Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পটুয়াখালীতে চলছে ১৯ পুকুর পুনঃখনন

পটুয়াখালী থেকে মো. জাকির হোসেন | প্রকাশের সময় : ১ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

ভূ-গর্ভস্থ্য পানির উপর নির্ভরশীলতা কমানোর লক্ষ্যে পটুয়াখালী জেলায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা ব্যায়ে ১৯টি পুকুর পুন:খনন কাজ চলছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর পটুয়াখালী, জেলায় পানি সংরক্ষন ও নিরাপদ পানি সরবরাহের লক্ষে জেলা পরিষদের পুকুর/দিঘী/জলাশয়সমূহ পুন:খনন/সংস্কার প্রকল্প ও পল্লীঅঞ্চলে পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় এ কার্যক্রম চালাচ্ছে।
পটুয়াখালী পৌরকর্তৃপক্ষের সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে পানির স্তর ভূপৃষ্টের অনেক নিচে নেমে গেছে, আগে যেখানে ৯০০ থেকে ১০০০ হাজার ফিটে সুপেয় পানি পাওয়া যেত বর্তমানে ১২০০ ফিটের কাছাকাছি পাইপের সংযোগ না দেয়া হলে তা পাওয়া যাচ্ছে না। জলবায়ুর প্রভাবসহ ভূগর্ভস্থ্য পানির উপর অতিমাত্রার নির্ভরশীলতার কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্থিতীতল ক্রমাগত নিচে নেমে যাওয়া হুমকির মুখে পড়ে যাচ্ছে পটুয়াখালী পৌরবাসী বিশুদ্ধ পানি পাওয়ার ক্ষেত্রে। শহরে নতুন নতুন বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। সেগুলিতে অনুনোমদিতভাবে গভীর নলকূপ নির্মাণ করায় শহরে সরকারিভাবে নির্মিত হস্তচালিত টিউবওয়েলগুলি ক্রমেই তাদের কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে। বিশেষ করে প্রতিবছর মে মাস এলেই পৌর এলাকায় বিশুদ্ধ পানির মারাত্মক সংকট দেখো যায়। শহরের অধিকাংশ টিউবওয়েলগুলিতে পানি ওঠে না। পটুয়াখালী পৌর সভার তথ্যমতে সরকারিভাবে স্থাপিত ৮৫০ টি টিউবওয়েলের মধ্যে ৮১০ টি ঠিকভাবে কাজ করে ৪০ টিতে পানি ওঠে না, কিন্তু বাস্তবটা ভিন্ন, মে মাসের দিকে অর্ধেকের বেশি টিউবওয়েলে পানি ওঠে না।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর পটুয়াখালী সূত্রে জানা গেছে, ভূগর্ভস্থ পানির উত্তোলন ওব্যবহার সীমিত করে পুকুর পুন:খনন ও সংস্কারের মাধ্যমে ভূপৃষ্টে পানির ব্যবহার বাড়ানের লক্ষ্যে পুকুর পুন:খননের কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। শুস্ক মৌসুমসহ সারা বছরে সবসময় পানি প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষে পুকুরগুলো নির্দিষ্ট গভীরতা পর্যন্ত ও নির্দিষ্ট স্লোপ বজায় রেখে পুকুরগুলো পুন:খনন করা হবে। শূধূমাত্র খাবার পানির উৎস হিসেবে ওই পুকুরগুলি ব্যবহার করার জন্য এ পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। পুকুরের পানি গোসল, মাছচাষে বন্ধকরার জন্য চারপাশে কাটাতারের বেড়া দিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হবে। পুকুর খনন শেষে একটি করে পিএসএফ নির্মান করা হবে, যাতে জনসাধারন তা থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করতে পারবে।
এ প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষে যে সমস্ত এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারে অনুপযোক্ত বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে যেখানে নদী ভূগর্ভস্থ পানিতে লবনাক্ততার পরিমান বেশি সে সব এলাকায় জনসাধারণ নিরাপদ চাহিদা পূরনেও এ প্রকল্প বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
পটুয়াখালী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফয়েজ আহমেদ বলেন, জেলায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা ব্যায়ে ১৯টি চলমান প্রকল্পের মধ্যে জেলার সদর উপজেলায় ৫টি, মির্জাগঞ্জ উপজেলায় ২টি, গলাচিপা উপজেলায় ৪টি, কলাপাড়া উপজেলায় ১টি, বাউফল উপজেলায় ৫টি এবং পল্লী পানি প্রকল্পের আওতায় ২টি পুকুর বাউফল উপজেলায় কাজ চলছে। ২০১৮ সালে শুরু হওয়ার কাজের ইতোমধ্যে ৬০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে, ২০১৯ সালের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে জেলা পরিষদের কাছে পুকুরগুলি হস্তান্তর করা হবে এবং জনবল নিয়োগের মাধ্যমে-এর নিয়ন্ত্রন করা হবে। প্রতিটি পুকুরে পিএসএফ (পন্ডস এন্ড ফিল্টার ট্রিটমেন্ট) পদ্ধতির মাধ্যমে ৩টি করে পানির কল স্থাপন করে জনসাধারনের জন্য নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পানি

২৫ অক্টোবর, ২০২২
২১ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ