নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
খুব বেশি দূর এগুতে দিলেন না অ্যারন ফিঞ্চকে (৩৯), বিদ্ধংসী হবার আগে ফেরালেন উসমান খাজাকেও (৬২), পাকিস্তান বোলারদের সামনে মিডল অর্ডারও ব্যর্থ পুরোপুরি। সেখান থেকে অস্ট্রেলিয়াকে লড়াইয়ের পূঁজি এনে দিলেন গেøন ম্যাক্সওয়েল আর অ্যালেক্স কেয়ারি। দুই রানের আক্ষেপে সেঞ্চুরি বঞ্চিত ম্যাক্সওয়েল ফিরলেন ৯৮ রানে, শেষদিকে ৫৫ রানের ক্যামিও খেললেন ক্যারি। আর তাতেই নির্ধারিত ওভারে ২৭৭ রান তোলে ৭ উইকেট হারানো অজিরা। পাকিস্তানের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ হাসনাইন, ইমাদ ওয়াসিম আর ইয়াসির শাহ।
তিন ম্যাচে টানা হারে সিরিজ খুইয়ে জাবাবটাও যেন তৈরী রেখেছিল মরিয়া স্বাগতিকরা। লড়ল প্রাণপনে। অভিষেকেই সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন আবিদ আলী, ব্যাক-টু-ব্যাক সেঞ্চুরি পেলেন মোহাম্মদ রিজওয়ানও। ব্যাটসম্যানদের ভিড়ে এমন ম্যাচও উইকেট হাতে রেখেই ৬ রানে হেরে গেল পাকিস্তান!
ব্যর্থতার মিছিলে কেবল ২৫ রানের ইনিংস এসেছে হ্যারিস সোহেলের ব্যাট থেকে। বাকিদের কেউই ছুঁতে পারেন নি দুই অঙ্কের কোটা। ৩ উইকেট নিয়ে পাকিস্তান শিবিরে সবচেয়ে বড় আঘাতটা দিয়েছেন কোল্টার নাইল, দুটি শিকার মার্কাস স্টয়নিসের, একটি করে উইকেট ঝুলিতে পুড়েছেন অ্যাডাম জাম্পা ও নাথান লায়ন।
১১২ রানে আউট হন আবিদ। সেলিম এলাহী ও ইমাম-উল-হকের পর পাকিস্তানের ইতিহাসে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডে অভিষেকেই সেঞ্চুরি করলেন ঘরোয়া ক্রিকেটে পরীক্ষিত এই ব্যাটসম্যান। সেই সঙ্গে রিজওয়ান ফেরার আগে খেলেছেন ১০৪ রানের ইনিংস। কিন্তু এই জোড়া সেঞ্চুরির পরও শেষ ওভারে ৬ বলে ১৭ রানের কঠিন সমীকরণে পড়ে যায় পাকিস্তান। এভাবে রান তাড়া করে হার বেশ চমকে দেওয়ার মতো ব্যাপারই বটে। ক্রিকেট ইতিহাসে এমন নজির খুব বেশি নেই। ওয়ানডেতে রান তাড়ায় জোড়া সেঞ্চুরি পেয়েও হারের এটি চতুর্থ নজির। পাকিস্তানের আগে এই অভিজ্ঞতা ভারতের হয়েছে দুবার, জিম্বাবুয়ের একবার। তবে পাকিস্তান একটি জায়গায় প্রথম।
আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ২৭৭ রান তুলেছিল অস্ট্রেলিয়া। পাকিস্তান এই রান তাড়া করতে নেমে ৮ উইকেটে ২৭১ রানে থেমেছে। ওয়ানডে ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো কোনো দল ২৮০ রানের নিচে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জোড়া সেঞ্চুরি পেয়েও হারের মুখ দেখল। রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান কিন্তু এর আগেও জোড়া সেঞ্চুরি পেয়েছে এবং সেবার জয়ও পেয়েছিল দলটি। ২০০১ শারজায় শ্রীলঙ্কার ২৭২ রান তাড়া করতে নেমে সেঞ্চুরি করেছিলেন নাভিদ লতিফ ও ইনজামাম উল-হক। কিন্তু ১৮ বছর পর প্রায় একই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পারল না দলটি।
আরব আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের এই হারে মোটা দাগে দেখা গেল টপ অর্ডার আর টেল এন্ডারদের ব্যর্থতা, তার চাইতেও বড় হয়ে দেখা দিল অভিজ্ঞতার অভাব। আগ্রাসী ইনিংসের জন্য ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন ম্যাক্সওয়েল। আজ দুবাইতেই হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্যে মাঠে নামবে পাকিস্তান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
অস্ট্রেলিয়া : ৫০ ওভারে ২৭৭/৭ (ফিঞ্চ ৩৯, খাওয়াজা ৬২, ম্যাক্সওয়েল ৯৮, কেয়ারি ৫৫; হাসনাইন ২/৫২, ওয়াসিম ২/৫৬, ইয়াসির ২/৫৭)। পাকিস্তান : ৫০ ওভারে ২৭১/৮ (আবিদ ১১২, হারিস ২৫, রিজওয়ান ১০৪; কোল্টান-নাইল ৩/৫৩, রিচার্ডসন ১/৩৭, স্টয়নিস ২/২০, লায়ন ১/৪৯, জ্যাম্পা ১/৪৯)।
ফল : অস্ট্রেলিয়া ৬ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা : গে্লন ম্যাক্সওয়েল। সিরিজ : ৫ ম্যাচে ৪-০ তে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।