বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ এবং নান্দাইল উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিজয়ী প্রার্থীর অনুসারীদের নেতৃত্বে পৃথক পৃথক ভাবে হামলা-ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪জন। মামলা হয়েছে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক সহ ৫০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে।
আহতরা হলেন- নান্দাইল উপজেলার গাঙ্গাইল গ্রামের সংখ্যালঘু স্বপ্না রাণী(৫০) ও তাঁর পুত্র ছোটন চন্দ্র সরকার(২৩), বাবু সরকার ও রুবেল মিয়া। নান্দাইল উপজেলারা গাঙ্গাইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক আশিষ চন্দ্র সরকার এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আশিষ জানায়, নৌকায় ভোট দেওয়ার কারণে বিজয়ী বিদ্রোহী প্রার্থীর অনুসারীদের নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারী আমার বাড়ীতে হামলা করে ভাংচুর করেছে। মারপিট করে আহত করেছে মা-ভাইকে।
নান্দাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ভূইয়া জানান, নির্বাচনী সহিংসতায় স্থানীয় সংগ্রামকালী বাজার, আচারগাঁও জামতলা, পাছঁদরিল্লা গ্রামে নৌকার কর্মীদের উপর হামলা করা হয়েছে এবং সাবেক এমপি মেজর জেনারেল অব: আব্দুস সালামের বাড়িতে হামলা করেছে বিজয়ী প্রার্থীর অনুসারীরা।
নান্দাইল থানার ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, হামলার অভিযোগে উজ্জল নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। তবে এখনো মামলা দায়ের হয়নি।
একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায়। রবিবার রাতে নির্বাচনি ফলাফল ঘোষনার পর ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের পাটবাজারে পরাজিত বিদ্রোহী প্রার্থী বদরুল আলম প্রদীপের ব্যক্তিগত চেম্বার, বিএনপি কার্যালয়, বিএনপি নেতার বাসা ভবনে হামলা-ভাংচুরে তান্ডব চালিয়েছে বিজয়ী নৌকা প্রতিকের প্রার্থী সুমনের অনুসারীরা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি লুৎফুল্লাহেল মাজেদ বলেন, ‘বিজয়ী চেয়ারম্যান সুমনের অনুসারীরা জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে আমার বাসায় হামলা ভাংচুর করেছে। এর আগে তারা বাসার ইট খুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিল।’ এছাড়াও উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আমীরুল ইসলাম মনির বাসা, চরনিখলা এলাকার চাল ব্যবসায়ী সাখাওয়াত হোসেনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং জেলা যুবলীগের সদস্য মাহবুবুর রহমান মাহাবুবের বাসায় হামলা করে ভাংচুর করা হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা। জেলা যুবলীগের সদস্য মাহবুবুর রহমান মাহাবুব বলেন, জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে সুমনের অনুসারীরা এ হামলার ঘটনা ঘটায়।
পরাজিত প্রার্থী প্রদীপ জানান, নির্বাচনী জের ধরে উপজেলা চেয়ারম্যান সুমনের নির্দেশে তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী দফায় দফায় আমার সমর্থকদের বাড়ীঘরে হামলা ভাংচুর করছে। মারপিট করছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে নৌকা প্রতীকের বিজয়ী প্রার্থী মাহমুদ হাসান সুমন বলেন, আমার লোকজন হামলা-ভাংচুরে জড়িত নয়। এটি কোনো অতিউৎসাহী লোকজনের কাজ হতে পারে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঈশ্বরগঞ্জ থানার এসআই সজীব ঘোষ বলেন, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আবুল খায়েরকে প্রধান আসামী করে ২০ জনের নাম নাম উল্লেখ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রদীপ বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় আতাউর এবং সুজন নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।