারণগুলি একটি চেইনের ভেতর আনা হয়েছে। প্রতিবারই একটি সাধারণ শৃঙ্খলা লিঙ্ক বিমানের এমসিএএস ফাংশনের ভুল অ্যাক্টিভেশন করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এই ঝুঁকিটি দূর করার দায়বদ্ধতা রয়েছে। এ কারণে আমরা তা ঠিক কীভাবে করবো বিষয়টি পর্যবেক্ষণে খুব শিগগিরি একটি কমিটি গঠন করা হবে।’ একইসঙ্গে তিনি এমসিএএস সফটওয়্যার আপডেটসহ পাইলটদের সর্বোচ্চ প্রশিক্ষণ প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন।
মুইলেনবার্গ বলেছেন, ‘আমরা এই পদক্ষেপগুলির মাধ্যমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। একইসঙ্গে ম্যাক্স ডেলিভারির বিরতি মিটানোর জন্য সাময়িকভাবে ৭৩৭ উৎপাদনের সামঞ্জস্যতা আনা হচ্ছে। তাছাড়া নতুন তৈরি হওয়া এসব বিমানগুলির নকশা, উন্নয়নের নীতি এবং প্রক্রিয়াগুলি দেখার জন্য একটি নতুন কমিটিও গঠন করা হচ্ছে।’

গত ১০ মার্চ ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনস বোয়িং-৭৩৭ রাজধানী আদ্দিস আবাবা থেকে ১৫৭ আরোহী নিয়ে উড্ডয়নের মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে বিধ্বস্ত হয়। এতে বিমানের সকল আরোহীর মৃত্যু হয়। এর আগে গত অক্টোবর মাসে ইন্দোনেশিয়ার এয়ারলাইন্স লায়ন এয়ারের ফ্লাইটটি জাকার্তা থেকে উড্ডয়নের পর সমুদ্রে গিয়ে বিধ্বস্ত হয়। সেই দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা ১৮৯ যাত্রীর সকলেই মৃত্যুবরণ করেন। উভয় ক্ষেত্রে প্রাথমিক পরীক্ষায় দেখা গেছে পাইলটরা বিমানটি রক্ষ্যা করার জন্য এমএলএএস নামে একটি এন্টি স্টল সফটওয়্যার ব্যবহার করেছিলেন। তবে তারা উভয়ই তা করতে ব্যর্থ হন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বোয়িং
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ