পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। পরিবর্তিত ভিসা আইনে দেশটিতে কর্মরত প্রবাসীরা এখন থেকে দেশে থাকা পরিবারকে আমিরাতে নিয়ে যেতে পারবেন। তবে একটি শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে এই আইনে। নতুন ভিসা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো প্রবাসী যদি পরিবারকে নিয়ে আসতে চান, সেক্ষেত্রে আমিরাতে তাদের ব্যয়ভার বহনের সক্ষমতা থাকতে হবে। দেশে থাকা পরিবারকে আমিরাতে আনার পর তাদের খরচ বহন সংক্রান্ত আমিরাতের প্রবাসী ভিসা প্রস্তাবনায় পরিবর্তন আনার এই সিদ্ধান্ত রোববার দেশটির মন্ত্রিসভায় গৃহীত হয়।
মন্ত্রিপরিষদের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংশোধিত বিধান অনুযায়ী এখন থেকে কোনো প্রবাসী যদি তার পরিবারকে নিয়ে আসতে চান, তাহলে পরিবারের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য প্রয়োজনীয় ‘আয়’ মানদন্ড হিসেবে বিবেচিত হবে।
আগের আইনে, পরিবারকে আমিরাতে নিয়ে যেতে চাইলে সেখানে প্রবাসীর ‘পেশা’কে মানদন্ড হিসেবে বিবেচনা করা হতো। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন এবং চর্চা অনুযায়ী এই আইনে সংশোধন আনা হয়েছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
‘এ সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হলো বিদেশি কর্মীদের পারিবারিক স্থিতিশীলতা ও সামাজিক মিলন বৃদ্ধি। পাশাপাশি পেশাগত এবং ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে সুস্থ ভারসাম্য বজায় রাখার মাধ্যমে অত্যন্ত দক্ষ কর্মী আকৃষ্ট করা।’
মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তে স্বাগত জানিয়ে আমিরাতের মানবসম্পদ ও এমিরেটাইজেশন বিষয়ক মন্ত্রী নাসের বিন থানি জুমা আল হামলি বলেন, এই সিদ্ধান্ত শ্রমিকদের পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় এবং শ্রম বাজারকে গতিশীল করবে।
‘এর মাধ্যমে শ্রমিকদের উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং উপযুক্ত কর্মপরিবেশ তৈরি হবে। এর বিনিময়ে জাতীয় অর্থনীতির প্রসার ঘটবে।’ তিনি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুই শতাধিক জাতিগোষ্ঠীর মানুষের বসবাস। বাসিন্দাদের অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমিরাত প্রতিনিয়ত কাজ করছে। সূত্র : গালফ নিউজ, খালিজ টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।