বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়ির কবলে শবে বরাত-৩
সুনানে ইবনে মাজায় বর্ণিত হয়েছে : হযরত আলী ইবনে আবু তালেব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ
আজ পবিত্র শবে মেরাজ। ৬২০ খ্রিষ্টাব্দে ২৬ রজব রাতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে বিশেষ বাহনে করে ঊর্ধ্বাকাশে গমন করেন। সেখানে হজরত আদম (আ.) সহ উল্লেখযোগ্য নবীদের সঙ্গে মহানবী (সা.)-এর সালাম বিনিময় হয়।
তারপর তিনি সিদরাতুল মুনতাহায় উপনীত হন। এ পর্যন্ত হযরত জিবরাইল (আ.) তার সঙ্গী ছিলেন। সেখান থেকে তিনি একা রফরফ নামক বিশেষ বাহনে ৭০ হাজার নূরের পর্দা পেরিয়ে আরশে আজিমে মহান আল্লাহতায়ালার সান্নিধ্য লাভ করেন। এরপর পাঁচওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে ফিরে আসেন পৃথিবীতে। একই সময়ে মহানবী (সা.) সৃষ্টি জগতের সবকিছুর রহস্য অবলোকন করেন।
আরবি ভাষায় মিরাজ অর্থ হচ্ছে সিঁড়ি। আর ফার্সি ভাষায় এর অর্থ ঊর্ধ্ব জগতে আরোহণ। মিরাজ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনের সূরা বনিইসরাইলে বলা হয়েছে (আয়াত ১) : ‘তিনি পরম পবিত্র ও মহিমাময়, যিনি রাতে স্বীয় বান্দাকে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত নিয়ে গেলেন। যার চারদিকে আমি বরকতমন্ডিত করেছি। যেন আমি আমার কিছু নিদর্শন দেখাই। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।’
যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে বুধবার দিবাগত রাতে সারাদেশে পবিত্র শবে মিরাজ উদযাপিত হবে বলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ উপলক্ষে ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ বাদ আসর বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে লাইলাতুল মিরাজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক এক ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মহিউদ্দিন কাসেম মিরাজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য বিষয়ে আলোচনা করবেন। এ দিকে সারা দেশের মসজিদ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে এ রাতের গুরুত্ব ও ফজিলত নিয়ে আলোচনা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।