পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুন লেগে হতাহতের ঘটনায় শোকে মুহ্যমান সারাদেশ। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের প্রচÐ চেষ্টা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সবাইকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এদিকে বৃহস্পতিবার থেকেই উদ্ধার অভিযানের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এর মধ্যে এক তরুণীকে মৃত্যুর দুয়ার থেকে কাঁধে করে ফিরিয়ে আনার ছবিটিও ব্যপক প্রশংকা কুড়িয়েছে।
ওই ছবিটিতে দেখা যায় ফায়ার সার্ভিসের এক যোদ্ধার পিঠের ওপর এক তরুণী। সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফিরলেও ওই তরুণীর চেহারায় ছিল ফেলে আসা আতঙ্ক। মেয়েটি অশ্রæচোখে ফায়ারের সেই কর্মীর সাথে লেপ্টে ছিল। ভয়ার্ত মুখে কাঁদছেন, ছবিতে সে শব্দ শোনা না গেলেও নাম না জানা ওই তরুণীর ছবিটি জুরে ভয়-আতঙ্ক স্পষ্ট। তাকে টেনে বের করে নিয়ে আসছেন যে ব্যক্তি তার অভিব্যক্তিও ছিল হৃদয় ছুয়ে যাওয়ার মতো। যা কোটি কোটি মানুষকে শিহরিত করছে।
গতকাল শুক্রবার সেই অগ্নিযোদ্ধার সাথে কথা হয় সাংবাদিকদের। এই যোদ্ধার নাম খন্দকার আবদুল জলিল। তিনি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) হিসেবে কর্মরত। আব্দুল জলিল ফায়ার সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হলেও আগুনের ভয়াবহতা দেখে ছুটে তার মন তাকে ছুটে যেতে বাধ্য করে।
তিনি বলেন, টেলিভিশনে যখন দেখলাম আগুনের ভয়াবহতা এবং এখানে অনেক মানুষের জীবনের বিষয়, তখন আমরা মুভ করলাম ঘটনাস্থলের দিকে। আমাদের পরিকল্পনা ছিল আমরা আগুন নেভানোর পাশাপাশি উদ্ধার কাজও চালিয়ে যাব। আব্দুল জলিল বলেন, তখন তিনটি ল্যাডার ইউনিট দিয়ে আগুন নেভানো হচ্ছিল এবং আরেকটিতে আমি এবং আরেকজন ছিলাম। ওই ল্যাডার ইউনিটে নিয়ে যখন ১২ বা ১৩ তলায় পৌঁছালাম তখন একটি মেয়ে বাঁচান বাঁচান বলে কাঁদছিল। আমরা তাকে কিছুটা আগাতে বলি। তখন সেই তরুণী জানায় সে হাঁটতে পারবে না। তার পায়ে আঘাত রয়েছে। সেই সঙ্গে মেয়েটাও ভয়ে ছিল। সে শুধু একটা কথাই বলছিলÑ আমার মা নিচে আছে, মায়ের কাছে যাব। এরপর ওই তরুণীকে নিজের কাঁধে তুলে নেন আব্দুল জলিল। এ সময় সে খুব কান্নাকাটি করছিল। আমি তাকে হালকা করার জন্য জিজ্ঞাসা করি, কী করেন? সে জানায় চাকরি করেন। এরপর তার বাবা-মায়ের নাম জিজ্ঞাসা করলে সে বলে আমার মা নিচেই আছে। মেয়েটিকে নামিয়ে আনার পর সে বাসায় যেতে চাইলে আমি তাকে প্রথমে হাসপাতালে যেতে বলি।
ওই তরুণীর জীবন বাঁচাতে ঝাপিয়ে পড়ার অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রত্যেক মানুষের জীবন রক্ষা করে আমরা তৃপ্তি পাই। এ ঘটনাও আমাকে তৃপ্ত করেছে। কিন্তু কেউ যদি মারা না যেত তাহলে আর কোনো অতৃপ্তি থাকতো না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।