Inqilab Logo

শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পবিত্র শবে মেরাজ পালিত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

২৬ রজব দিবাগত রাত ছিল পবিত্র মেরাজ রজনি। এ উপলক্ষে মহাখালীস্থ গাউছুল আজম মসজিদ ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদ, খানকা, দরবার এবং মাজারে যথাযোগ্য মর্যাদায় পবিত্র শবে মেরাজ পালিত হয়েছে। এ মহান রাতের কর্মসূচিসমূহের মধ্যে ছিল রাতভর ওয়াজ, কুরআন তেলাওয়াত-জিকির-আজকার নফল এবাদত বন্দেগী, মিলাদ এবং দোয়া মোনাজাত।
এ মহান রাতে আল্লাহ তা’য়ালার ইচ্ছায় রাসূল (সা.) স্বশরীরে পবিত্র কাবা শরীফ থেকে পবিত্র বায়তুল মোকাদ্দাস, সিদরাতুল মুনতাহা হয়ে রুহানি জগতের আরশে মো’য়াল্লায় মহান আল্লাহ তা’য়ালার সাথে সাক্ষাৎ করে আবার রাতেই জমিনে তাশরীফ আনেন। বিশিষ্ট ৪৫ জন ছাহাবায়ে কেরাম (রা.) মেরাজের বর্ণনা করেছেন। পবিত্র কুরআনের একাধিক আয়াতে মেরাজের ঘটনার কথা উল্লেখ রয়েছে। মেরাজের মাধ্যমে রাসূল (সা.) এর শ্রেষ্ঠত্ব এবং আল্লাহ তা’য়ালার সাথে তার নিগূঢ় সম্পকের্র রহস্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ পায়। তাই মেরাজকে বিশ্বাস করা এবং উপলব্ধি করা মুসলমানদের জন্য ফরজ। ২৬ রজব দিবাগত রাত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলেহি ওয়া ছাল্লাম স্বশরীরে মেরাজ অর্থাৎ মহান আল্লাহ তা’য়ালার সাথে সাক্ষাৎ লাভ করেন। এ মহান রাতে আল্লাহ তা’য়ালা রাসূল (সা.)কে দীদারদানে ধন্য করেন। যার কারণে উম্মতি মোহাম্মদির কাছে মেরাজুন্নবী (সা.) রজনী অতিশয় সম্মানিত ও মূল্যবান। কারণ দয়ালু নবীজীর মেরাজুন্নবী (সা.) এর বদৌলতে উম্মতে মোহাম্মদি মরতবা অন্যান্য নবীগণের সম্মান অধিক পরিমাণে বৃদ্ধি লাভ করেছে। হাদীস শরীফে আছে আস্সালাতু মেরা’জুল মো’মেনিন অর্থাৎ নামাজ হলো মুমিন নর-নারীর মেরাজ স্বরূপ।
চাঁদপুরে পবিত্র শবে মিরাজ পালিত
চাঁদপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, চাঁদপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীয্যের মধ্যদিয়ে পবিত্র শবে মিরাজ পালিত হয়েছে। গত শনিবার দিবাগত রাতে চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা, মাজার, দরগাহ, খানেকায়, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও ইসলামী ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে দিনটির তাৎপর্য নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করা হয়। শনিবার দিবাগত রাতে চাঁদপুর শহরের বাইতুল আমিন রেলওয়ে জামে মসজিদ, চৌধুরী জামে মসজিদ, বড় স্টেশন রেলওয়ে জামে মসজিদ, রেলওয়ে জিলানীয়া জামে মসজিদ, নিশি বিল্ডিং হাওলাদার জামে মসজিদ, চিশতীয়া জামে মসজিদ,বাইতুল মামুর জামে মসজিদ, নতুনবাজার বেগম জামে মসজিদ, পুলিশ লাইন জামে মসজিদ, পুরানবাজার ঐতিহাসিক জামে মসজিদ, ডবিøউ রহমান জুটমিল জামে মসজিদ, কালেক্টরেট জামে মসজিদ ও হাজিগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা এবং মুসলিম উম্মার শান্তি কামনায় দোয়া করা।



 

Show all comments
  • গনতন্ত্র ১৬ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:৪৪ এএম says : 0
    জনগন বলছেন, “আশরাফুল মাকলুকাত – ২০১৮ ” “আশরাফুল মাকলুকাত” উপাধী দিলেন যিনি ভুলেও তার শুকরিয়া আদায় করিনা, পশুপাখীকে মাথার উঠিয়ে নাচানাচি শয়তানের মন রন্জন কি হলনা ? পশুপাখী প্রহরে প্রহরে জাগে আমরা ঘুমের ঘোরে, এত আজান কানে বাজেলেও মসজিদে যাইনা দৌড়ে ? সব কাজ করি তোফানের বেগে আল্লাহর হুকুম তামিলে পা নড়েনা, ক্যান্সারের মত শয়তান টানছে কেন আমি তা বুঝিনা ? হতাশ হয়ে শেষ বয়সে মাথা ঠুকি ঈমান হারাই ভুল আস্তানায়, সময় থাকতে পাসপোর্ট-ভিসা না নিয়ে যাচ্ছি কোন অজানা ঠিকানায় ?????
    Total Reply(0) Reply
  • গনতন্ত্র ১৬ এপ্রিল, ২০১৮, ১:৩৫ এএম says : 0
    জনগন বলছেন, “শেষ ভ্রমনের তৈয়ারী” বানায় পাসপোর্ট,লয় ভিসা,কাটে টিকেট গুচায় লাগেজ পৃথিবীতে যারা ভ্রমন করে, আমরা কি সবাই তৈয়ারী হয়ে আছি যে-কোন মূহুর্তে নিশ্চিত শেষ ভ্রমনের তরে। যাহা সাথে নিয়ে যাওয়া কাষ্টম কতৃক অবৈধ সে সম্পদ সঞ্চয়ে আমরা জীবন করি ক্ষয়, যত খুশী নেওয়া যায়,বিনামূল্যে পাওয়া যায় শয়তানের ছলনায়,তা হতে মন দূরে রয়। মেয়েকে বিয়ে দিয়ে,পুত্রবধু আসিলে ঘরে আল্লাহর ঘরে যাবো, বাড়ীর মটগেজ শেষ করে, একের পর এক ঝামেলা আসে কাধেঁর উপরে পোহাতে ঝামেলা যৌবন জিম্মি,বার্ধ্যকের ঘাড়ে। প্রতিদিন যে ব্যাকটেরিয়ারা খাচ্ছে ভিতর দেখতে পাই না বলে বুঝতে পারি না, কিসের কারনে চুল-দাড়িঁ সব সাদা হচ্ছে একটু ভাবলে কি তার জবাব মিলে না ? গীবত করা,ঝগড়া লাগানো,বদনাম রটিয়ে এসব অসামাজিক কাজে ব্যস্ত হয়ে সময় কাটিয়ে থাকি, কামিয়ে দাড়িঁ,বয়স লুকাতে রং দিয়ে চুল ঢাকি মানুষ ঠকিয়ে,নিজের ভাগ্যকে নিজেই দিচ্ছ ফাঁকি। ফিরে আসা বা যা এসে নেওয়া সম্ভব নয় সেই জিনিষ জেনে-শুনে কেন করি ক্রয়, চিহ্নিত লাগেজ,বৈধ জিনিষে পরিপূর্ন করিনা হেলায় শূন্য লাগেজ যায় ওপারে,নিষিদ্ধ মাল কাষ্টমে রয়। কেন হাবু-ডুবু খাই প্রতি মুহূর্ত মিথ্যের সাগরে আপন স্বার্থ উদ্দারে আর শয়তানের হয় জয়, জানি স্কন্ধের শিরার চেয়েও নিকটে সৃষ্টিকর্তা তবুও সারাজীবন আমরা করি নয়-ছয়। আসিবে না বুঝি আজরাঈল,প্রাণ নিবেনা কেড়ে তাই বুঝি হয়না, আমাদের মৃত্যুর ভয়, কবরে শুয়াইয়া আসিয়া অতীব প্রিয়জনকে সম্পদের লোভে পশুর চেয়েও হিংস্র হয়? দাও গো প্রভূ!সেই শক্তি তুমি আমাদেরে মানব সেবায় থমকে না যাই জাত-ধর্মের তরে, শেষ ভ্রমনের তৈয়ারীতে গাফলতি না করে তোমাকে দেখার আশা নিয়ে আসি যেন কবরে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ