নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
একদিকে যেখানে ব্রাদার্স উইনিয়নের দেয়া ৩৩০ রানের লক্ষ্য টপকে জয় দেখেছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব, সেই একই দিনে মামূলি ২২২ রানের বিকেএসপি-শাইনপুকুর ম্যাচটা হয়েছে টাই! তবে এমন ম্যাচও জাগিয়ে তুলতে পারছে না মোহামেডানকে, নবাগত উত্তরা স্পোর্টিংয়ের কাছেও ৭ উইকেটে হেরে গেছে ঐতিহ্যবাহী দলটি। গতকাল রোমাঞ্চকর এমনই এক দিন পার করলো ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ।
মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে ব্রাদার্স ইউনিয়নের দুই ব্যাটসম্যান মিজানুর রহমান আর ফজলে মাহমুদকে যেতে হলো মিশ্র অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে। মিজানের ১০০ আর মাহমুদের অপরাজিত ১৪৯ রানের দুটি ইনিংস প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে ব্রাদার্সকে এনে দিয়েছিল ২ উইকেটে ৩৩০ রানের বিশাল সংগ্রহ। প্রাইম ব্যাংকের কেউ সেঞ্চুরি করেননি, তবু তাঁদের কাছে ৩৩০ রানটা কোনো বাধাই মনে হয়নি! দল এগিয়েছে সম্মিলিত প্রচেষ্টায়- অভিমন্যু ঈশ্বরন ৯৬ বলে করেছেন ৯০, এনামুল হক ৪৭ বলে ৫৪, আল আমিন ৪৭ বলে ৫২ আর অলক কাপালির ৬৫ বলে অপরাজিত ৮২ রানে পাহাড় টপকে গেছে অনায়াসে।
ফিফটি পাওয়া চার ব্যাটসম্যানের স্ট্রাইক রেট ১০০-এর ওপরে বা ১০০-এর কাছাকাছি। ৫ উইকেট আর ৭ বলে বাকি থাকতেই জয়ের প্রান্তে পৌঁছে যাওয়া বলে দিচ্ছে, প্রাইম ব্যাংকের জয় কতটা দাপুটে। ১২ মার্চ প্রাইম দোলেশ্বরের কাছে ৩০১ করে হেরেছিল প্রাইম ব্যাংক। এদিন তারাই ৩৩০ রান তাড়া করে জিতে সেই ক্ষতে প্রলেপ দিল। তবে এটিই প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ রান তাড়া করার রেকর্ড নয়। ২০১৭ সালে মোহামেডানের বিপক্ষে ৩৪০ তাড়া করে জিতেছিল শেখ জামাল, এখন পর্যন্ত প্রিমিয়ার লিগে যেটি সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড।
এদিকে, আট বছর পর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলতে আসা বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) চমক দিয়েই চলেছে। ডিপিএল টি-টোয়েন্টিতে ফতুল্লায় তারা প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে ম্যাচ টাই করে সুপার ওভারে নিয়ে গিয়েছিল বিকেএসপি। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে সুপার ওভার না থাকায় গতকাল আর সেটি হয়নি। তবে সেই একই ভেন্যুতে এদিন শাইনপুকুরের বিপক্ষে ম্যাচটা বিকেএসপি টাই করেছে। বিকেএসপির দেওয়া ২২৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা শাইনপুকুরের ১২ বলে দরকার ছিল ১৪ রান। হাসান মুরাদের করা ৪৯তম ওভারে শাইনপুকুর নিতে পারে ৪ রান। শেষ ওভারের সমীকরণটা নেমে আসে ১০ রানে। প্রথম ৪ বলে ৭ রান নেওয়ায় শেষ ২ বলে দরকার ছিল ৩ রান। এই সমীকরণটাই মেলাতে পারেনি শাইনপুকুর। তাড়াহুড়োয় টানা দুটি রানআউটে ম্যাচ টাই! ব্যাট হাতে ৭০ রান আর বোলিংয়ে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা বিকেএসপির অলরাউন্ডার আবদুল কাইয়ুম।
রোমাঞ্চকর দিনে সবচেয়ে ম্যাড়ম্যাড়ে ম্যাচ উপহার দিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টি ক্লাব। নবাগত উত্তরা স্পোটিং ক্লাবের কাছে ৭ উইকেটে হেরে গেছে আশরাফুল-শফিউলদের দল। বিকেএসপিতে আগে ব্যাট করে ৪৫.১ ওভারে ১৯৩ রানেই গুটিয়ে যায় মোহামেডান। তানজিদ হাসানের সেঞ্চুরিতে ৪০ ওভারেই মাত্র ৩ উইকেট হারিয়েই জবাব খুঁজে নেয় উত্তরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ব্রাদার্স-প্রাইম ব্যাক, মিরপুর
ব্রাদার্স : ৫০ ওভারে ৩৩০/২ (মিজানুর ১০০, ফজলে মাহমুদ ১৪৯*, ইয়াসির ৬১*; নাঈম ১/৬২, রাজ্জাক ০/৪৮, কাপালী ০/১৬, আল আমিন ০/১)।
প্রাইম ব্যাংক : ৪৮.৫ ওভারে ৩৩১/৫ (এনামুল ৫৪, ইশ্বরণ ৯০, আল আমিন ৫২, অলক ৮২*, নাহিদুল ২৩*; সাজেদুল ৩/৭০, শরিফ ১/৬০, নাঈম জুনি. ১/৫২)। ফল : প্রাইম ব্যাংক ৫ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা : ফজলে মাহমুদ রাব্বি।
বিকেএসপি-শাইনপুকুর, ফতুল্লা
বিকেএসপি : ৫০ ওভারে ২২২/৮ (নওরোজ ৮১, আমিনুল ৩৫, আকবর ১১, কাইয়ুম ৭০; দেলোয়ার ৩/৩৩, শরিফুল ২/৪২, আফিফ ১/৫০, শুভ ১/৩৯)। শাইনপুকুর : ৫০ ওভারে ২২২/৯ (সাদমান ৪৫, সাব্বির ৩৬, চাঁদ ৭৪, আফিফ ২৭, ধীমান ১৪; শামিম ১/৩০, মুরাদ ৩/৪১, কাইয়ুম ২/৩১)।
ফল : ম্যাচ টাই। ম্যাচসেরা : আব্দুল কাইয়ুম।
মোহামেডান-উত্তরা স্পোটিং, সাভার
মোহামেডান : ৪৫.১ ওভারে ১৯৩ (অভিষেক ২১, মজিদ ১৭, শুক্কুর ১৬, আশরাফুল ২৮, নাদিফ ৩৯, শফিউল ২৯; রশিদ ৩/৩২, পায়েল ৩/৫৩, আনিসুল ১/৩২, সাজ্জাদ ২/২৭)। উত্তরা স্পোর্টিং : ৪০ ওভারে ১৯৪/৩ (তানজিদ ১০১*, আনিসুল ৩৭, মোহাইমিনুল ২২, শাকির ১৭*; শাহাদাত ২/৩৫, সোহাগ ১/৪৮)। ফল : উত্তরা স্পোর্টিং ৭ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা : তানজিদ হাসান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।