Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নির্ধারিত সময়ের আগেই ফাইভজি চালু হবে- মোস্তাফা জব্বার

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ এপ্রিল, ২০১৯, ৮:০৯ পিএম

বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে ফাইভজি চালুর জন্য যে সময়সীমা দেয়া হয়েছিল তার আগেই এটি চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, ইশতেহারে আমরা ২০২৩ সালের মধ্যে ফাইভজি চালুর কথা বলেছিলাম। যদিও ইতোমধ্যে আমরা ফাইভজির পরীক্ষা সফলভাবে চালিয়েছি। তাই আশা করি নির্ধারিত সময়ের আগেই আগামী ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে দেশে ফাইভজি সেবা আনতে পারবো। এজন্য তিনি খাত সংশ্লিষ্টতে তৈরি হওয়ার আহ্বান জানান। বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে হুয়াওয়ে আয়োজিত ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ ২০১৯ বাংলাদেশ-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মোস্তাফা জব্বার মোবাইল ফোন অপারেটরসহ অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা ফোরজিতে যেসব প্রযুক্তি ব্যবহার করবেন তা ফাইভজির কথা চিন্তা করেই করবেন। তাহলে একদিকে যেমন ফাইভজির জন্য প্রস্তুতি হবে, অন্যদিকে খরচও কমবে। সিডস ফর দ্য ফিউচার প্রোগ্রামের বিষয়ে তিনি বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে হলে প্রযুক্তিতে বিপ্লব ঘটাতে হবে। আর এতে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে তরুণ শিক্ষার্থীদের। এ ধরনের আয়োজন আমাদের তরুণ শিক্ষার্থীদের তথ্য-প্রযুক্তির যাত্রায় আরও দ্রুত এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ৫টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সেরা ১০ জন আইসিটি মেধাবী শিক্ষার্থীর নাম ঘোষণা করে হুয়াওয়ে। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসের ইকোনোমিক অ্যান্ড কমার্শিয়াল কাউন্সিলর লি গুয়াংজুুন। এছাড়া হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ঝাং জেংজুনও অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝাং জেংজুন বলেন, সিডস ফর দ্য ফিউচার বিশ্বব্যাপী হুয়াওয়ের সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করা সিএসআর প্রোগ্রাম। এই প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য বিশ্বমানের প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য নতুন নতুন আইসিটি মেধাবীদের দক্ষতা উন্নয়নে সহায়তা করা। আমি বিশ্বাস করি, নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে ও সর্বশেষ প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে এই প্রতিযোগিতা বাংলাদেশী এই শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করছে।

তিনি আরও বলেন, আগামী ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হুয়াওয়ে সব ধরনের সহায়তা করবে। এছাড়াও বাংলাদেশে আইসিটি অবকাঠামো তৈরি, ভার্টিক্যাল ইন্ডাস্ট্রির ডিজিটাল রূপান্তর, ভোক্তাদের বিশ্বমানের প্রযুক্তি পণ্য সরবরাহ করতে এবং আইসিটি মেধাবীদের জন্য হুয়াওয়ে প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। আমাদের সঙ্গে অংশ নেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ।’ এ সময় তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে ভিশন-২০২১ অর্জনে বাংলাদেশের আইসিটি খাতে অবদান রাখতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।

‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ ২০১৯-এর বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে নির্বাচিত ১০ জন শিক্ষার্থী হলেন: বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে তাসফিয়া জাহিন ও সরকার স্নিগ্ধ সারথি দাস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মায়িশা ফারজানা ও কৌশিক কুমার, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) থেকে তাসফিয়া সেঁউতি ও মিনহাস বিন ফারুকী, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) থেকে আতিয়া ইসলাম আঁখি ও জাহেদুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) থেকে মনিশা দেব ও কামরুল হাসান। এসব শিক্ষার্থীদের নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে হাতে-কলমে শিক্ষা দিতে চলতি এপ্রিলেই দুই সপ্তাহের জন্য চীনের বেইজিং ও শেনজেনে নিয়ে যাওয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ