Inqilab Logo

শনিবার, ০৮ জুন ২০২৪, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

শিক্ষিত বেকার বাড়ছে

শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন এবং সেক্টর অনুযায়ী কর্মসংস্থান সৃষ্টি না হওয়াই প্রধান কারণ : প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হেলাল

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৪ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

সরকারের নীতি ও দাতাগোষ্ঠীর দৃষ্টিভঙ্গিই দায়ী : প্রফেসর ড. নেহাল করিম

দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সর্বশেষ কলেজ গ্রাজুয়েট ট্রেসার স্টাডির তথ্য উল্লেখ করে বিশ্বব্যাংক বলছে, কলেজ গ্রাজুয়েট পুরুষদের ৬৬ শতাংশই বেকার থাকছে। নারীদের মধ্যে এ হার আরো বেশি, ৭৭ শতাংশ। শহর-গ্রামভেদেও এ হারে পার্থক্য রয়েছে। মেট্রোপলিটন এলাকার কলেজ গ্রাজুয়েটদের মধ্যে বেকারত্বের হার ৫৫ শতাংশ হলেও গ্রামাঞ্চলে তা ৭২ শতাংশ। এ হারে পার্থক্য আছে বিভাগভিত্তিক কলেজ গ্রাজুয়েটদের মধ্যেও। মানবিক বিভাগের ৭৪ শতাংশ কলেজ গ্রাজুয়েট বেকার থাকলেও সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের গ্রাজুয়েটদের মধ্যে এ হার ৭১ শতাংশ। এছাড়া বিজ্ঞানের ৬৬ শতাংশ ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ৬৯ শতাংশ কলেজ গ্রাজুয়েট বেকার থাকছেন।
প্রতি বছর ২০ লাখের মতো নতুন মুখ দেশের শ্রমশক্তিতে যুক্ত হচ্ছে। মোট শ্রমশক্তিতে বাড়ছে উচ্চশিক্ষিতদের অংশগ্রহণ। যদিও এদের বড় অংশই বেকার থাকছে। এর মধ্যেও বেশি পিছিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ গ্রাজুয়েটরা। ডিগ্রি সম্পন্নের পর চাকরি খুঁজতেই তিন বছর চলে যাচ্ছে ৪৬ শতাংশ কলেজ গ্রাজুয়েটের। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের ওপর জরিপ চালিয়ে এ তথ্য দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন সম্প্রতি প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। সেখানে কর্মসংস্থানের প্রস্তুতি ও কলেজ গ্রাজুয়েটদের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিশ্বব্যাংক। পাশাপাশি এ চিত্রকে তারা উদ্বেগজনকও বলছে। দেশে দুই ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ মিলছে বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি-বেসরকারি কলেজ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যমতে, এর অধিভুক্ত কলেজের সংখ্যা ২ হাজার ৩০০। প্রতি বছর কলেজের সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) হিসাব মতে, সারা দেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বিভিন্ন কলেজে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৮ লাখের বেশি, যা মোট উচ্চশিক্ষা গ্রহণকারীর ৬৮ শতাংশ। প্রতি বছর শুধু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজগুলো থেকে গ্রাজুয়েট বের হচ্ছেন ৫০ হাজারের মতো।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পড়ালেখা শেষ করে মাত্র ১ শতাংশ কলেজ গ্রাজুয়েট স্বকর্মসংস্থানে যুক্ত হচ্ছেন। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, গ্রাজুয়েশন শেষ করার পর তিন বছর ধরে চাকরির সন্ধান করতে হচ্ছে ৪৬ শতাংশ কলেজ গ্রাজুয়েটকে। তাদের মধ্যে বেকারত্বের হারও সবচেয়ে বেশি ৭১ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শিক্ষক সংকট, মানসম্মত শিক্ষার পরিবেশ ও বাজারমুখী কারিকুলামের অভাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজে উচ্চশিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর জন্য চাকরির বাজার প্রস্তুত না থাকার কারণেও চাকরি পেতে বেশি সময় লেগে যাচ্ছে তাদের। এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হেলাল ইনকিলাবকে বলেন, দেশে শিক্ষিত বেকার বাড়ার পিছনে মূলত কাজ করছে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন না হওয়া এবং সেক্টর অনুযায়ী কর্মসংস্থান সৃষ্টি না হওয়া। বাংলাদেশে বিভিন্ন কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেসব বিষয়ে শিক্ষার্থীরা পাশ করে বের হচ্ছেন তাদের সেক্টরগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়নি। এক্ষেত্রে সরকারি কিছু উদ্যোগ থাকলেও বেসরকারি বিনিয়োগের পরিমাণ খুবই কম। ফলে তারা সরকারি সেক্টরগুলোতে ঢুকলেও বিষয় অনুযায়ী বেসরকারি সেক্টরে কর্মসংস্থান পাচ্ছে না। অন্যদিকে এখানে শিক্ষার গুণগত মান নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। তিনি বলেন, গুণগত শিক্ষার মান নিশ্চিত করা গেলে দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি না হলেও বিদেশে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু শিক্ষিতের হার অনুযায়ী দক্ষ জনগোষ্ঠি তৈরী না হওয়ায় পড়ালেখা শেষেও নাগরিকদের একটি বড় অংশকে বেকার থাকতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে অর্থনৈতিক অবকাঠামোতে সংস্কার ও শিক্ষা ব্যবস্থাতে পরিবর্তন নিয়ে আমাদের আরও ভাবার বিষয় রয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, একাধিক গ্রাজুয়েটের চাকরি খুঁজতেই তিন-চার বছর লেগে যাচ্ছে। এদেরই একজন নীলফামারীর রুদ্র তালুকদার। ২০১৪ সালে রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় অংশ নিলেও চাকরি হয়নি তার। চাকরি খুঁজতে খুঁজতে কেটে গেছে চার বছরের বেশি সময়। অবশেষে চলতি বছরের শুরুতে একটি বেসরকারি ওষুধ কোম্পানিতে প্রতিনিধির চাকরি পেয়েছেন এ কলেজ গ্রাজুয়েট।
অন্যদিকে পড়াশোনা শেষ করার পর তিন বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো চাকরি জোটেনি ঢাকা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী সাইদুর রহমানের। অর্থনীতি বিভাগ থেকে পড়াশোনা শেষ করে চাকরি না পেয়ে এখন টিউশনি করে চলতে হচ্ছে তাকে। পাশাপাশি চলছে চাকরি খোঁজার চেষ্টা।
সর্বশেষ কলেজ গ্রাজুয়েট ট্রেসার স্টাডির তথ্য উল্লেখ করে বিশ্বব্যাংক বলছে, গ্রাজুয়েটদের বড় অংশেরই দক্ষতার ঘাটতি রয়েছে। তাদের ওপর জরিপ চালিয়ে সংস্থাটি বলছে, এক-তৃতীয়াংশ চাকরিজীবী গ্রাজুয়েট মনে করেন, কলেজে শেখা জ্ঞান ও দক্ষতা তারা কাজে লাগাতে পারছেন। অধিকাংশ কলেজ গ্রাজুয়েটই তাদের কলেজে শেখা জ্ঞান কাজে লাগাতে পারেন না। বর্তমান বিশ্বে তথ্যপ্রযুক্তির জ্ঞান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও প্রতি ১০ জনের মধ্যে মাত্র একজন জানিয়েছেন, কলেজে শেখা আইসিটি জ্ঞান কর্মক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারছেন।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. নেহাল করিম ইনকিলাবকে বলেন, বাংলাদেশে শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পাবার পেছনে অনেকাংশে দায়ী এখানকার সরকারের নীতি ও আন্তর্জাতিক দাতাগোষ্ঠীর দৃষ্টিভঙ্গি। বিশ্ব ব্যাংক থেকে শুরু করে অন্যান্য দাতা সংস্থা ও দেশগুলোর এখানে বৃহৎ কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান বা কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য আশানুরূপ বিনিয়োগ করেন না। তাই এখানে চাহিদা অনুযায়ী কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়নি। অন্যদিকে, শিক্ষিত জনগোষ্ঠির মধ্যে বেকারত্বের হার বাড়ার পেছনে সরকারের নীতি অনেকাংশে দায়ী। দেশের তরুণদের চাহিদা অনুযায়ী কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার মত উদ্যোগ সরকার থেকে গ্রহণ করা হয়নি। সরকার জানেনই না অধীনস্ত বিভাগ ও দফতরসমূহে কত পদ খালি পড়ে আছে। এসব বিষয়গুলোতে আরও সুষ্ঠু তদারকি করা হলে বেকারত্বেও তীব্রতা কিছুটা হলেও কমে আসবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষার মান উন্নয়ন ও বাজারের চাহিদা অনুযায়ী গ্রাজুয়েট তৈরিতে কাজ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়নে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষার্থীরা যাতে মানসম্মত পাঠ্যপুস্তক পায়, সে বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সরকারের যৌথ অর্থায়নে সাড়ে ১৬ হাজার কলেজ শিক্ষকের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে দেশের ভেতরে ও বাইরে। বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে ব্যাপকসংখ্যক শিক্ষার্থীকে আইটি শিক্ষা দেয়ার পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে।



 

Show all comments
  • Musfiqur Rahman Rafi ৪ এপ্রিল, ২০১৯, ৩:৪৪ এএম says : 0
    এর জন্য সরকারো কিন্তু দায়ী।
    Total Reply(0) Reply
  • Faisal Farhan ৪ এপ্রিল, ২০১৯, ৩:৫৩ এএম says : 0
    লেখাপড়া করে যে, গাড়িঘোড়া চড়ে সে-ছোটবেলায় এই ছড়াটি শোনেনি এমন শিশু পাওয়া কঠিন। লেখাপড়া করে চাকরি পাবে, ভালো রোজগার করে উন্নত জীবনযাপন করবে-এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাংলাদেশে শিক্ষিত মানুষেরাই বেশি বেকার। তাঁরা নিজেদের পছন্দমতো কাজ পান না। অন্যদিকে যাঁরা কখনো স্কুলে যাননি, শিক্ষার সুযোগ পাননি; তাঁদের মধ্যেই বেকারত্বের হার সবচেয়ে কম।
    Total Reply(0) Reply
  • Dola Kashem ৪ এপ্রিল, ২০১৯, ৩:৫৩ এএম says : 0
    আমাদের ব্যবসার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। আমাদের হাতে কলমে উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে। শুধু উপদেশ প্রদান করে বেকারত্ব কমানো যাবে না।
    Total Reply(0) Reply
  • Engr. Md Adil Sarkar ৪ এপ্রিল, ২০১৯, ৩:৫৫ এএম says : 0
    সমস্যাগুলো সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে সমাধান করতে হবে এবং ব্যবসায়ীদের কিছুটা ছাড় দিয়ে বিনিয়োগের জন্য উদ্বৃত্ত সৃষ্টি করতে সরকারের সহযোগিতা দরকার। সরকার শুধু ব্যবসাসংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি কমাতে পারলেই ব্যবসায়ীরা অনেক উপকৃত হবেন। কোনো কোনো ব্যবসায়ীকে মাসে লাখ লাখ টাকা সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ দিতে হয়, যা কমানো গেলে অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি সম্ভব।
    Total Reply(0) Reply
  • Rashedul Islam ৪ এপ্রিল, ২০১৯, ৩:৫৫ এএম says : 0
    দেশে ব্যাঙের ছাতার মতো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলেও দক্ষ কর্মী তৈরির প্রতিষ্ঠান তেমন একটা নেই। এ সংকট দেশে শিক্ষিত বেকারের হার বাড়াচ্ছে। দেশকে নিয়ে যাচ্ছে ঝুঁকির মুখে; যার অবসানে এখনই জরুরি ভিত্তিতে উদ্যোগী হতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Nasrin Ferdousi ৪ এপ্রিল, ২০১৯, ৪:১২ এএম says : 0
    শিক্ষিত জনগোষ্ঠির মধ্যে বেকারত্বের হার বাড়ার পেছনে সরকারের নীতি অনেকাংশে দায়ী। দেশের তরুণদের চাহিদা অনুযায়ী কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার মত উদ্যোগ সরকার থেকে গ্রহণ করা হয়নি। সরকার জানেনই না অধীনস্ত বিভাগ ও দফতরসমূহে কত পদ খালি পড়ে আছে। এসব বিষয়গুলোতে আরও সুষ্ঠু তদারকি করা হলে বেকারত্বেও তীব্রতা কিছুটা হলেও কমে আসবে।
    Total Reply(0) Reply
  • আজিজুর রহমান ৪ এপ্রিল, ২০১৯, ৯:২০ এএম says : 0
    আমাদের গতানুগতিক শিক্ষাব্যাবস্হা ঝেড়ে ফেলে নবম শ্রেণী হইতে কর্মুমখী শিক্ষা ব্যাবস্হা চালো প্রয়োজন। যদি ৬৬% থেকে ৭৪% বেকারত্ব সৃষ্টি হয় তাহলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মত হাতী পুষে লাভ কি?
    Total Reply(0) Reply
  • Ivan Hussain ৪ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:২৪ পিএম says : 0
    এই সরকারে তথাকথিত উন্নয়নের অন্যতম অবদান: প্রচুর শিক্ষিত বেকার; এবং মানুষের শিক্ষা বিমুখ হয়ে পড়া।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শিক্ষা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ