পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : গতকাল (সোমবার) দিবাগত রাত (২৬ রজব) ছিল পবিত্র মেরাজের রজনি। এ উপলক্ষে গত রাতে মহাখালীস্থ গাউছুল আজম জাতীয় মসজিদ ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদ, খানকা, দরবারে যথাযোগ্য মর্যাদায় পবিত্র শবে মেরাজ পালিত হয়েছে। এ মহান রাতের কর্মসূচির মধ্যে ছিলÑ রাতভর ওয়াজ, তিলাওয়াত-জিকির-আসকার নফল এবাদত-বন্দেগি, মিলাদ এবং দোয়া মোনাজাত।
এ মহান রাতে আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছায় রাসূল (সা:) স্বশরীরে পবিত্র কাবা শরীফ থেকে পবিত্র বায়তুল মোকাদ্দাস, সিদরাতুল মুনতাহা হয়ে রূহানি জগতের আরশে মো’য়াল্লায় মহান আল্লাহ তা’য়ালার সাথে সাক্ষাৎ করে আবার রাতেই জমিনে তাশরিফ আনেন। বিশিষ্ট ৪৫ জন ছাহাবায়ে কেরাম (রা:) মেরাজের বর্ণনা করেছেন। পবিত্র কুরআনের একাধিক আয়াতে মেরাজের ঘটনার কথা উল্লেখ রয়েছে। মেরাজের মাধ্যমে রাসূল (সা:) এর শ্রেষ্ঠত্ব এবং আল্লাহ তা’য়ালার সাথে তার নিগূঢ় সম্পর্কের রহস্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ পায়। তাই মেরাজকে বিশ্বাস করা এবং উপলব্ধি করা মুসলমানদের জন্য ফরজ। ২৬ রজব দিবাগত রাত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া ছাল্লাম স্বশরীরে মেরাজ অর্থাৎ মহান আল্লাহ তা’য়ালার সাথে সাক্ষাৎ লাভ করেন। এ মহান রাতে আল্লাহ তা’য়ালা রাসূল (সা:) কে দীদার দানে ধন্য করেন। যার কারণে উম্মতে মোহাম্মদির কাছে মেরাজুন্নবী (সা:) রজনী অতিশয় সম্মানিত ও মূল্যবান। কারণ দয়ালু নবীজীর মেরাজুন্নবী (সা:) এর বদৌলতে উম্মতে মোহাম্মদি মরতবা অন্যান্য নবীগণের সম্মান অধিক পরিমাণে বৃদ্ধি লাভ করেছে। হাদীস শরীফে আছে আস্সালাতু মেরা’জুল মো’মেনিন অর্থাৎ নামাজ হলো মুমিন নর-নারীর মেরাজস্বরূপ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।